যেসব শিশু ছোটবেলায় বিভিন্ন রকম মানসিক চাপ, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী হয় তারা বড় হলে নেশায় আসক্ত, জুয়াড়ি কিংবা বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগ ও রোগের উপসর্গ নিয়ে জীবন কাটায়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেন।
গবেষণায় তারা দেখতে পান, পারিবারিক বিরোধের মধ্যে বড় হওয়া শিশুরা বড় হলে জুয়া, মানসিক সমস্যা, মানসিক বৈকল্য, তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে অশান্তি, উদ্বাস্তু হওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পরবর্তী জীবন যাপন করে থাকে।
প্রায় ৩ হাজার ব্যক্তির উপর করা এ গবেষণাটি অ্যাডিক্টিভ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকদের একজন আমান্ডা রবার্টস জানান, এই ধরনের কার্যকলাপগুলো তারা ইচ্ছে করে করে থাকে এমনটি নয়। সমাজ কিংবা পরিবারের নানা ধরনের অসঙ্গতি, বিদ্রুপ আচরণ, এবং মানসিক বৈষম্য থেকেই স্বতন্ত্র ধরনের আচরণ করে থাকে তারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা গবেষণা করে দেখেছি শৈশবের বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ, পারিবারিক সহিংসতা ও নানান অসহিষ্ণুতা তাদেরকে বড় হওয়ার পর মাদক বা অ্যালকোহল ইত্যাদির দিকে আসক্তি বাড়ায়।
নেতিবাচকদের মধ্যে একটা বড় অংশই দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ কাজ যেমন কর্মসংস্থান না হওয়ার মতো ঘটনাকে অনেক বড় করে বিচার করে বিষণ্ণতায় ভোগে। আর এদের মধ্যেই জুয়াড়ি হওয়ার প্রবণতা বেশি বলে জানান রবার্ট।
গবেষণায় তরুণদের জীবনের উপর এই প্রভাবে পারিবারিক সহিংসতার কার্যকলাপকেই বড় করে দেখানো হয়েছে।
তবে তাদেরকে প্রয়োজনীয় রুটিন মাফিক চিকিৎসার আওতায় এনে চিকিৎসা করালে এই ধরনের প্রবণতা কমে যাবে বলে জানান গবেষকরা।
সূত্র: ডব্লিউএন