মানসিক শক্তি বাড়াবেন যেভাবে

0
64

অনেকেই মানসিক ভাবে দুর্বল থাকেন। যেকোনো কাজ করতে ভয় পান। অল্পতেই অস্থির হয়ে পড়েন।নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে এ সমস্যা সহজেই কাটানো সম্ভব।

সঠিক খাদ্যাভাস : পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে মানসিক শক্তি বাড়ে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য পুষ্টির বিকল্প নেই। প্রোটিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। ব্লুবেরী, আখরোট, বাদাম ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য দারুণ উপকারী। এগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় এবং মস্তিস্কের উর্বরতা বাড়ায়।ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় এমন খাবার খেলেও মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়ে।
পর্যাপ্ত ঘুম : মস্তিষ্কের বিশ্রাম প্রয়োজন। ঠিক মতো ঘুম না হলে মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। এ কারণে দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরি।

ব্যায়াম : ব্যায়াম ও বিশ্রাম দুটিই মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। মানসিক শক্তি বাড়াতে নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। এতে শুধু মাংসপেশিই উন্নত হয় না, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে। দৈনিক ১০ মিনিট হাঁটলেও মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ে।

মানসিক চাপ কমে : অতিরিক্ত মানসিক চাপ মানুষকে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম ও মেডিটেশন করা জরুরি।

একাগ্রতা তৈরি : মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে একাগ্রতা বাড়ানো জরুরি। এ জন্য কিছু কিছু খেলা যেমন-দাবা, মনোপলি, কার্ড খেলতে পারেন। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ভিডিও গেম এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের খেলা মস্তিস্কের ক্ষতি করে।

মেডিটেশন : মানসিক শক্তি বাড়াতে মেডিটেশন দারুণ কার্যকরী। দিনের যেকোনো সময় নিরিবিলিতে বসে একাগ্র চিত্তে মন থেকে চিন্তা ভাবনা দূর করার চেষ্টা করুন। প্রথম প্রথম করা কষ্টকর হলেও ধীরে ধীরে এটা বেশ ভালো কাজ দেয়। নিয়মিত মেডিটেশন করলে শরীর ও মন ভালো থাকে।

গভীর নিঃশ্বাসের চর্চা : বড় করে শ্বাস নেওয়া এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে দিয়ে নিঃশ্বাসের চর্চা করুন। এ ধরনের চর্চায় ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কাযর্কারিতাও বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত নিঃশ্বাসের চর্চা করলে মানসিক শক্তি বাড়বে।
সূত্র : স্টাইলক্রেজ

Previous articleকর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ
Next articleপ্রকৃতির সান্নিধ্য শিশুদের মানসিক চাপ কমায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here