নিয়মিত যোগ-ধ্যান মস্তিষ্ক শাণিত করে

বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার

মানবদেহের সবগুলো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে মস্তিষ্ক হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একটা সময় মস্তিষ্কই মানুষকে পাথরের অস্ত্র বানাতে শিখিয়েছে। তার অনেক’ বছর পরে মস্তিষ্কের জেনেটিক উত্তরসূরিরাই বানিয়েছে মহাশূন্য যান। পা রেখেছে চাঁদে। আমরা হয়তো বলতে পারি যে, বেতন তালিকা, হিসাব তালিকা, মহাশূন্য যানের গতিপথ নির্ণয়ের কাজ তো কম্পিউটার মস্তিষ্কের চেয়ে দ্রুত করতে পারে। পারে সত্যি। কিন্তু কম্পিউটারকে কে বানিয়েছে? মানুষই কম্পিউটারের প্রোগ্রাম বানিয়েছে, তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে।

মস্তিষ্ক শরীরের অনেক সূক্ষ্ম কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের হার্ট ও দম মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। ধরুন, গরম কিছুতে ছ্যাকা লাগার সাথে সাথে হাত সরিয়ে নেই আমরা। কে সরাতে সাহায্য করে? মস্তিষ্ক। এ নিয়ন্ত্রণ পরিচালিত হয় মানুষের সচেতনতার অজ্ঞাতে। কম্পিউটারকে সুইচ অফ করে বন্ধ করা যায়। কিন্তু মস্তিষ্ককে বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। আমরা কাজ করি বা ঘুমিয়ে থাকি, মস্তিষ্ক সবসময়ই সক্রিয় থাকে। কীরকম সক্রিয় তার একটি উদাহরণ দেই।

ড. ম্যানফ্রেড ইগান, জার্মানির বিখ্যাত ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালে তিনি কয়েকটি নিরীক্ষায় দেখেন যে, মস্তিষ্কের কোনো কোনো কেমিক্যাল রি-একশন সংগঠিত হতে সময় লাগে মাত্র এক সেকেন্ডের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ সময়। তিনি বলছিলেন যে, ধরুন একটি দ্রুতগামী গড়ি আসছে। তার নিচে চাপা পড়া থেকে বাঁচার জন্যে এক পা পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া ও তা কার্যকরী করার জন্যে মস্তিষ্কের এক লক্ষ নিউরোনের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের প্রয়োজন হয় এবং পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে। যে কারণে আমরা নিরাপদে ফুটপাতে এসে দাঁড়াই। পায়ের পেশি কিন্তু আমাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে আনে নি। মস্তিষ্ক পায়ের পেশিকে সরে যেতে যা যা করার করেছে। অর্থাৎ আমাদের মস্তিষ্ক এমনিতেই শাণিত।

ব্যায়াম মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়
মানবদেহের এগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গস্থ্য রাখার জন্য/ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো । যেমন ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম মেপিটেশন বা ধ্যান চর্চা।

উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে, শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা কার্যকরীÑএটুকু আমরা কমবেশি সবাই জানি। এছাড়াও শরীরকে দৃঢ় ও সবল এবং পেশির শক্তি বাড়াতেও ব্যায়ামের বিকল্প নেই। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ব্যায়াম মস্তিষ্কের শক্তিও বাড়ায়।

দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা প্রতিদিন অথবা নিদেনপক্ষে সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়াম করেন তাদের মস্তিষ্কের শক্তি ও কার্যকারিতা বাড়ে, মস্তিষ্ক হয়ে ওঠে অধিকতর সচল ও কর্মক্ষম।

গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিত ব্যায়ামে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ে। মস্তিষ্কের রক্তনালীর সংকোচন প্রতিরোধে সাহায্য করে, মস্তিষ্ক কোষ নিউরোনকে সবল করে, এমনকি নতুন নতুন নিউরোন তৈরিতে সাহায্য করে। আর এ গবেষণা-প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায়।

এ ব্যাপারে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির প্রফেসর জাস্টিন এস রোডস ব্যাপক গবেষণা ও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা, সাঁতার ইত্যাদি দৈহিক পরিশ্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুফলটি হলোÑএর ফলে মস্তিষ্কের সার্বিক ক্ষমতা ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়।

নিউরোসায়েন্টিস্টরা এতকাল ধরে বলে আসছেন যে, শিশুর জন্মের সময় তার মস্তিষ্কে যে সংখ্যক নিউরোন থাকে, বয়স বাড়লেও সেই সংখ্যাটি থাকে অপরিবর্তিত এবং একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে এর ক্ষয় শুরু হয়। কিন্তু নতুন গবেষণার ভিত্তিতে তারা এখন আশার বাণী শোনাচ্ছেনÑব্যায়াম কেবল মস্তিষ্ককে সবল করেই তোলে না, উপরন্তু মস্তিষ্কে তৈরি হতে থাকে নতুন নিউরোন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় নিউরোজেনেসিস।

