স্ট্রেস বা চাপ নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে

0
37
মানসিক চাপ

বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি সাধারণ অভিজ্ঞতা হিসেবেই ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি সমস্যায় ভোগে। প্রতিদিন কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে স্ট্রেস অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায়।
জেনে নিন অভ্যাসগুলো-
ব্যায়াম
স্ট্রেস বা চাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করতেই হবে, তা হচ্ছে ব্যায়াম। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ব্যায়ামের ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমে যায়। পাশাপাশি শরীর চর্চার ফলে এন্ডেরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখে ও প্রাকৃতিক ব্যথানাশকের কাজ করে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের রাতে ভালো ঘুম হয়। অন্যদিকে যেখানে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটির কারণে ঘুম নষ্ট হয়। আরেকটি বড় ব্যাপার হচ্ছে, নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শারীরিক গঠন সুন্দর হয়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও মানসিকভাবে ভালো বোধ হয়।
সম্পূরক
স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সম্পূরক ব্যবহার হয়।
আরামদায়ক স্নান
চাপের কারণে অনেক সময় ঘুমে ব্যাঘাত হয়। আবার কাজ শেষে ফেরার পর শরীর-মন উভয়ই অবসন্ন মনে হয়। এর সহজ সমাধান হলো স্নান নেয়া। তবে পানি হালকা গরম হলে আরাম পাওয়া যায়। স্নান করার ১০-১৫ মিনিট আগে গোলাপ জল বা লেবুর খোসা ফেলে রাখুন। এরপর ওই পানি দিয়ে স্নান সারুন। এমনভাবে শরীরে পানি ঢালুন, যেন পানি মাথা বেয়ে ঘাড় ও মেরুদণ্ডের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ভালো বোধ হবে।
নিজের জন্য সময় রাখুন
নিজের জন্য সময় না রাখার দীর্ঘমেয়াদি ফল হতে পারে স্ট্রেস। তবে ভেবে দেখুন নিজের জন্য সময় রাখতে না পারার কারণে আপনি স্ট্রেসে আক্রান্ত হচ্ছেন। নিজের জন্য সারা দিনের এক টুকরো সময় বরাদ্দ রাখুন। নিজের শরীর, ত্বক ও চুলের যত্ন নিন। সপ্তাহে দুদিন বডি ম্যাসাজ করে নিতে পারেন পছন্দের তেল দিয়ে। নিয়ম করে ত্বকে ফেসপ্যাক লাগান। চোখের ওপর দুটি শসার টুকরা রেখে ২০ মিনিট বিশ্রাম নিন। অথবা ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে পড়ুন পছন্দের বই। ২০ মিনিট পর পামিস স্টোন দিয়ে পা ঘষে নিন। এতে আরাম ও যত্ন দুই-ই হবে।
নেতিবাচকতা এড়িয়ে যান
ইতিবাচকতা মানসিক প্রশান্তি আনে। স্ট্রেস দূর করতে পছন্দের কাজ করায় উৎসাহী হয়ে উঠতে হবে। মোটকথা সক্রিয় থাকতে হবে। নেতিবাচক মন্তব্য, আচরণ ও কাজ থেকে বিরত থাকুন সবসময়। স্ট্রেসের সময় এগুলোর চর্চা ভালো ফল দেবে।

Previous articleযেভাবে দূরে রাখবেন নেতিবাচক ভাবনা
Next articleসিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসায় শিল্পকলার ভূমিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here