‘বিশেষ কোনো কাজের আগে অস্থিরতা বেড়ে যায়, ভয় লাগে’

0
205

প্রতিদিনের চিঠি : আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আপনিও লিখতে পারেন আমাদেরকে। সেজন্য ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ

চিঠি : আমার সমস্যা হলো পরীক্ষার হলে লিখলে গেলে বা ইনভিজিলেটরে সিগন্যাচার করতে গেলে হাত কাঁপে এবং ভাইভায় পরীক্ষকদের সামনে কথা বলতে গেলে কথা আটকে যায়। একই কাজ ও চিন্তা মাথায় বারবার আসে। নেতিবাচক ও অপ্রয়োজনীয় চিন্তা মাথায় ঘুরে। কোনো একটি কাজ করার আগে তার ফলাফল কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় অস্থির হয়ে যাই। কোনো বিশেষ কাজ করার আগে অস্থিরতা বেড়ে যায়। যেমন- চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন পাওয়ার পর অস্থির হয়ে যাই কখন উত্তর করব, লিখে শেষ করতে পারব কিনা তা নিয়ে মাথায় চিন্তা ঘুরপাক খায়, আর তখনই হাত কাঁপাকাঁপি শুরু হয় ।এই সমস্যাটি কি মানসিক কোনো রোগের কারণে হতে পারে? এবং এ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?

এমডি শাহনেওয়াজ

সন্দেহ নাই এটা যে, মানসিক রোগের কারণে হচ্ছে বা মানসিক সমস্যার কারণে হচ্ছে। আপনার এই সমস্যাকে আমরা যদি সামনাসামনি বসি, ইন্টারভিউ করি দুইটা রোগের একটা খুঁজে পাবো। একটা হলো সোশ্যাল ফোবিয়া বা এটাকে সোশ্যাল এংজাইটি ডিজঅর্ডার বলা হয়। আরেকটা হলো জেনারেলাইজড এংজাইটি ডিজঅর্ডার। দুইটা বিষয়েরই ছোট্ট করে বর্ণনা করি। জেনারালাইজড এংজাইটি ডিজঅর্ডারে সব সময় কোনো কারণ ছাড়াই মনে হতে পারে আমি কেন অস্থির, কী যেন ঘটতে চলছে। আমি যেন কী করে ফেলি। এপ্রিহেনশন বলে এটাকে। কোথায় যেন কী হতে যাচ্ছে এরকম একটি চিন্তা। আর সোশ্যাল ফোবিয়া হলো আপনিও যেরকমটা বলেছেন সোশ্যাল কোনো বিষয়টা চিন্তা করে, কোনো একটা সিচুয়েশনে পড়ে একজন মানুষ টোটালি বিকল হয়ে যায়। এই দুইটা কন্ডিশনই যখন মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈকিত জীবনে বাধাগ্রস্ত করে, চাপের কারণে জীবনযাপনে হ্যাম্পার তৈরি করে তখন সেটা রোগের পর্যায়ে পড়ে। আপনার ক্ষেত্রে সেটাই হচ্ছে। আপনি কাছাকাছি কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরাণপন্ন হতে পারেন। অথবা আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা এখন অনলাইনে মনোরোগ চিকিৎসা দিচ্ছি। সেজন্য ভিজিট করতে হবে www.mk4c.com তবে প্রথম দিকে যদি এটাকে কন্ট্রোলে আনা যায় তাহলে আগের থেকে ভালো থাকা যায়। যত দেরি হয় জটিলতা ততোই বাড়তে থাকে। সুতরাং দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নিন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

  • পরামর্শ দিয়েছেন,
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব- সম্পাদক, মনের খবর
    অধ্যাপক– মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
    সেকশন মেম্বার– মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
    কোঅর্ডিনেটর– সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
    সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখা পড়তে ক্লিক করুন এখানে :

মানসিক স্বাস্থ্যের যে কোনো প্রশ্ন/পরামর্শ পেতে চিঠি পাঠাতে পারেন পেজের ইনবক্সে অথবা মেইল করুন monerkhaboronline@gmail.com -ঠিকানায়।

[প্রতিদিনের চিঠি পর্বে দেয়া উত্তরগুলো কেবলমাত্র প্রাথমিক দিকনির্দেশনা। সঠিক ও পূর্নাঙ্গ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের সাথে সরাসরি কথা বলে চিকিৎসা নিতে হবে।]

  • মাসিক মনের খবর প্রিন্ট ম্যাগাজিন সংগ্রহ করতে চাইলে কল করুন : 01797296216 এই নাম্বারে। অথবা মেসেজ করুন পেজের ইনবক্সে। লেখা পাঠাতে পারেন monerkhaboronline@gmail.com বা এই 01844618497 হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে।

/এসএস/মনেরখবর/

Previous article‘‘দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় মনমরা হয়ে গেছি, কিছু মানুষ দেখলে রাগ হয়’’
Next article‘ডব্লিউএফএমএইচ’ ও ‘আইএমএ’ এর উদ্যোগে কেরালায় স্বাস্থ্য সপ্তাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here