গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ক্যান্সার নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণা আমাদের সামনে এমন কিছু খাবারের তালিকা উপস্থাপন করেছে, যেগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এমন কিছু খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে যেসব খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে
১. ধূমপান ও মদ্যপান করা যাবে না।
২. যেসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং অল্প পরিমাণে আঁশ ও পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেসবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। চেষ্টা করতে হবে এমন খাদ্য না খাওয়াই ভালো।
৩. প্রক্রিয়াজাত মাংসে ক্যান্সারসহায়ক কার্সিনোজেন পদার্থ থাকে। তাই এই প্রকার খাদ্য থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
৪. উচ্চতাপে তৈরি করা ঝলসানো খাবার, ফ্রায়েড বা বারবিকিউয়ের মতো খাবার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
৫. দুধ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার হলেও বেশি বেশি দুধপান প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করার সময় প্লাস্টিক পেপারে মোড়ানো যাবে না।
৭. যথাসম্ভব জিনগত রূপান্তরিত খাবার পরিহার করতে হবে।
যেসব খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন
১. শাকসবজি ও ফলমূল। যেমন- গাজর, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আপেল, কমলালেবুসহ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফলমূল।
২. তিসি-বীজ: ক্যান্সার কোষের বিস্তার রোধে তিসি বীজ বেশ ফলপ্রসূ একটি খাবার।
৩. মসলা: দারুচিনি, হলুদে রয়েছে ক্যান্সারনিরোধী উপাদান।
৪. কলাই: মটরশুঁটিতে পর্যাপ্ত আঁশ রয়েছে, যা কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫. নিয়মিত বাদাম খাওয়া।
৬. জলপাই তেল, রসুন প্রভৃতি ঝুঁকি কমায়।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধে মাছ খাওয়া উপকারী।
৮. নির্দিষ্ট মাত্রায় দুধপান।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে