মানসিক রোগীরা কখনো কখনো অতিরিক্ত উত্তেজিত ও ক্রদ্ধ আচরণ করতে পারেন। কোনো ব্যক্তির মধ্যে যখন কিছু লক্ষণ নির্দিষ্ট সময় ধরে থাকে এবং হঠাৎ করে ওই ব্যক্তির আচরণ, চিন্তাভাবনা ও আবেগ-অনুভূতির ব্যাপক পরিবর্তন হয় এবং এ কারণে যখন তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তাকে তীব্র মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়।
শারীরিক তেমন জটিলতা না হওয়ায় অনেকেই বুঝতে পারেন না, কখন এ ধরনের রোগীদের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। রোগী যদি আক্রমণাত্মক হোন তবে নিম্নের আচরণ বা উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত-
যখন কোনো রোগীর আচরণে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়, বিশেষ করে তার আবেগীয় প্রকাশের পরিবর্তন আসে, তখনই তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
যদি রোগীর আচরণে অতিরিক্ত চঞ্চলতা, প্রলাপবকা, আক্রমণাত্মক আচরণ প্রভৃতি উপসর্গসহ জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন বা ভাঙচুর করার প্রবণতা দেখা যায়।
রোগী যখন নিজের অথবা আশপাশের মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ান। অর্থাৎ রোগীর কোনো আচরণ বা কাজ তার নিজের বা অন্যের জন্য কোনো বিপদ ডেকে আনে।
রোগী যদি এতটাই উত্তেজিত থাকেন যে ওষধু খাওয়ানো যাচ্ছে না বা ওষুধ খাওয়ানোর পরও উত্তেজনা প্রশমিত হচ্ছে না।
রোগীর মধ্যে যদি আত্মহত্যা করার প্রবণতা থেকে থাকে বা তিনি যদি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। যেকোনো ধরনের অনুভূতির প্রকাশে চরম অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে।
চারদিকের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে না পারা বা যখন তখন রেগে যাওয়া লক্ষণ প্রকাশ পেলে। পরিবারের কেউ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে আমরা অনেক সময় বিরূপ অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকি কিংবা আচরণের অস্বাভাবিকতা দেখলে ঝাড়ফুক, কবিরাজ এসবের আশ্রয় নিয়ে থাকি।
কিন্তু মনে রাখতে হবে, শারীরিক রোগের মতো মানসিক রোগেরও বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা রয়েছে। আর তার জন্য রোগীকে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে দেয়া জরুরি। তাই কারো আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরনাপণ্ণ হতে হবে।
মাহজাবিন আরা
প্রতিবেদক, মনের খবর