কয়েকমাস ধরে বিশ্বব্যাপী বয়ে চলছে করোনা মহামারী। করোনা মহামারীর শুরুটা সবার জানা থাকলেও শেষটা কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না। আর এ কয়েকমাসে কম বেশি সকল মানুষই মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ও ব্যাধিগ্রস্থ হচ্ছে।
মানসিকভাবে ব্যাধিগ্রস্থ হওয়ার পিছনের কারণ হয়তো একেক জনের একেক রকম, কেউ আর্থিক সংকটে, কেউ হয়তো লকডাউনের মত পরিস্থিতিতির কারণে, কেউ পরিবারের কোন সদস্য হারানোর জন্য।
এসব কিছুর পিছনে কারণগুলোও এখন কোন না কোন ভাবে দাঁড়াচ্ছে ‘করোনা’। কারণ এই করোনা এখন বিশ্বে সকল কাজের পরিস্থিতিতির প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই করোনার জন্য মানুষ কম বেশি মানসিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। আর করোনার এই সময় চলাকালীন যখন আশেপাশে ঘটে যায় বড় রকমের কোন দুর্ঘটনা সেটা আরো বড় রকমের মানসিক আঘাতের কারন হয়ে যে দাড়ায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
করোনার এই সময়ে সকলেই একরকম হতাশায় ডুবে আছে। আর এ হতাশায় ডুবে থাকার মধ্যে যখন ঘটে কোন দুর্ঘটনা, স্বজন হারানোর কান্না, আহাজারি, বিছানো থাকে লাশের সারি, এসব কিছুই একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষকে মানসিক আঘাতে ক্ষতি করতে পারে, অসুস্থ করে তুলতে পারে। মেনে নিতে না পারা লোকজন সম্মুখীন হতে পারে বড় কোন মানসিক রোগের। তাদের স্বাভাবিক জীবন হয়ে উঠতে অস্বাভাবিক। করোনায় মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলা লোকদের অন্য কোন বড় দুর্ঘটনায় পুরোপুরি মানসিক রোগী করে ফেলতে পারে।
করোনা মহামারী সময়ে সুস্থ মানুষদেরও ধৈর্য্য ধরে নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে মানিয়ে চলাটাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে আশেপাশে ঘটে যাওয়া যানবাহনের বড় কোন দুর্ঘটনাও কঠিন জীবনকে আরো কঠিনতর করে তুলছে। এতো সব হতাশা আর ব্যধিগ্রস্থ পরিস্থিতিতে সহজেই হয়তো কাটিয়ে উঠা সম্ভব না। প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া কোন না কোন দুর্ঘটনা মহামারীর এই সময়ে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক কোন রোগের কারণ হয়ে হয়তো দাঁড়াবে।
এ দুঃসময়গুলো কেটে যেতে যদি দীর্ঘসময় লাগে, আর এ দীর্ঘসময়ে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক রোগের সংখ্যাও হয়তো বেড়ে যেতে পারে। দুঃসময়ের এ সময়গুলোতে কাউকে সহযোগিতার জন্য পাশে পাওয়া, কারো পাশে থেকে সহযোগিতা করা, হতে পারে অনেক বড় ধরনের মানসিক কোন সমস্যার সমাধান। দীর্ঘসময় ধরে হতাশার মধ্যে দিয়ে চলা লোকজনের সংখ্যা যদি বাড়তেই থাকে তাহলে একসময় হয়তো সহযোগিতা করা লোকের সংখ্যাই কমে যাবে। বড় কোন ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটার আগেই হতে হবে সচেতন।
কোন দুর্ঘটনা ঘটার প্রধান কারণই অসচেতনতা আর অসাবধানতা। আর এ অসচেতনতা আর অসাবধানতাই কত শত পরিবারের নানান দিক থেকে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই মহামারীর এই দুঃসময়ে সকলের বাড়তি সচেতনতা আর সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত।
লিখেছেন: সৈয়দা মুমতাহিনাহ্ সোনিয়া
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন