সম্পর্কে একঘেয়েমি আর অশান্তি এড়াতে

0
128
দাম্পত্য সম্পর্কের বাঁধন আরও মজবুত করতে সাহায্য নিন আর্ট থেরাপির

দীর্ঘ সম্পর্কে ভাটার টান আসতেই পারে নানা কারণে। প্রাথমিক আবেগের পর সম্পর্ক যত স্থায়িত্বের দিকে  এগোয়, ততই পরস্পরের ভালো লাগা খারাপ লাগাগুলো যেন আমাদের আর তেমন স্পর্শ করে না। একটা উদাসীনতা দেখা দেয় সম্পর্কে, কখনও বা অবহেলাও।  আর সেখান দিয়েই ঢুকতে শুরু করে অশান্তির চোরাস্রোত। অশান্তি হাতের বাইরে বেরিয়ে গেলে টালমাটাল হয়ে যেতে পারে সম্পর্কের ভিত। তাই যদি মনে হয়, আপনাদের সম্পর্ক ঠিক সুরে বাজছে না, সাবধান হোন প্রথম থেকেই।

অভিযোগ করবেন না, সমাধান খুঁজুন
যারা সমস্যা খুঁজে বের করতে বেশি আগ্রহী, সমাধান নিয়ে নয়, তাদের বিবাহিত জীবনে কিন্তু নানা অসুবিধে হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী মধ্যে অমিল থাকবেই, তা থেকে সমস্যা হওয়াটাও বিচিত্র কিছু নয়। কিন্তু কীভাবে আপনি সমাধানের দিকে এগোচ্ছেন, তার উপরই নির্ভর করবে আপনাদের সম্পর্কের ভিত্তি। স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডের কোনও অভ্যেস আপনার পছন্দ না হলে সেগুলো নিয়ে কথা বলুন, কিন্তু দোষারোপ করবেন না। চেষ্টা করুন একসঙ্গে সমাধানে পৌঁছতে।

আলোচনা না করলে সমাধান হবে না
অপছন্দগুলোকে যত মনের ভিতরে চেপে রাখবেন, তত বাড়বে অশান্তি। ওর কোনও ব্যবহার আপনার পছন্দ না হলে চুপ করে সহ্য না করে, খোলাখুলি বলে দিন। তবে বলার আগে ঠিকভাবে নিজের যুক্তিগুলোকে সাজিয়ে নেওয়া দরকার। বিশেষ করে আপনি ঠিক কী চাইছেন, সেটা আপনাদের দু’জনের জন্য এবং সম্পর্কের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ঠিক কতটা ভালো, সেটা ওঁকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলুন এবং শুধরে যাওয়ার জন্য খানিকটা সময় দিন। রাতারাতি কোনও পরিবর্তন আশা করলে ভুল হবে।

শারীরিকভাবে সঙ্গীর থেকে দূরে সরবেন না
মনে রাখবেন, শারীরিক ঘনিষ্ঠতা দু’জন মানুষকে পরস্পরের কাছাকাছি আনা এবং ধরে রাখার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনারা প্রায়ই একে অপরের কাছাকাছি আসার মুহূর্তটাকে এড়িয়ে যাওয়ার বাহানা খোঁজেন, তা হলে কিন্তু সম্পর্কে বিপদঘণ্টি বেজে গিয়েছে। সারাক্ষণ যদি পরস্পরের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি হয় এবং সঙ্গীর দোষ খুঁজে ধারালো আক্রমণ শানাতে থাকেন অন্যজন, তা হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ঘনিষ্ঠতায় ভাটার টান আসার কথা। একে অপরকে ভালো লাগাটা খুব জরুরি, সেই কারণেই না আপনারা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?

বিয়ের পরেও অন্য কোনও নেশা আছে?
নানা ধরনের নেশা সম্পর্কের অকালমৃত্যু ঘটাতে পারে। তার মধ্যে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ভালো খাবার, অতিরিক্ত বন্ধুপ্রীতি আছে, তেমনই আছে অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপানের সমস্যাও। পরিমিতির মধ্যে থাকলে কোনওটাই খুব বড়ো ইস্যু নয়, কিন্তু মাত্রা ছাড়ালেই বিপদ। যদি নেশায় ডুবে যাওয়ার সময় মনে হয় যে সঙ্গীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে, তা হলেই সাবধান। বোঝার চেষ্টা করুন, নেশার কারণে ঠিক কীভাবে আপনার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  তা হলে ফোকাস করতে সুবিধে হবে, বিয়েটাও হয়তো বেঁচে যাবে।

নিজেকে হালকাভাবে নেবেন না
বিয়ের আগে নিজের সাজগোজ নিয়ে আমরা যতটা সচেতন থাকি, বিয়ের পর ততটা তো থাকেই না, উলটে আমরা নিজেকে খুব হালকাভাবে নিই। সাজগোজের প্রতি নজর থাকে না, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভাবি না, চেহারাও মোটা হয়ে যায় অযত্নে। এ কথা ঠিক যে ভালোবাসা গভীর হলে শারীরিক খুঁতগুলো চোখে পড়ে না। কিন্তু একইসঙ্গে আবার এ কথাও ঠিক যে, শারীরিক আকর্ষণ না থাকলে সম্পর্ক থেকে প্যাশন উবে যেতে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে। একে অপরকে বেশ খানিকটা সময় দিন, কথা বলুন, দরকারে একসঙ্গে কোনও ক্লাসে যোগ দিন… তা হলেই সম্পর্ক ফের উন্নত হয়ে উঠবে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

 

Previous articleযৌনস্বাস্থ্য নিয়ে যত ভুল ধারণা
Next articleডাউন সিন্ড্রোম: শিশুদের ক্রোমোজমের সমস্যা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here