তারিক হায়দার চৌধুরী (তারেক): কেনিংটন ওভালে দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত ম্যাচের অবস্থা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ফিফটি-ফিফটি। কিন্তু তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নামার আগে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় এবং তাঁদের গায়ের জার্সি দেখে সমর্থকদের হয়তো ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড়। কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর গায়ের জার্সির মিল নেই! ক্রিস ওকসের জার্সি পরে মাঠে নেমেছেন মঈন আলী। তাঁর জার্সি পরে আছেন আবার ওকস। জনি বেয়ারস্টোর জার্সি পরেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। মার্ক উডের জার্সি পরলেন জো রুট। জেমস অ্যান্ডারসনের গায়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের জার্সি। অ্যান্ডারসনের জার্সি পরেছেন আবার ব্রড। ইংল্যান্ডের প্রত্যেক খেলোয়াড়ই এভাবে একজন আরেকজনের জার্সি পরে মাঠে নামলেন।
তবে কেউ ভুল করে নয়, সবাই সজ্ঞানেই এভাবে জার্সি পরেছেন। মূলত এটি একটি প্রদর্শনী ছিল। ডিমেনশিয়া রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই ওই কাজটা করেছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবিও পোস্ট করেছে।
ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্তরা সবকিছু ভুলে যান। যেটি তাদের স্মৃতিশক্তি লোপ, চিন্তাভাবনা এবং দৈনন্দিন কাজকর্মকে প্রভাবিত করে। পরিচিত মানুষদেরও মনে করতে পারেন না তারা। সেই মানুষদের জন্য অর্থ সহায়তা তুলছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। চাইলে যে কেউ সহায়তা করতে পারবে। ডোনেট
করার জন্য পোস্টে একটা লিংকও দিয়েছে ইসিবি।
ডিমেনশিয়া নিয়ে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছেন, ‘অসংখ্য
মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে ডিমেনশিয়া। তাদের ওপর এবং তাদের প্রিয়জনের
ওপর ডিমেনশিয়ার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি যে ডিমেনশিয়ার
ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে পারছি। ডিমেশনিয়ার ভয়াবহতায় ইতি
টানতে টাকা তুলতে পারছি বলে আমি অত্যন্ত স্বস্তিবোধ করছি।’
ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে এই বিশেষ উদ্যোগ নেয় ইসিবি। ইংল্যান্ডের সব খেলোয়াড়ই একে অন্যের জর্সি গায়ে মাঠে নেমে সারিবদ্ধ হন। তবে ব্যাটিং করার সময় নিজের জার্সি পরেই মাঠে নামছেন তাঁরা।
দারুন উদ্যোগ