শৈশবে মানসিক অবহেলায় গভীর, দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত হয়, যা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা বা তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দ্বারা হয় এবং তা শনাক্ত করা যায় না।
যখন আপনি শৈশবে আতঙ্কের সাথে বয়স্ক ব্যক্তির সাথে সময় কাটান, তখন আপনি লক্ষ করবেন ব্যক্তিটির আবেগ বা অনুভূতিগুলির সাথে আপনার আবেগ বা অনুভূতির যোগাযোগ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রথমে, আপনি ভাবতে পারেন এই ব্যক্তিকে আপনি যে কিছু বলেছেন তার দ্বারা ক্ষতি করেছেন। কিন্তু এটি একটি ক্রমাগত প্যাটার্ন হয়ে গেলে, আপনি আপনার ব্যবহারে কিছু ঠিক করতে বা পরিবর্তন করতে পারেন ।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই শৈশবের মানসিক অবস্থার সত্য হলো, তারা যখন শিশু ছিল, তখন তাদের আবেগ অনুভূতি কিছুটা এ ধরনের ছিল। একজন কল্পনা করতে পারেন, শিশু প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়িতে আসে এবং বাবা-মা তাদের সাথে ভাব বিনিময় করার ক্ষেত্রে অবহেলা করেন, এটি ‘দেখেও না দেখা’ অবস্থানকে সমর্থন করে। এই শিশুটি আবেগ ভাগ করে নিতে শেখে না এবং তারা কি অনুভব করছে তা বোঝাবার জন্য ক্ষমতা বা শব্দভাণ্ডার লাভ করতে পারে না।
তাদের কোনো নিরাপদ স্থান এবং পরিবেশ নেই, যেখানে তারা সুস্থ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সহানুভূতি লাভ করে। এটি তাদের জন্য বা তাদের চারপাশের অন্যদের জন্য অনেক সহমর্মিতার পরিবেশ না থাকার ফলে হতে পারে। সুস্পষ্ট যোগাযোগের অভাবে এমন হতে পারে।
যদি কেউ একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে মধ্যে যুক্ত থাকে যে মানসিক অবহেলার শিকার হয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি শিশুদের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার বিষয়টি লক্ষ করবেন। তারা শিশুদের নিয়মিত ভাব বিনিময় পদ্ধতি দেখতে পাবেন। তারা এ-ও লক্ষ করবেন যে, আপাতদৃষ্টিতে কঠিন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য শিশুরা দ্রুতই আসক্ত হয়ে যায়।
এটা আশা করা যায় যে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যারা অবহেলার শিকার হয়েছিলেন তারা শিশুদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারবেন। শিশুদের প্রতি এই মানসিক অবহেলা চলতে থাকলে তারা তাদের প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি বিচলিত হয়ে ওঠে এবং ক্রোধের জন্ম নেয়।
যদি আপনার এমন কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় থাকে, যে অবহেলার শিকার হয়েছিলেন, তবে আপনার সচেতন হওয়া ভালো যে, আপনাকে সমবেদনা প্রদান করতে হবে এবং তারা যে সবসময় একটি পরিপূর্ণ সুসম্বন্ধ বজায় রাখতে সক্ষম হবে এটা আশা করা যাবে না।
তথ্যসূত্র: সাইকসেন্ট্রাল ডটকমে প্রকাশিত Maria Bogdanos এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুমাইয়া জান্নাত সোমা।
লিংক: https://psychcentral.com/blog/how-childhood-emotional-neglect-affects-relationships/