আপানার রোগটি স্লিপ ডিজঅর্ডার বা ঘুমের সমস্যাজনিত রোগ। আরো সঠিক করে বলতে গেলে ‘নাইট ম্যায়ার’। এতে মানুষ হঠাৎ করে ঘুমের ভিতর দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠে। বেশির ভাগ সময় প্রায় পুরো স্বপ্নটাই মনে করতে পারে। সাধারণ ভয়ের কোন একটি বিষয় ঘটে। একই স্বপ্ন বা প্রায় একই স্বপ্নই বারবার দেখে। ভয় নিয়েই ঘুম থেকে উঠে। কম বয়সীদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে বড়দেরও হতে পারে। শেষ রাতের দিকেই এই সমস্যা বেশি হয়। বলা হয় কেউ যদি উদ্বিগ্নতায় বা বিষণ্ণতায় বা বিশেষ কোনো মানসিক সমস্যায় ভোগে তাদের বেশি হয়। কোনো কোনো ওষুধ বা শারীরিক রোগের কারনেও নাইট ম্যায়ার হতে পারে। সুতরাং চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখতে হবে পিছনে কোনো কারণ আছে কিনা। থাকলে সেই কারণের চিকিৎসা বা সমাধান জরুরি।
সাধারণভাবে চিন্তা মুক্ত থাকা, ঘুমের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মানা বেশ কার্যকরী। যেহেতু ঘুম ভাঙার পরও মনে থাকে এবং বারবার প্রায় একই স্বপ্ন আসে তাই গল্পটির একটি যুক্তি তৈরি করাও উপকারী। বিষয়টি এমন, ঘুম ভাঙার পর গল্পের শেষটা নিজের ইচ্ছেমত ভালো দিকে নিয়ে যাওয়া। এবং নিজেকে বোঝানো, এটা সত্যি না। ঘুমের ভিতর ঘটেছে বা ঘটছে। তারপর গল্পটার ভয়ংকর দিক ঘুরিয়ে একটা সুন্দর বা স্বাভাবিক দিকে নিয়ে যাওয়া। বেশ কিছুদিন প্র্যাক্টিস করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পারলে আপনি এই প্র্যাক্টিস গুলি করতে পারেন। সেইসাথে টেবলেট Xcitin 4 mg, ১ টা করে রাতে খেতে পারেন। কাজে না হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করবেন। তবে, যদি নাইটম্যায়ার বা দুঃস্বপ্ন জনিত এই রোগ প্রতিদিনের চলাফেরা, কাজ বা ঘুমের কোনো সমস্যা না করে তাহলে চিকিৎসা না করালেও অসুবিধা নাই। এটিকে স্বাভাবিক জীবনের একটি অংশ হিসাবেও দেখা যেতে পারে। ধন্যবাদ।[/vc_message]
ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর।