ছোটবেলায় যেই ছেলেটি মাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারতো না, সেই ছেলেটির এখন অফিসের ব্যস্ততায় ছয় মাসে একদিন মায়ের কাছে যাওয়ার সময় হয়না। আর বাবা ফোন দিলে কথা বলারও সময় হয়না। তাড়াহুড়ো করে কয়েকটি কথা বলে ফোন রেখে দিতে হয়। কিন্তু, চিরকাল তো তারা থাকবেন না!
বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রতিটি সন্তানের মনেই থাকে। আর সেজন্যই হয়তো তাদের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেন সবাই। তবে বার্ধক্যে বাবা-মাকে একটু ভালো রাখতে পারবেন কিন্তু আপনিই।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, বার্ধক্যে একাকীত্বের কারণে মানুষ দ্রুত অসুস্থ হয় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যায়। ১৬০০ জনের উপর গবেষণা করে তারা দেখেছেন যে একাকীত্বের কারণে সময়ের আগে মৃত্যুর হার বাড়ে ২৩%। দেখা গেছে যারা বুড়ো বয়সে একা ছিলেন, গবেষণা চলাকালীন সময়ে তারা অন্যদের তুলনায় গড়ে ৬ বছর আগে মৃত্যু বরণ করেছেন।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা সংক্রান্ত বিভাগের সিনিয়র কর্মী বারবারা মস্কোউইটজ বলেন, ‘আমাদের জীবনে এমন মানুষ প্রয়োজন যারা আমাদের মূল্য দেন, বোঝেন, ভালোবাসেন, আনন্দ দেন। অভিভাবকরা বার্ধক্যেও সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য অনেক বড় অবলম্বন।’
বর্তমান সময়ে পরিবারগুলো ছোট ছোট ভাগে স্বাধীন জীবন যাপন করছেন। ফলে বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে যাচ্ছে। বার্ধক্যের একাকীত্ব মেনে নিতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
অথচ তাদের সঙ্গে সময় কাটালে, তাদের গল্প শুনলে, অভিজ্ঞতা জানলে সমৃদ্ধ হয় পরিবার। সেই সঙ্গে তাদের আলিঙ্গন আর মজার সব রেসিপিতে কেটে যায় মানসিক চাপ। সেই সঙ্গে বার্ধক্যে একাকীত্বে ভুগতে হয়না বলে বাবা-মাও ভালো থাকেন জীবনের শেষ দিনগুলোতে।