সম্প্রতি কিছু গবেষণায় শিশুদের মনোবল বাড়াতে পিতামাতা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের বেশ কিছু কার্যকরী কৌশল সরবরাহ করা হয়েছে।
শিশুদের মনোবল বাড়াতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন বা কি কি অন্তরায় এর পেছনে রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে বিভিন্ন বয়সের, যেমন- ৪-৫ বা ৫-৮ বছর বয়সী শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশলগুলো বিবেচনা করা হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে তারা কি ভাবছে, কতোটা আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করতে পারছে বা তাদের মধ্যে এই সমস্যা নিয়ে কি মনোভাব কাজ করছে এই সবকিছু এতে গুরুত্ব পেয়েছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে যে, শিশুর মনোবল বাড়াতে তার পরিবার ও পিতামাতার সাথে সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভূমিকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যত্ন বা বিকাশ ত্বরান্বিত করা মানে শুধু তাদের স্বাস্থ্যের বা শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া নয় বরং তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলার মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলা এবং তাদের শারীরিক বলের সাথে সাথে মানসিক বল বৃদ্ধি করা। এই লক্ষ্যে যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হল।
সব সময় সব কঠিন বা প্রতিকূল অবস্থা থেকে শিশুদের দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও কোন সমস্যা হলে শিশুদের কিছু কিছু সময়ে সেগুলো মোকাবেলার সুযোগ দিন। দেখুন তারা সেগুলো সফলভাবে সমাধান করতে পারে কিনা। এর ফলে তাদের মাঝে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বা প্রতিকূল পরিবেশে মনোবল বজায় রাখার মানসিকতা বজায় রাখার সাহস সৃষ্টি হবে।
শিশুরা স্বভাবতই বিভিন্ন গল্প শুনতে আগ্রহী হয় এবং সেই গল্পের নায়ক বা হিরোদের মতো করে নিজেদেরকে কল্পনা করে। তাই তাদের সামনে যদি অভিভাবক বা শিক্ষকেরা নিজেদের জীবনের সাহসী হয়ে ওঠার গল্পগুলো যেগুলো শিশুদেরকেও ঝুঁকি মোকাবেলায় উৎসাহিত করতে পারে সেগুলো উপস্থাপন করে তাহলে শিশুরা সাহসী হয়ে ওঠার উৎসাহ পাবে। তারা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
বড় সমস্যাগুলো শিশুদের ছোট ছোট ধাপে সমাধান করতে সহায়তা করুন। এই ছোট ছোট ধাপগুলো তাদের মনোবল বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
ছোট কিংবা বড় যে কোন সাফল্যে শিশুদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করুন। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, প্রশংসা উৎসাহ বৃদ্ধির প্রথম সোপান। অর্থাৎ যখন শিশুরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎসাহিত হবে তখন তারা উত্তর উত্তর আরও বড় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস ও বিপদ মোকাবেলা করার মনোবল পাবে।
পিতামাতা বা অভিভাবক কিংবা শিক্ষকেরা সব সময়ই কোমলমতি শিশুদের সব ধরণের সমস্যা থেকে দূরে রাখার প্রয়াস করেন। কিন্তু এ ধরণের প্রয়াস তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। তাদের মাঝে যদি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলার মনোবল না থাকে তাহলে কখনোই তারা জীবনে সফল হতে পারবে না।
তাই শিশুদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ প্রদান করা উচিৎ। যাতে তারা বিপদে ভয় নয় বরং বিপদে সাহস রেখে মনোবলের সাথে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
অনুবাদ করেছেন: প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে