Close Menu
    What's Hot

    BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

    চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    লক্ষ্য নির্ধারন নিয়ে মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনের জুলাই সংখ্যা ২০২৫

    মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Wednesday, November 26
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম November 20, 2025

      BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

      Recent

      BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

      চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

      মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার November 5, 2025

      মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

      Recent

      মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » অভিভাবক এবং শিক্ষকের মিলিত সাহায্যেই শিশুদের শিক্ষাগত সমস্যা দূর করা সম্ভব
    শিশু কিশোর

    অভিভাবক এবং শিক্ষকের মিলিত সাহায্যেই শিশুদের শিক্ষাগত সমস্যা দূর করা সম্ভব

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কMay 27, 2019No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    শিশুদের জীবনে এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রভাব অপরিসীম। অভিভাকরা আবেগের বশবর্তী হয়ে কাজ করলেও শিক্ষকদের পক্ষে ধৈর্য ধরাটাই এক্ষেত্রে একান্ত কাম্য।

    অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মতো বড়দের সঙ্গে বাচ্চাদের যত্নের বিষয়টা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিশুদের জীবনে এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রভাব অপরিসীম। একজন ছাত্রের বা বাচ্চার সঠিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দৃঢ় পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা একান্ত আবশ্যক।

    যখন একজন ছাত্রের স্কুলজীবনে কিছু সমস্যা দেখা যায় তখন অভিভাবক এবং শিক্ষকদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এই সমস্যা ছাত্রটির পড়াশোনাকে ঘিরে, স্বাস্থ্যজনিত, সামাজিক বা তার আচরণগত হতে পারে। সাধারণত শিক্ষকরাই এই পরিস্থিতিতে চালকের আসনে বসেন। আবার এমনও হয় যখন শিক্ষকরা ছাত্রের সমস্যার কথা তার বাবা-মায়ের সামনে তুলে ধরেন এবং বাবা-মা তখন তাদের সন্তানের সমস্যা সমাধান করে তাদের জীবন রক্ষা করেন। কিছু ক্ষেত্রে আবার এও দেখা যায় যে, বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের উপর রেগে যায় বা তাদের নানাভাবে দোষারোপ করে এবং একজন শিক্ষক তখন সেই বাচ্চাটিকে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। এই দুইয়ের মধ্যে যে ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন, সমস্যা সমাধান বা জটিল পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দুটোই খুব কার্যকরী।

    বাচ্চারা যখন অভিভাবকদের উচ্চাশা পূরণ করতে পারে না তখন অভিভাবকদের মধ্যে একধরনের হতাশা, আতঙ্ক জন্মায়। এইসময় অভিভাবকদের প্রয়োজন কিছু সময় যাতে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে তারা মানিয়ে নিতে পারে। আর শিক্ষকদের এটা আশা করা একেবারেই অবাস্তব যে অভিভাবকরা বাচ্চাদের ব্যর্থতা খুব ধীর-স্থিরভাবে মেনে নেবে। এই সমস্যা সমাধানে শিক্ষকদের উচিত বাচ্চাদের বাবা-মায়েদের সাহায্য করা।

    মানুষের জীবনে গভীর মনস্তাপ বা দুঃখের সময়কাল

    এলিজাবেথ কুবলার-রসের মতো মনোবিদরা মানুষের জীবনের গভীর দুঃখ বা শোকের পর্যায় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পাঁচটা অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন। যখন অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের অসুখবিসুখ, পড়াশোনা, আচার-আচরণ বা অন্যান্য সমস্যার কথা প্রথম শোনে তখন তাদের মধ্যে গভীর দুঃখ বোধ বা মনস্তাপ করা শুরু হয়। মা-বাবার মনে বাচ্চাদের আদর্শ জীবন গড়ে ওঠার স্বপ্ন  ভেঙে যায় বলে এই বিষণ্ণতা দেখা দেয়। এটা খুবই গভীর হয় এবং এই অবস্থার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে অনেক সময় লাগে। খুব তাড়াতাড়ি এই দুঃখ জয় করা যায় না। জীবনের নেতিবাচক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রত্যেকটা মানুষেরই যে পরিমাণ সময়ের প্রয়োজন হয় তা একে অপরের থেকে আলাদা।

    কুবলার-রস বর্ণিত মানুষের জীবনে গভীর দুঃখ বা শোকের পাঁচটা অবস্থান হল-

    ১.অস্বীকার:মানুষের অন্যতম প্রবৃত্তি হল যখন সে অপ্রত্যাশিত কিছু শোনে তখন প্রথমেই সে ওই কথা অস্বীকার করে। যেমন- ”না ওখানে কোনও সমস্যা নেই। এটা আদৌ কোনও সমস্যা নয়।” সন্তানদের ব্যাপারে কোনও সমস্যার কথা শুনলে অভিভাবকরা প্রথমে তা পাত্তা দেয় না, তাকে ছোট করে দেখে বা ঘটনার বিকল্প কিছু ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করে। একটা বাচ্চার আচার-আচরণগত কোনও সমস্যা চোখে পড়লে বাবা-মায়েরা সেই পুরনো ধ্যান ধারণার বশবর্তী হয়ে বলেন যে তার বাচ্চা খুবই ‘লড়াকু’ স্বভাবের। একজন বাচ্চা যদি অন্য বাচ্চাদের মারধর করে তাহলে তার মায়ের যুক্তি হল অন্য বাচ্চাদের ভুলের জন্যই তার বাচ্চা মারধর করেছে। অর্থাৎ অন্য বাচ্চারাই তার ছেলে বা মেয়েকে দোষ করতে ভুল পথে চালিত করেছে।

    ২.রাগ:মাস্টারমশাই বা দিদিমণিদের মুখ থেকে নিজের বাচ্চার সম্পর্কে কোনও অভিযোগ শুনলে অস্বীকার বদলে যায় রাগে। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের বক্তব্য হল- ”আমার বাচ্চার কোনও সমস্যা নেই। আসলে শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষই জানে না একজন বাচ্চার সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয়।” এমন সব কথাবার্তাই অভিভাবকদের মুখে শোনা যায়। এমনকী, রাগ অনেক সময়ে ঈশ্বর-নির্দেশিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিছু ক্ষেত্রে, এইসব সময়ে পুরো বিষয়টাই সমস্যার আকার নেয়।

    ৩.দর কষাকষি বা দরাদরি:অভিভাবকদের ক্ষেত্রে এটা এক ধরনের নতি স্বীকার করার মতো বিষয়। ”যদি আমার বাচ্চা ক্লাসে বা স্কুলে থাকে, তাহলে আমি বাড়ির সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারি। বাড়িতে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে পারি, প্রভৃতি…”। ঠিক এমনভাবেই পুন্যার্থী বা দর্শনার্থীদেরও ঈশ্বরের সামনে আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায়। এটা স্বীকৃতির উচ্চতর পর্যায়।

    ৪.অবসাদ:এটা হচ্ছে সেই কঠিন সময় যখন অভিভাবকরা মেনে নিতে রাজি হয় যে তার বাচ্চার মধ্যে সত্যিই কোনও সমস্যা রয়েছে। আসলে এটা একপ্রকার পরোক্ষ স্বীকৃতি। ”আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে” অথবা এমন ধরনের ভাবনাচিন্তাই অভিভাবকদের অসহায় এবং শক্তিহীন করে তোলে; সন্তানদের ঘিরে সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে যায় বাবা-মায়েদের। এই পর্যায় অভিভাবকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়। এই পর্বে বাবা-মায়েরা ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা নিয়েও আর মাথা ঘামায় না বা তাদের সক্রিয় সহযোগিতা করে না।

    ৫.স্বীকৃতি:এটাই সেই সময় যখন অভিভাবকরা শেষমেশ মেনে নেয় যে সত্যিই তাদের সন্তানের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে, আর তাই শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকরা সহমত পোষণ করে। এই সময়ে অভিভাবক এবং শিক্ষকরা একসঙ্গে একজন শিশুর জীবনে উন্নতির জন্য সচেষ্ট হয়।

    প্রতিটি পরিবারেই এই ঘটনাগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘটে থাকে। স্বীকৃতির স্তরে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকদের কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না।

