লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিজোফ্রেনিয়া রিসার্চে প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে মস্তিষ্কের গঠন একজন ব্যক্তির হ্যালুসিনেশনের অভিজ্ঞতা লাভ করার সম্ভাবনা এবং মিউজিকের প্রতি তার ঝোঁক কতটুকু, তার সাথে সম্পর্কিত।
আগের কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত তাদের মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট স্থানে সাদা অংশের আধিক্য বেশী। মস্তিষ্কের এই অংশের নাম ‘করপাস ক্যালোসাম’। যা অসংখ্য স্নায়ুতন্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত। এটি মস্তিষ্কের দুটো অংশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
যে ব্যক্তিরা অডিটোরি হ্যালুসিনেশনের (যে কথা আসলে হচ্ছেই না তা শুনতে পাওয়া) শিকার তাদের করপাস ক্যালোসামের এই অখন্ডতা অনেক কম থাকে।
লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের গবেষকেরা ৩৮ জন সুস্থ ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন। যাদের বয়স ১৮-৬৩ বছরের মধ্যে। তাদের উপর হ্যালুসিনেশনের প্রবৃত্তি, সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁক এবং তাদের মস্তিষ্কের বিশদ গঠন এমআরআই স্ক্যানারের মাধ্যমে পরিমাপ করেন।
গবেষকেরা সেখানে লক্ষ্য করেন যে, অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁক বেশী রয়েছে। আর হ্যালুসিনেশনের প্রবৃত্তি অনেক কম পাওয়া গিয়েছে। এই গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁক ইতিবাচকভাবে করপাস ক্যালোসামের অখন্ডতার সাথে জড়িত। যেখানে হ্যালুসিনেশন এই তন্তুগুলোর অখন্ডতা, যা মস্তিষ্কের দুটি অংশকে জুড়ে দেয়ার গুরুত্ব কমিয়ে দেয়।
একটি পরিসংখ্যান সংক্রান্ত বিশ্লেষণ নির্দেশ করেছে যে, হ্যালুসিনেশনের প্রবৃত্তি এবং সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁকের মধ্যকার সম্পর্ক করপাস ক্যালোসামের সূক্ষ্ম গঠনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে৷
এই পরীক্ষণের গবেষক অ্যামি স্প্রে বলেন, ‘এই ফলাফলের গুরুত্বপূর্ন ক্লিনিক্যাল প্রভাব রয়েছে। যদি সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁক করপাস ক্যালোসামের সাদা অংশকে একত্রিত রাখে, তবে সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ ব্যক্তির হ্যালুসিনেশনের প্রবৃত্তিকে কমিয়ে আনতে পারে’।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে