ভোরে জাগলে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে: গবেষণা

0
62
ভোরে জাগলে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে: গবেষণা
যাদের ভোরে ঘুমের অভ্যাস আছে তাদের থেকে যারা নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে জাগেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি কম। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটা দেখা গেছে।

গবেষণায় সার্কেডিয়ান ক্লক হিসেবে পরিচিত হিউম্যান বডি ক্লকের সঙ্গে জিনগত বৈশিষ্ট্যের সম্পর্ক উদঘাটন করা হয়। যেখানে ভোরে জাগার অভ্যাসের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির একটি সম্পর্ক পাওয়া যায়।
এর আগেও বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত ভোরে জাগেন তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের উপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ থাকে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

তবে ‘নেচার কমিউনিকেশনস’ জার্নালে প্রকাশিত এক্সেটার ইউনিভার্সিটি ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভোরে জাগা ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে দেহের জিনগত বৈশিষ্ট্যের সম্পর্ক রয়েছে।

৮৫ হাজার ৭৬০ জন লোকের উপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায়, কিছু লোকের ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা তাদেরকে অন্যদের থেকে ২৫মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠতে সাহায্য করে।

এই গবেষণাদল দেখেছেন যে, মানুষের এই জিনগত বিশেষ বৈশিষ্ট্য ঘুমানোর সময় নির্ধারণকে প্রভাবিত করে। তবে এটা ঘুমের গুণমান কিংবা স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করে না বলে গবেষকদের দাবি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিশেষ জিনগত বৈশিষ্ট্য সার্কেডিয়ান ক্লক নামে পরিচিত হিউম্যান বডি ক্লকে, মস্তিষ্কের জিনে ও চোখের রেটিনাল টিস্যুতে পাওয়া যায়।

এক্সেটার ইউনিভার্সিটি গবেষক অধ্যাপক মাইক উইডিন বলেন, এই গবেষণায় মানবদেহে বিশেষ ধরণের অসংখ্য জিনের সন্ধান পাওয়া গেছে। কীভাবে বিভিন্ন লোকের ভিন্ন ভিন্ন ‘হিউম্যান বডি ক্লক’ হয় তা জানতে এগুলো নিয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, গবেষণায় অন্তর্ভুক্তদের অধিকাংশরই রাত জাগার অভ্যাস ছিল এবং তারা সিজোফ্রেনিয়া ও নিম্ন মানসিক সুস্থতাসহ বিভিন্ন ধরণের মানসিক স্বাস্থ্যের উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল।

তাই নিয়মিত ভোরে জাগার অভ্যাস থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে বলে এই প্রতিবেদনে বলা হয়।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleমানসিক আঘাতজনিত ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সহায়ক উপায়
Next articleঅগ্রহণযোগ্য আচরণ এর কারণ অসামাজিক ব্যক্তিত্বজনিত রোগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here