পুরুষাঙ্গের সমস্যাই বর্তমানে ছেলেদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। যে সকল পুরুষের পুরুষাঙ্গ সবল বা সুস্থ তারা শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকেই সুস্থ এবং শান্তিতে থাকে। অন্যদিকে সাংসারিক বা পরিবারগত ভাবেও তারা বিশণ্ণতা বা ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত থাকে।
যাদের পুরুষাঙ্গে সমস্যা রয়েছে তারা শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই বিশণ্ণতায় ভুগেন। সাংসারিক জীবনেও তারা অসুখী হন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সংসার টিকে রাখাও কষ্ট কর হয়ে যায়। তাই আজ আমরা পুরুষাঙ্গ সবল রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
লিঙ্গের রক্তের চাপ কেমন থাকে তার উপর ছেলেদের লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ বড় হওয়া নির্ভর করে। এতে Corpora Kevarnosa নামের পাইপ সদৃশ গহবর টিতে কি পরিমাণ রক্ত এসে চাপ সৃষ্টি করে সেটাই পুরুষাঙ্গের বিশালত্ব এবং ক্ষুদ্রত্ব নিয়ন্ত্রক।
লিঙ্গ একটি মাংসপেশি। অন্য সব মাংসপেশি যেমন ব্যায়াম করলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তেমনি লিঙ্গও ব্যায়ামের মাধ্যমে বাড়াতে হবে। আর ব্যায়াম চালু না রাখলে যেমন মাংসপেশি শুকিয়ে যায় তেমনি পুরুষাঙ্গের আকারও কমে যাবে। কিছু কিছু পিনাইল সার্জারির প্রচলন বিদেশে আছে। তবে তা স্থায়ী কোনকিছু নয়। পেনিস পাম্প এর প্রচলন ও আছে। কিন্তু ব্যায়ামের চেয়ে ভাল কিছু আর নেই ।
গবেষণায় দেখা গেছে, যৌনাঙ্গের ঋজুতাও সবার সমান নয়। ওরাল সেক্সের পর বা সঙ্গমের পর যারা মেপে দেখেছে যে তাদের ঋজুতা যারা একা যৌন আনন্দ উপভোগ করে তাদের চেয়ে বেশি ঋজু। কারণ লিঙ্গের ঋজুতা নির্ভর করে রক্তচাপের উপর। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান লিঙ্গকে গড়ে ০.৪ইঞ্চি (১সেমি) পর্যন্ত ছোট করে দিতে পারে। লিঙ্গের আকার বৃদ্ধির তিন ধরনের ব্যায়াম আছে।
লিঙ্গ কখন সক্রিয় হয়?
স্বীকার করুন আর না করুন অবিবাহিত পুরুষদের লিঙ্গ দিনের চেয়ে রাতে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। বেশির ভাগ পুরুষেরই রাতে তিন থেকে পাঁচ বার লিঙ্গ সজাগ হয় যখন সে কোন রোমান্টিক স্বপ্ন দেখে। রাতে লিঙ্গের এই কার্যকারিতা লিঙ্গকে স্থিতিস্থাপকতা ও কুচে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। কারণ এটা একটা শারীরিক কার্যকারিতা। এজন্য অনেক ডাক্তার রোগীকে রাতের লিঙ্গের উত্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে যে কোন সমস্যা আছে কিনা।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের পেনিসের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত হওয়া উচিত?
বিশ্বজুড়ে সাধারণত উত্তেজিত লিঙ্গের গড় আকার ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। তবে লিঙ্গের আকার ব্যক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পাথ্যর্ক দেখা যায়। আমাদের দেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার পুরুষের জন্য সর্বচ্চো ৬ ইঞ্চি একটি ভালো আকার। বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারণে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়।
প্রায় অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরষাঙ্গ অনেক ছোট । বিশ্বজুড়ে সাধারণত উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে ৪.৭ থেকে ৬.৩ ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১ থেকে ৫.৯ ইঞ্চি।
তবে লিঙ্গের আকার ব্যক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পার্থক্য দেখা যায়। বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এটি মাইক্রোপেনিস নামে পরিচিত। তবে পেনিস ৪ (চার) ইঞ্চি হলেই স্ত্রীকে অর্গাজম দিতে কোনো প্রকার অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । অনেকের ক্ষেত্রে প্রোষ্টেইট ক্যান্সার অপারেশানসহ নানা রোগের কারণে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।