গবেষণায় দেখা গেছে যে, সম্পর্কে অন্য যে কোন বিষয়ের তুলনায় দম্পতীরা একে অপরের মাঝে নিজেদের মানসিক সন্তুষ্টি সব থেকে বেশী খোঁজেন। আর এটিই দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
দাম্পত্য জীবনকে যারা দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে চান তাদের কাছে একে অপরের চাহিদা পূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। এটা অবশ্যই সত্যি যে, বংশ বিস্তার এবং বিবর্তনে দাম্পত্য জীবন এবং যৌন সম্পর্ক দুটিই একে অপরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
কিন্তু এটাও সঠিক যে, একে অপরের সাথে মানসিক বন্ধনে আবদ্ধ থাকা একটি সম্পর্ককে অর্থপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী রূপ প্রদান করে। এক্ষেত্রে যৌন সম্পর্ক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে সেটি মানসিক সন্তুষ্টি বা একে অপরের চাহিদা পূরণের একটি অংশ মাত্র। আর এই মনস্তাত্ত্বিক বোঝাপড়া তাদের উভয়কেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ভরসা, মনোবল, সন্তুষ্টি এবং অনুপ্রেরণা প্রদান করে।
বিভিন্ন সময়ে হওয়া গবেষণায় দেখা গেছে, দাম্পত্য জীবনে দুজন মানুষ একে অপরের কাছে যে বিষয়গুলো প্রত্যাশা করে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম দুটি বিষয় হল বিশ্বাস ও আস্থা। প্রতিটি সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সব সময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একে অপরের প্রতি আনুগত্যই এই বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ককে সুনিশ্চিত করে।
যখন দুজন মানুষের মধ্যে কোন সম্পর্ক তৈরি হয়, বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্ক তৈরি হয় তখন জীবনের প্রতিটি ঘটনাই দুজনকে সমান ভাবে প্রভাবিত করে। আর সব ধরণের পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকার এবং একে অপরকে ভরসা ও সহযোগিতা প্রদান করার বিশ্বাস ও আস্থা তারা দুজনেই একে অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন।
তাছাড়া দাম্পত্য জীবনের একটি সাধারণ চাহিদা হল একে অপরের খেয়াল রাখা এবং একে অপরকে গুরুত্ব দেওয়া। এখানে খেয়াল রাখা শুধু মাত্র শারীরিক ভাবে খেয়াল রাখা নয় বরং মানসিক ভাবে খেয়াল রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। একজন ব্যক্তি সব সময়ই চান যে তার পছন্দ অপছন্দ, ভালোলাগা মন্দ লাগা সব কিছু তার সঙ্গীর কাছে গুরুত্ব পাবে।
ভিন্ন মত হলেও তার মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে এবং তার যুক্তি বা মতকে গুরুত্ব সহকারে শুনবে। এভাবে সম্মান এবং গুরুত্ব বজায় রেখে একে অপরের সাথে দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবন কাটানোর স্বপ্ন প্রতিটি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ চাহিদা।
উপরের বিষয় গুলো এটাই প্রমাণ করে যে, সঙ্গীদের একে অপরের প্রতি যে চাহিদা সাধারণ ভাবে দেখা যায় তার অধিকতর স্থান জুড়েই থাকে মানসিক চাহিদা বা মানসিক সন্তুষ্টি। অর্থাৎ যখন দুজন মানুষ একে অপরকে নিয়ে খুশী থাকে, তার অর্থ হল তাদের মাঝে মনস্তাত্ত্বিক বোঝাপড়া ভালো থাকে।
অর্থাৎ তারা একে অপরের মানসিক চাহিদা পুরণে তারা সফল। তাই বলা যায়, মানসিক চাহিদা পুরনই একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মূল ভিত্তি প্রস্তর হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
অনুবাদ করেছেন: প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে