দিনের আট ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি সময় আমরা কর্মক্ষেত্রে থাকি। এই দীর্ঘ সময় আমরা শুধু কাজই করি না অনেক সময় সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলি, আড্ডা দেই। এই কথা বলা আর আড্ডাটা যতটা না আমাদের সময় নষ্ট করায়, তারচেয়েও অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয় কাজের গতি। আসলে কাজের জায়গায় যদি সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি না হয়, তাহলে অফিসে থাকাটাই অসহনীয় হয়ে ওঠে।
তাই সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা খুব জরুরি। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে যা করা উচিত…
যখনই সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয় হাসিমুখে কথা বলুন। তার দিনকাল কেমন যাচ্ছে খোঁজ নিন। কাজের ক্ষেত্রে সে কোনো সমস্যায় পড়লে তাকে আপনার সাধ্যমত সাহায্য করুন, তার পাশে দাঁড়ান। আর এভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। ভালো কাজ করার ক্ষেত্রে এটা খুব সহায়ক। বন্ধুত্ব তৈরি জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। একজন বন্ধুহীন মানুষ কখনো সুখী হতে পারে না। যার প্রভাব তার কাজের ক্ষেত্রেও পড়ে।
কর্মক্ষেত্রে বেতন এবং পদবীর বিচারে নয়, এমনিতেই সবাইকে শ্রদ্ধা করুন। সহকর্মীরা কেমন পরিবার থেকে এসেছে এটা বিবেচনা না করে, তার কাজের মূল্যায়ন করুন।
সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনার সময় সতর্ক থাকুন, যাতে অন্য সহকর্মীর বিরুদ্ধে পরচর্চা করা না হয়। কেননা, পরচর্চার অনেক খারাপ দিক রয়েছে। আমরা যার সঙ্গে পরচর্চা করি, সে আমাকে কী ভাবছে এটাও বুঝতে হবে। আপনি আজ যার সঙ্গে বসে পরচর্চা করছেন, আগামীকাল সেই-ই হয়ত আপনার বিরুদ্ধে অপর কারও সাথে কথা বলতে পারে। নিশ্চয় এতে আপনার মন বিষাদগ্রস্ত হতে পারে।
একই অফিসে কাজ করতে করতে হয়তো নারী-পুরুষ সহকর্মী কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। দুজনের মধ্যে নির্ভরতা এবং ভালোলাগা তৈরি হতে পারে। তবে এই জাতীয় সম্পর্কে না জড়ানোই আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো। কেননা, কোনো কারণে আপনাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে দুজনের জন্যই কাজ সঠিক ভাবে চালিয়ে নেওয়া হবে কঠিন।
আপনার নির্ধারিত কাজ খুব সততার সাথে করুন। ভালো কাজের মাধ্যমেই আপনি সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন। কাজে অবহেলা আপনার ক্যারিয়ার এবং প্রতিষ্ঠান দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্ক কর্মপ্রেরণা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।