আমি মো. করিম (ছদ্মনাম) । বয়স ৪৫। জামালপুরের ইসলামপুরে থাকি । একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি । গত পাঁচ বছর ধরে একটি সমস্যায় ভুগছি । হাঁটতে পারতাম না, একদিকে হাঁটতে গেলে অন্যদিকে চলে যেতাম । চেয়ারে বসলে কোনো কিছুর সাপোর্ট নিতে হতো । গাড়িতে চড়লে মনে হতো মাথা ঘুরে পরে যাবো । গাড়ির হর্নেও খুব সমস্যা হতো । মাথা ঘুরাতো, হাত কাঁপতো ।
এই সমস্যা নিয়ে প্রথম আমি জামালপুরের এক নিউরো মেডিসিনের ডাক্তারের শরণাপন্ন হই । সেখানে চিকিৎসায় সুফল না পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে একজন মেডিসিনের ডাক্তারের কাছে যাই । অনেকদিন সেখানে চিকিৎসা নিয়েও কোনো উন্নতি না হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেলেই আবার একজন নিউরোলজিস্টের কাছে যাই । সেখানে চিকিৎসা নিয়েও লাভ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নিউরোলজিস্টকে দেখাই । এখানেও প্রায় দুই বছর চিকিৎসা নিয়ে সুফল পাইনি । পাঁচটি বছর ধরে নানা চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়ে খুব হতাশ বোধ করতাম । বড় বড় ডাক্তারের চিকিৎসাতেও যখন কাজ হচ্ছিলো না, বুঝতে পারছিলাম না কী করবো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজিস্ট তখন আমাকে একজন মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠান । তিন মাস আগে মনোরোগের ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে অনেকটা সুফল পেতে শুরু করেছি । আমার মনে হচ্ছে, এত দিনে আমার সমস্যার মূল কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে । আমার অসুখটা মনোরোগ, এটা আগে বুঝলে অনেকদিন আগেই হয়তো সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যেতাম । মনোরোগের চিকিৎসা নিয়ে এখন আমি অর্ধেক সুস্থ । কিছুটা হাঁটতে পারি । মাথার পেছন দিকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যথা করতো, সেটাও অনেকটা ভালোর দিকে।
রোগীর কথা