বিজ্ঞানীরা আরো উল্লেখ করেন, তারা একদল ইঁদুরকে কয়েক সপ্তাহ ধরে উন্মুক্ত পরিবেশে রাখেন এবং অপর দলকে আবদ্ধ স্থানে রাখা হয়। পরবর্তীতে এদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখা যায়, যে দলটি উন্মুক্ত পরিবেশে ইচ্ছেমতো ছোটাছুটির মধ্যে ছিল তাদের মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসে নতুন নিউরোন তৈরি শুরু হয়েছে, কিন্তু অন্য দলের ক্ষেত্রে তা হয় নি।

তাই বলে তড়িঘড়ি এখনই জিমে ছুটতে হবে এমন নয়, খালি হাতের ব্যায়ামই আদর্শ। হাঁটাও দারুণ কাজে দেবে। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আর্ট ক্রেমারের মতে, সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ৪৫ মিনিট করে হাঁটলে আমাদের স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে। কারণ, ব্যায়ামের ফলে নিউরোনের সুস্থতার জন্যে প্রয়োজনীয় নিউরোট্রান্সমিটারগুলো উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। সেইসাথে মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স অংশে বাড়ে গ্রে-ম্যাটার বা ধূসর পদার্থের পরিমাণ। উল্লেখ্য, মস্তিষ্কের এই প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স থেকেই উৎসারিত হয় আমাদের সুখ ও আনন্দের মতো ইতিবাচক আবেগ-অনুভূতিগুলো।

এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কে নতুন সিন্যাপ্সের উৎপত্তি ঘটে এবং নিউরোনগুলোর মধ্যে তড়িৎ যোগাযোগ সুদৃঢ় হয়। শাণিত বুদ্ধিমত্তা অর্জনের জন্যে যা অত্যন্ত প্রয়োজন। ক্রেমার বলেন, নিউরোনগুলোর মধ্যে সংযোগায়নের এ প্রভাব এতটাই ব্যাপক যে, এর ফলে স্মৃতিশক্তি, পরিকল্পনা-দক্ষতা এবং একসাথে অনেক কাজ সামলানোর ক্ষেত্রে একজন সত্তরোর্ধ্ব মানুষের মস্তিষ্কও হয়ে ওঠে ৩০ বছরের তরুণ মস্তিষ্কের মতোই তুখোড় ও সৃজনশীল।

পেশির শক্তি বাড়ানোর আশায় অনেকে ভারোত্তোলন আর নানারকম শক্ত ব্যায়াম করে থাকেন। এর ফলে পেশির শক্তি বাড়ে ঠিকই, কিন্তু কীভাবে? গবেষণায় দেখা গেছে, এতে পেশির কোষগুলোর মধ্যে একধরনের রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক আন্তঃপারস্পরিক যোগাযোগের সৃষ্টি হয়। ফলে পেশিতন্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পেশি হয়ে ওঠে অধিকতর শক্তিশালী ও মজবুত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও আসলে বাড়ানো সম্ভব এভাবেই মস্তিষ্কের কোষ অর্থাৎ নিউরোনগুলোর মধ্যকার আন্তঃপারস্পরিক সংযোগ বাড়িয়ে। এতে মস্তিষ্কের সম্ভাবনা বাড়ে বহুগুণ। গবেষকদের মতে, এর অন্যতম উপায় হলো মেডিটেশন বা ধ্যান। যার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে আমরা হয়ে উঠতে পারি আরো চৌকস, আরো সৃজনশীল আর তীক্ষ্ণধী।
মস্তিষ্কের কাঠামো ও কর্মপ্রক্রিয়া উন্নত করার উপায় নিয়ে পরিচালিত অনেকগুলো গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলেন, এর একটি জাদুকরী প্রক্রিয়া হচ্ছে মনোযোগ, যা মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তন করতেও সক্ষম। পর্যাপ্ত মনোযোগের মাধ্যমে নিউরোনগুলোর মধ্যকার বৈদ্যুতিক সংযোগ-পথ হয়ে ওঠে আরো বিস্তৃত। এটি বোঝানো হয়েছে একটি উদাহরণ দিয়ে। যেমন, গভীর মনোযোগে একটি সুর যদি ক্রমাগত শোনা হয়, মস্তিষ্কের যে অংশের মাধ্যমে এটি অনুভূত হয় তা ক্রমশ বিকশিত হতে থাকে। আর মূলত এ মনোযোগই কোনো একটি কাজে আমাদেরকে দক্ষ ও চৌকস করে তোলে।

