টিনএজ অর্থাৎ কৈশোর কাল বলতে সাধারণত আমরা যা বুঝে থাকি তা হলো ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়ে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ বয়সী ছেলেমেয়ের অধিকাংশেরই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে বেড়ে যাচ্ছে মেদ ও ওজন। যার কারণে দেখা দেয় হার্টে ব্লকের মতো নানান রকমের হৃদরোগ।
সম্প্রতি আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি ওজনের ফলে হৃদযন্ত্রে উপক্ষয় দেখা দেয়। যার ফলে বেড়ে যায় হার্ট সার্জারি। এদিকে পরিসংখ্যান বলে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৫ হতে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ছেলেদের হার্ট সার্জারির সংখ্যাই বেশি। অর্থাৎ ছেলেদের মধ্যেই দেখা গেছে অতিরিক্ত ওজন ও মেদবৃদ্ধি।
ব্রিটেনে এক তৃতীয়াংশ ছেলেমেয়ে তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ালেখা চলমান অবস্থাতেই অতিরিক্ত মেদ অথবা ওজনের অধিকারী হয়ে থাকে। জাতীয় মেদ বিষয়ক চেয়ারম্যান ট্যাম ফ্রাই বলেন, ‘এটি খুবই ভয়াবহ একটি বিষয়। অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং পরিমিত ব্যায়ামের অভাবেই মূলত ছেলেমেয়েদের মেদ ও ওজন বাড়ছে। ছেলেমেয়েদের মেদ বা ওজন না বেড়ে যেনো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে থাকে, সে বিষয় নিশ্চিত করা এখন আমাদের দায়িত্ব।’
এছাড়া হৃদরোগের পাশাপাশি, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের পরিমাণও অগণিত ভাবে বাড়ছে কৈশোরের ছেলেমেয়েদের। ২০১৭ সালের বছর ইউরোপের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক বছরেরও কম বয়সী ৪০০ শিশু অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে মেদ বেড়ে, হৃদরোগের শিকার হয়েছে। গবেষণায় স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় তাদের হৃদযন্ত্র ৩০ শতাংশ বেশি দুর্বল বলে দেখা গেছে। অস্বাভাবিক বড় হৃদয় হলো হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষ্মণ যা অতিরিক্ত ওজনের ফলে দেখা গেছে। ইউরোপে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এক বছরের কম বয়সী শিশু থেকে ২৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের হার্ট সার্জারির সংখ্যা ছিলো ৫০৭, যা গত বছর বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৫।
আর এজন্যই হৃদযন্ত্র সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে মেদ জাতীয় জাঙ্কফুড পরিহার করে, শাকসবজি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি সময় করে ব্যায়াম করে নেয়াও দরকার। যার ফলে মেদ কিংবা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি কোনোটারই ঝুঁকি থাকবেনা বরং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন পরিচালনা করা যাবে জীবনভর।
তথ্যসূত্র: সানডে এক্সপ্রেস।
অনুবাদটি করেছেন ইফ্ফাত আরা মুনিয়া।