আপনি হয়তো দেখে থাকবেন এমন দম্পতিকে, যারা প্রথম থেকে আজও পর্যন্ত অনেক সুখে দিন পার করছে। এর কারণ কি জানেন? মূলত এর অন্যতম কারণ হচ্ছে দুজনে দুজনকে সময় দেওয়া। এছাড়াও নিজেদের অভিজ্ঞতা বেশিবেশি ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং একে অন্যের কাজে সাহায্য করা। আর একটি ভালো সম্পর্কের জন্য এ কাজগুলো খুবই গুরত্ব্যপূর্ণ।
যদি কেউ দাম্পত্যের প্রথম দিন থেকে কাজ ভাগাভাগি করে নেয়, তবে সে সম্পর্ক অনেক ভালো থাকে। শুধু তাই নয়, এটি সম্পর্ককে প্রাণশক্তিও বটে। আপনার সঙ্গীর ব্যবহার যদি সন্তোষজনক হয়, তবে তার প্রতি আপনাদের ভালোবাসা বাড়াবেই। একজন সঙ্গী অপরকে কতটা ছাড় দিচ্ছে এবং অপর সঙ্গী তা কতটুকু বুঝতে পারছে, তার উপরও সুখি দাম্পত্য নির্ভর করে।
দুজন একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া, টিভি দেখা, ঘুরতে যাওয়া, গল্প করা এই সবকিছুই একটি সম্পর্কের প্রাণ। আর যদি আপনি সঙ্গী থেকে আলাদা থাকেন, তবে তা আপনাদের মধ্যে দূরত্বই বাড়াবে শুধু। যদিও লিঙ্গ ভেদে নারী-পুরুষ আলাদা আলাদা ভাবে সম্পর্কের গভীরতাটা বাড়ায়, তবুও একে অন্যকে সময় দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
আপনি একটা কাজে আগ্রহী। কিন্তু আপনার সঙ্গীর সে বিষয়ে কোন আগ্রহ নেই। এমন বিষয় গুলোতে আপনাদের মানিয়ে চলতে হবে। না হলে আপনাদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়বে না, বরং কমতে থাকবে। একটা সম্পর্ক তখনই ভালো হবে, যখন দুজনই দুজনকে বুঝতে চাইবে ও সময় দিবে।
সঙ্গীকে গুণগত ও পরিমাণগত সময় দুটো দেওয়াই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে সঙ্গীরা নিজেদের সম্পর্ককে চালিয়ে নিতে ও গভীরতা বৃদ্ধি করতে উৎসাহ পায়। শুধু কাজের সময়ই না, নিজেদের হাসি-ঠাট্টা গুলোও ভাগ করে নিতে হবে ভালো সম্পর্কের জন্য।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে।
অনুবাদক: সুস্মিতা বিশ্বাস।