    আমার এক ছাত্র রয়েছে যে মিড্‌ল স্কুলে পড়ে, সে ডাউন্‌স সিনড্রোমে আক্রান্ত। সমস্যাটা তার জন্মগত। তার মা জেদ ধরে বসেছিল যে তার বাচ্চাকে মূল স্কুলে মানে বড় স্কুলে ভর্তি করবে। বাচ্চাটা মিড্‌ল স্কুলের লেখাপড়ার সঙ্গেই মানিয়ে নিয়ে চলতে পারছিল না, কিন্তু তার মা তাকে বড় স্কুলে পড়ানোর জন্য একেবারে নাছোড়বান্দা হয়ে পড়েছিল। এখনও ভদ্রমহিলা মনস্তাপের দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ রাগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন। আজ ১৩ বছর ধরে তিনি তাঁর সন্তানের এই অবস্থা নিজের চোখে দেখছেন।

    এমন অনেক পরিবার রয়েছে যেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই ধরনের সমস্যার সমাধানের উপায় আলাদা আলাদা হয়। এই তো গত সপ্তাহে আমি একজন বাচ্চার বাবাকে দেখলাম খুব উৎসাহ নিয়ে তার সন্তানকে সাহায্য করতে চাইছে। আমার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছিলেন এবং ছেলের বিষয়ে ভদ্রলোকের অনেক প্রশ্ন ছিল। তিনি আমায় বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী রেগেমগে এখনও নিজের ভাগ্যকে দুষছেন এবং হতাশ হয়ে পড়েছেন। ঠাকুর কেন তাদের সঙ্গে এমন করলেন তাই নিয়ে তিনি সমানে ভেবে চলেছেন। এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ভদ্রলোক তার সন্তানের খামতির বিষয় মেনে নিলেও বাচ্চাটার মা এখনও রেগে রয়েছেন।

    অভিভাবকদের ক্ষেত্রে সন্তানদের সঠিকভাবে সাহায্য করার বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান থাকে না। ফলে তারা অসহায় বোধ করে। এই জন্য সব দায়িত্ব তারা শিক্ষক এবং ডাক্তারের উপর ছেড়ে দিয়ে নিজেরা পুরোপুরি সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চায়। আমি এরকম অভিভাবকদের দেখেওছি। যখন আমি একজন নির্দিষ্ট অভিভাবককে তার বাচ্চার হোমওয়ার্কের রুটিন সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলাম তখন তিনি আমায় বলেছিলেন এটা শিক্ষকের জানা উচিত, অভিভাবকের নয়। বাচ্চাটার মা আমায় বলেছিলেন তিনি তো রোজ বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন!! তাই বাচ্চার হোমওয়ার্কের ব্যাপারে তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। সবটাই স্কুলের দায়িত্ব।

    শিক্ষকদের পক্ষে একটা কথা মনে রাখা খুব জরুরি যে, অভিভাবকদের করা কোনও মন্তব্য বা আবেগ তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়। সাধারণত এই বিষয়ে তাদের কিছু নির্দেশ করারও প্রয়োজন নেই। এটা অভিভাবকদের নিজস্ব ভাবনাচিন্তা। এক বাবা-মা তার মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে বিদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন। অনেকদিন পর তারা যখন বেড়িয়ে ফিরল তখন স্বভাবতই মেয়েটা তার সিলেবাসের পড়াশোনার অনেক কিছু বিষয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। যখন আমি তার মাকে বলেছিলাম যে সিলেবাসের পড়া সম্পূর্ণ করতে গেলে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে তার মেয়েকে একটু বেশি খেটে লেখাপড়া করতে হবে তখন ছাত্রীটির মা বলেন যে এটা আমার অর্থাৎ শিক্ষকের দায়িত্ব। মা হিসেবে হোমওয়ার্ক বা স্কুলের পড়াশোনার জন্য তাঁর কোনও সাহায্য পাওয়া যাবে না। তিনি বলেছিলেন এটা শিক্ষকের কাজ!

    অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি খুব গভীরভাবে আবেগান্বিত থাকেন। অন্যদিকে, শিক্ষকরা গোটা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করতে চান। কিন্তু আগাগোড়া অভিভাবকদের চিন্তায় এই বিষয়টা আদৌ স্থান পায় না। তাই অভিভাকরা আবেগের বশবর্তী হয়ে কাজ করলেও শিক্ষকদের পক্ষে ধৈর্য ধরাটাই এক্ষেত্রে একান্ত কাম্য।

    আমাকে একবার এক অভিভাবক জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তার বাচ্চা কেন অন্য বাচ্চাদের মতো পড়াশোনা করছে না এবং কখন সে অন্যদের মতো পড়াশোনা করতে পারবে। ওই অভিভাবককে আমার বোঝাতে খুব কষ্ট হয়েছিল যে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সব বাচ্চার মধ্যেই একইরকম গুণাগুণ থাকে না।

    অভিভাবকরা যখন তাদের সন্তানের ভবিতব্য মেনে নিতে প্রস্তুত হয় তখন একজন শিক্ষক অধীরভাবে চেষ্টা করে ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করতে। অভিভাবকরা বাস্তবকে মেনে নিতে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে। এবং শিক্ষকরা চায় বাস্তব সমস্যাটাকে সমাধান করতে। অত্যন্ত শান্তভাবে এবং অভিভাবকদের অনুভূতিগুলিকে বিবেচনা করেই শিক্ষককে এগোতে হয়। এক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যত তাড়াতাড়ি একটা বাচ্চার মূল্যায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে তত তাড়াতাড়ি তার জীবনে সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। তবে এর উপরে যতই গুরুত্ব দেওয়া হোক না কেন, শিক্ষক কখনোই একজন অভিভাবক ও তার আবেগকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের পারস্পরিক সম্পর্ক যদি শত্রুমনোভাবাপন্ন হয়, তাহলে একজন শিক্ষকের পক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করা কার্যকরী হয় না।

    শিক্ষক এবং অভিভাবকের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:

    • অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের শান্ত ও একান্ত ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে হবে।

    • আলোচনার জন্য অভিভাবকদের খুব সুন্দরভাবে আহ্বান করতে হবে।

    • শুধুমাত্র বাচ্চাদের সমস্যার কথা অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরলেই হবে না। তার সমাধানের পথও প্রস্তুত রাখতে হবে। এইজন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করা একান্ত জরুরি। বাচ্চাদের সমস্যা সমাধানের জন্য অভিভাবকদের সঠিক রাস্তা দেখাতে শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে।

    • অভিভাবকদের সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন শিক্ষকদের আবেগ প্রকাশ করা উচিত নয়। যতদূর সম্ভব বাস্তববাদী হওয়া দরকার।

    • শিশুদের আচরণগত বা অন্যান্য সমস্যার কথা বলতে গিয়ে শিক্ষকদের নিরপেক্ষ থাকা জরুরি। নিজস্ব মতামত দেওয়া ঠিক নয়।

    • আলাপ-আলোচনার সময় অতিরঞ্জিত বা কাটছাঁট করে কথা বলার দরকার নেই। যেমন- ”ক্লাস চলাকালীন সে বারবার বিরক্ত করে। তাই আমার মধ্যে কৌতূহল জেগেছে”- এভাবে বলার পরিবর্তে ”প্রতিটি পিরিয়ডে আপনার বাচ্চা তিনবার করে বাথরুমে যেতে চায়”- এভাবে বলাই যুক্তিযুক্ত।

    • শিক্ষকদের অভিভাবকদের পরামর্শ বা যুক্তিগুলো মন দিয়ে শুনতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে ক্লাসে পড়ানোর এর মধ্যে থেকে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে।

    • অভিভাবক এবং শিক্ষকদের পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার বিষয়গুলোকে আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে। যা কথাবার্তা হল সেগুলো লিখে রাখা জরুরি। আলাপ-আলোচনাগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়।

    • অভিভাবকরা যদি রেগে যায় তাহলেও শিক্ষককে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    • মনে রাখা জরুরি যে সব বাবা-মা অন্তর থেকে সন্তানের ভালো চায় এবং সন্তানের উপর বাবা-মায়ের প্রভাব অপরিসীম। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষকরাই হল অভিভাবকদের প্রধান ভরসা।

    অভিভাবক শিক্ষক শিশু
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleঅবসাদগ্রস্ত মানুষকে যেসব কথা বলা উচিত নয়
    Next Article বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025

    শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

    December 30, 2023

    ব্যাকামের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    November 16, 2023
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম November 20, 2025

    BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

    বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ BACAMH সদস্যপদ নবায়ন শুরু । ২০২৫ সালের…

    চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    লক্ষ্য নির্ধারন নিয়ে মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনের জুলাই সংখ্যা ২০২৫

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.