ব্রেনে ডোপামিনের প্রবাহ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তিকে উদ্দীপিত করার জন্যে ইদানীং কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট মার্থা ফারাহ্ পরিচালিত একটি গবেষণায় একদল স্বেচ্ছাসেবককে দুটি গ্রুপে ভাগ করে এক গ্রুপকে এসব ওষুধ সেবন করানো হয় আর অন্য গ্রুপকে শুধু প্লাসিবো অর্থাৎ ইতিবাচক বিশ্বাসে উজ্জীবিত করা হয়। পরবর্তীতে দুটি দলের কর্মদক্ষতায় ফারাহ্ কোনো পার্থক্য খুঁজে পান নি। এ গবেষণার ফলাফলে তিনি বলেন, ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে ডোপামিনের প্রবাহ বাড়িয়ে আপনি নিজেই আপনার ব্রেনকে উদ্দীপ্ত করতে পারেন। উপরন্তু, ইতিবাচক চিন্তার ফলে আপনার বিশ্বাসের শক্তি বাড়বে, যা কখনো ওষুধের মাধ্যমে সম্ভব নয়।

স্ট্রেস মস্তিষ্কের নিউরোনের ক্ষতির কারণ। স্ট্রেসের ফলে নিঃসৃত কর্টিসোল হরমোন নিউরোনের আবরণ মায়েলিন শিথ্-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কেবল তা-ই নয়, নিউরোনগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক যোগাযোগকেও বাধাগ্রস্ত করে তোলে কর্টিসোল। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, স্ট্রেসমুক্ত থাকতে পারলে মস্তিষ্কের সম্ভাবনাকে বহুগুণে বাড়াতে পারবেন। আর মেডিটেশন যে স্ট্রেসমুক্ত করে, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দূর করে তা এখন প্রমাণিত সত্য।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মস্তিষ্ককে শাণিত করে তোলা সম্ভব আমাদের সবার পক্ষেই। এজন্যে প্রথমত প্রয়োজন মেডিটেশন। কারণ, মস্তিষ্কের যে অংশটি আমাদের মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ করে নিয়মিত মেডিটেশনে তার পুরুত্ব বাড়ে। আর কাজে মনোযোগ বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ে আমাদের কর্মদক্ষতা। মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্টিস্ট আমিশি ঝা বলেন, মেডিটেশনের প্রভাবে মনোযোগ বাড়ে এবং আমাদের মস্তিষ্কের কর্মকাঠামো পরিবর্তিত হয়। আমরা হয়ে উঠি আগের চেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত, চৌকস ও কর্মতৎপর।

নিয়মিত মেডিটেশন করলে মনোযোগ এবং আরো বেশি সচেতনতা নিয়ে কাজ করা যায়। কেউ কেউ বলেন, তাহলে দুপুরের খাওয়ার পর কিছুটা ঘুমিয়ে নিলেও কি একইভাবে চাঙ্গা হওয়া যায় না? না, বলেছেন ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির বায়োলজির প্রফেসর ব্রুস ওহারা। তিনি একদল কলেজ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে একটি গবেষণা চালান, যেখানে নিদিষ্ট সময়ের জন্যে তাদের কিছু সংখ্যককে মেডিটেশন, কিছু সংখ্যককে ঘুম এবং বাকিদেরকে টেলিভিশন দেখানো হয়। এরপর একটা নির্দিষ্ট স্ক্রিনে বাতি জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বলা হয় একটি নির্দিষ্ট বোতাম টিপতে।

এ পরীক্ষায় দেখা গেল, যারা মেডিটেশন করেছে তারা অন্যদের চেয়ে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে তা করতে পেরেছে। যারা ঘুমিয়ে ছিল তাদের তৎপরতা ছিল তুলনামূলক ধীর। অর্থাৎ মেডিটেশনের ফলে মস্তিষ্কের সু-সমন্বয় এবং তৎপরতা বাড়ে। মেডিটেশনের এ ইতিবাচক প্রভাবের কারণেই ডয়েচ ব্যাংক, গুগল বা হাগস্ এয়ারক্রাফটের মতো বড় বড় ব্যবসায়িক কর্পোরেশনগুলো তাদের কর্মীদের জন্যে মেডিটেশন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে। তারা দেখছে, এতে করে তাদের কর্মীদের মেধা শাণিত হবার পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষমতাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। কর্মীদের অসুস্থতার হার কমেছে, কমেছে কাজে অনুপস্থিতির হারও।
ভারতীয় বিদ্যাভবনে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে পড়ুয়াদের পাঁচ মিনিট মেডিটেশন করাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

একেবারে ক্ষুদেরাও যেমন রয়েছে, তেমনি বাদ যাচ্ছে না একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারাও। চীনের স্কুলগুলোতে মেডিটেশন চর্চার ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। নতুন স্কুল, নতুন ক্লাস, নতুন সেমিস্টার এবং নতুন সিলেবাস নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যে সাধারণ ভীতি কাজ করে, তা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন স্কুলে গঠন করা হয়েছে মেডিটেশন ক্লাব। প্রতি বৃহস্পতিবার এই ক্লাবের সদস্য শিক্ষার্থীরা মেডিটেশন ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়। ফলে দেখা গেছে, অন্যান্যদের তুলনায় তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে এবং পরীক্ষায় তাদের ফলাফলও আগের থেকে ভালো।

Previous articleসময় দিন, মা-বাবা বাঁচবেন বেশীদিন
Next articleঅটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসায় ভাষাবিজ্ঞান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here