লম্বা ঘুম আর দুরন্ত যৌন জীবন একে অপরের পরিপূরক! এই দুয়ের সম্পর্ক সমানুপাতিক। আপনার পর্যাপ্ত না ঘুমানোর অর্থই হলো নিজেকে যৌন জীবন থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছেন।
একটা সময় গিয়ে পরিস্থিতি এমন জটিল অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াবে যে, ডাক্তারের দরজায় সকাল-বিকেল কড়া নেড়েও ফিরিয়ে আনতে পারবেন না যৌবনের দুরন্ত সময়গুলো। পর্যাপ্ত ঘুম শুধু শরীরকেই তরতাজা রাখে না, কর্মক্ষমতাই বাড়ায় না, যৌন জীবনে উদ্দীপনা বাড়াতে কাজ করে। মাত্রারিক্ত স্ট্রেস আর টেনশনকে দূরে ঠেলে যৌন জীবন উপভোগ করতে দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম একান্ত জরুরি।
সেক্সোলজিস্ট লরি মিন্টজ জানিয়েছেন, পুরুষ হোক বা নারী, কর্মব্যস্ত দিনের শেষে যদি রাতে ঘুমটা ঠিক মতো না হয়, তাহলে মেজাজ বিগড়ে যায়। শুধু শরীরে নয়, মনটাও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই যৌন মিলনের তাগিদটাই হারিয়ে ফেলেন অনেকে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ হ্রাস পায়। আর এই টেস্টোস্টেরন হরমোনই পুরুষদের যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে। ফলে কম ঘুমানোর অর্থই হলো আপনি যৌন জীবনকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। মজার ব্যাপার হল, ঘুম যেমন আপনার যৌন জীবনের উপর প্রভাব ফেলে, তেমনি আবার আপনার যৌন জীবনই রাতের ঘুমকে সুখময় করে তুলতে পারে।
সেক্সোলজিস্ট ইয়ান কার্নারের দাবি, পুরুষ হোক কিংবা নারী, শারীরিক মিলন যত কম হবে, ততই বাড়তে থাকবে অনিদ্রা। যৌনতার পর নারীদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিলেসের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে ঘুম ভালো হয়। তাই শারীরিক মিলন যতই সুখময় হবে, ততই নারীদের স্ট্রেস কমবে। আর দৈনন্দিন জীবনে যদি স্ট্রেস কমিয়ে ফেলা যায়, তাহলে নিশ্চিন্তের ঘুম আসতে বাধ্য। সুখময় যৌনজীবন উপভোগ করতে ঘুমের মেয়াদ বাড়ান।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে