একবার প্রেমের জালে জড়িয়ে গেলেই বুঝতে পারবেন যে, কোনো সম্পর্কই আসলে ঝামেলামুক্ত নয়। ধীরে ধীরে হয়তো সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে না জানার কারণে আমরা তা বুঝতে পারি না।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকাটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। সেসব সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূর করার চেষ্টাও করতে হবে। নয়তো সম্পর্ক ভাঙনের দিকে গড়াতে পারে। যখনই মনে করবেন, সম্পর্ক আর আগের মতো নেই তখনই সমস্যা কোথায় তা খুঁজে বের করুন। প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা থাকলে সমস্যা খুঁজে বের করা সহজ হবে।
সামঞ্জস্যের অভাব
প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা পছন্দ থাকে, তাই দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকতে গেলে তাদের মধ্যে সামঞ্জস্যতার অভাব অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে ওঠে। আপনি যখন কোনো পার্টিতে যেতে পছন্দ করেন, আপনার সঙ্গী হয়তো সেসময় বাড়িতে বসে আরাম করতে পছন্দ করে।
আপনার সঙ্গী অ্যাডভেঞ্চারার হতে পারে, যখন আপনার বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকতে ভালোবাসেন। কোনো কিছুতেই মিল না থাকলে তা ভবিষ্যতে একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। তাই শুরুতেই এর সমাধান করে নিন।
ঘনিষ্ঠতা না থাকা
অন্তরঙ্গতা সন্তুষ্ট সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। আপনি যদি ইতিমধ্যে আপনার সঙ্গীর সাথে অস্বস্তিকর সম্পর্কের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, তবে আপনাদের সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো জরুরি। এগুলো লুকিয়ে রাখা বা পাত্তা না দেয়ার পরিবর্তে এর থেকে বেরিয়ে আসুন এবং সমাধান খুঁজে বের করুন।
অগ্রাধিকার না দেওয়া
সঙ্গীর ইচ্ছাকে অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে উপরে রাখাই প্রেমের লক্ষণ। তবে, যদি আপনাদের সম্পর্ক কেবলই শুরুর দিকে এবং খেয়াল করেন যে সে আপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না তবে ভেবে দেখার যথেষ্ট সময় রয়েছে। এক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে চললে ভবিষ্যতের জন্য তা আরও খারাপ হয়ে দেখা দিতে পারে।
নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া
অনেকে কেবল সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এটি প্রচুর দ্বন্দ্ব এবং বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যায়। যদি আপনার সঙ্গী সবসময় আপনার সিদ্ধান্তগুলোর বিরোধিতা করার চেষ্টা করে বা নিয়ন্ত্রণ করে তবে বুঝবেন, আপনারা একটি ব্যর্থ সম্পর্ক বয়ে নিচ্ছেন। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বোঝাপড়া এবং স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আক্রমণাত্মক স্বভাব
হিংসা, নিরাপত্তাহীনতা এবং সন্দেহ একটি সম্পর্কের সবচেয়ে নেতিবাচক তিনটি দিক। অনেক সময় এই বিষয়গুলো যে কাউকে আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। সম্পর্কের অর্থ এই নয় যে, আপনি আপনার সঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারেন। এর কারণে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে এবং এমনকি ভেঙে যেতে পারে সম্পর্কও।
বিশ্বাস এবং সততার অভাব
আনুগত্য এবং বিশ্বাস একটি সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি। এটি বন্ধনকে বাঁচিয়ে রাখে। আপনি যদি ইতিমধ্যে আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে সন্দেহবাদী হন তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। কারও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা অত্যন্ত সহজ, তবে এটিকে ফিরে পাওয়া আরও বেশি কঠিন।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে