স্ট্রেসে জর্জরিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে যা করতে পারেন

0
174
স্ট্রেসে জর্জরিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে যা করতে পারেন

দ্য স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির চিফ ডি-স্ট্রেসর নিল শাহ বলেন, স্ট্রেসের লক্ষণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। মূলত তাদের আচরণগত পরিবর্তনগুলো বুঝতে হবে। একজন উচ্ছ্বল এবং প্রাণবন্ত মানুষ হঠাৎ করেই চুপচাপ হয়ে গেলে বুঝতে হবে তিনি স্ট্রেসে আক্রান্ত।

নাইটিঙ্গেল হসপিটালের মনোবিজ্ঞানী ড. জেমস কাসটো বলেন, স্ট্রেসের সঙ্গে নানা ধরনের লক্ষণ জড়িত। এটা দৈহিক, মানসিক এবং আচরণগত দিক থেকে প্রকাশ পেতে পারে।

একজন অতিরিক্ত ক্লান্তবোধ করতে পারেন। এ ছাড়া মাথাব্যথা, পেশিতে টান অনুভব করা, বিশেষ করে চোয়াল, ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে হতে পারে।

ঘুমে সমস্যা স্ট্রেসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে ঘুমের অভাব পরিস্থিতিকে আলো ভয়াবহ করতে পারে। অযথা বিরক্তি ও রাগ সাধারণ লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
শাহ বলেন, যখন স্ট্রেস ক্রমশ বাড়তেই থাকে তখন লক্ষণীয়  মানসিক অবস্থা গভীরভাবে প্রভাববিস্তার করতে থাকে। এটা এক ধরনের মারাত্মক ক্ষতিকর চক্র সৃষ্টি করে।

ড. কাসটো জানান, যে মানুষটি স্ট্রেসে আক্রান্ত তার সঙ্গে সাবধানতার সঙ্গে আলাপ করতে হবে। তার প্রতি আপনার সহানুভূতিশীল হতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, আপনি সমস্যাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বুঝতে চান। এর জন্যে ব্যাপক আলোচনায় প্রস্তুত আপনি। এ ক্ষেত্রে আক্রান্তকে সময় দেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি বিষয়। একবার সফল আলোচনা হলে ওই মানুষগুলো অনেক হালকাবোধ করবেন।

স্ট্রেসে বিধ্বস্ত মানুষের সঙ্গে সফল আলাপে ৭টি বিষয় তুলে ধরেছেন ড. শাহ। এগুলো দেখে নিন:

১. আসল বিষয়টি বুঝতে আলাপচারিতায় মিশে যান। এতে করে সমস্যাগ্রস্তরা আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করতে দ্বিধা করবেন না।

২. এমনভাবে কথা বলবেন যেনো আপনি সমস্যা সমাধানের সঠিক উপায় বাতলে দিতে পারেন। জোর দিয়ে কথা বলুন। যেমন- আমি যেভাবে বলছি সেভাবেই করো ইত্যাদি।

৩. আলোচনায় বসা ভালো। তবে নিজেই শুধু বলেন না। এমনভাবে কথা বলুন যেনো স্ট্রেসে আক্রান্ত মানুষটি নিজেই তার সমস্যা বুঝে উঠতে পারেন।

৪. ইতিবাচক কথা বলুন। তাদের অন্যান্য বিষয়ে প্রশংসা করুন। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করুন যেখানে তাদের কার্যকলাপ নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য আসবে না।

৫. যারা ইতিমধ্যে স্ট্রেস কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সফলতার জন্যে আশাবাদী করে তুলুন।

৬. তাদের চিন্তাধারা বোঝার চেষ্টা করুন। যে বিষয়টি স্ট্রেসের কারণ হয়েছে, সে সম্পর্কে তারা কি ভাবেন তা বুঝতে হবে। ইতিবাচক অঙ্গভঙ্গিতে কথা বলুন।

৭. আলোচনার শেষে উৎসাহ প্রদান করুন। এখানে থেকে বেরিয়ে আসতে তারা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করুন।

অবস্থা খুবই খারাপ হলে একজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়াই সবচেয়ে ভালো। তবে স্ট্রেসে আক্রান্তদের মানসিকভাবেই সবচেয়ে বড় সাপোর্ট দেওয়া যায়।

সূত্র : হাফিংটন পোস্ট

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

Previous articleকরোনা পিতার সাথে সন্তানদের সম্পর্কের জন্য এক আশীর্বাদ
Next articleমহামারীর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাতে যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here