নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষই পরস্পরের থেকে আলাদা। একজন ব্যক্তি কোন পরিবেশে বেড়ে উঠছে, তার পারিপার্শ্বিক লোকজন কেমন, এমন অনেক কারণের ওপর নির্ভর করে তার চরিত্রের গঠন। নারী হলেই যে সে সব সময় আবেগতাড়িত হবে, তা মনে করার কোনো কারণ নেই। আবার পুরুষ মানেই যে সে সবজান্তা হবে, সে ভাবনাও ভুল।
বর্তমান যুগে নারী-পুরুষের বিভেদ করা শিক্ষাহীনতারই পরিচয়। তা সত্ত্বেও নারী ও পুরুষের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য থেকেই যাবে, যা সম্পূর্ণভাবে মানসিক। মনস্তত্ত্ববিদদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ছেলে ও মেয়ের ব্রেনের কাজ কারবারের ওপরেই মানসিক এই বিভেদ ঘটে।
‘সাইকোলজি টুডে’ নামে এক মেডিক্যাল ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারী-পুরুষের মধ্যে ১০টি মানসিক পার্থক্য রয়েছে-
১। পুরুষদের ব্রেন স্বাভাবিকভাবেই অঙ্ক কষতে পছন্দ করে। নারীরা পছন্দ করেন ভাষা।
২। মেয়েরা ঝগড়া করলেও সচরাচর মারামারি করে না। কিন্তু, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় সেটাই।
৩। কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আবেগকে প্রাধান্য দেয় না পুরুষরা। কিন্তু নারীরা আনুষঙ্গিক অনেক কিছু ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়।
৪। মজার কিছু হলে পুরুষরা হাসেন, কিন্তু নারীরা হাসেন যখন তারা মনে করেন হাসবেন।
৫। পুরুষদের কাছে তাদের গাড়ি অত্যন্ত প্রিয় বস্তু, তাই তারা তা পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করে। কিন্তু, নারীরা মনে করে, গাড়ি পরিষ্কার করা আর জুতোর তলা পরিষ্কার একই ব্যাপার।
৬। আবেগজড়িত ঘটনার কথা পুরুষদের তুলনায় বেশি মনে করেন নারীরা।
৭। জীবনে স্ট্রেস বাড়লে, পুরুষদের শারীরিক চাহিদা বাড়ে। যা একেবারেই উল্টো মেয়েদের ক্ষেত্রে।
৮। মানুষ বিচার করার ক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয় মেয়েদের।
৯। পুরুষের একজন নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রথম কারণ তার সৌন্দর্য। অন্য দিকে, দেখনদারি বিশেষ আকর্ষণ করে না নারীদের।
১০। সমস্যার কথা সাধারণত কারোর সঙ্গে আলোচনা না করেই মেটানোর চেষ্টা করে ছেলেরা। কিন্তু, মেয়েরা তা আলোচনা না করতে পারলে বেশি সমস্যায় পড়েন।
তবে উপরের বিভেদগুলি একেবারেই স্টাডি-ভিত্তিক। ব্যতিক্রম থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।