প্রযুক্তির কল্যাণে সহজ হয়েছে আমাদের জীবন যাপন। তবে প্রযুক্তির অপব্যবহারে ক্ষতিও কম নয়। অনলাইন বিশ্বকে এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। আর এই অনলাইনে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখার হারও বাড়ছে দ্রুতই।
ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এঞ্জেলা গ্রেগরি বলেছেন, অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাসের কারণে তরুণ প্রজন্মের ছেলেদের যৌন স্বাস্থ্য ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি হসপিটালের এই চিকিৎসক বলেন, ইদানীং আঠারো থেকে পঁচিশ বছর বয়সী তরুণ রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যারা যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক জটিল সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসছেন।
তিনি বলছেন, “আমি খেয়াল করছি গত ষোলো বছরে বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে সাধারণ চিকিৎসকরা অনেক বেশি হারে তরুণদের আমার কাছে পাঠাচ্ছেন”। আগে এমনটা দেখেন নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তার মতে অতীতে বেশিরভাগ বয়স্ক পুরুষরা আসতেন ডায়াবেটিস বা হৃদযন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত নানা সমস্যা নিয়ে।
তরুণরা বড়জোর আসতো ইরেকটাইল ডিসফাঙ্কশন নিয়ে।
পনেরো বছর বয়সী নিক, এটা অবশ্যই তার আসল নাম নয় পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়েছেন আরও কয়েক বছর আগে।
নিক বলছিল, “যৌনতার সাধারণ কোন জিনিসই আমাকে এখন আর উত্তেজিত করে না। তাই দিনকে দিন আরো খারাপ ধরনের পর্ণের প্রতি আমার আগ্রহ হচ্ছে”
মিজ গ্রেগরি বলছেন, খুব সহজলভ্য অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে তরুণরা যে ধরনের ছবি বা যৌনতার ধারনা পান তা অনেকসময় বাস্তবতার সাথে মেলে না।
তাতে তাদের বাস্তব জীবনের যৌন সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারণ তারা তাদের সঙ্গীদের কাছে ঐ ধরনের অবাস্তব কিছু আশা করে থাকেন।
সূত্র: বিবিসি
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে