সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য শুধুমাত্র মা-বাবার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়

বয়ষ্ক এবং বাবা মায়ের তাদের সন্তান অথবা যেকোন শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসেবে দেখা বন্ধ করা উচিত। তাদের উচিত তাদের সন্তান অথবা যে শিশুটি মানসিক সমস্যায় ভুগছে তার সাথে খোলামেলা কথা বলা, জানতে চাওয়া তার কি ধরণের সমস্যা হচ্ছে।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত উকিল মাইক কিং বলেন, “সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য বাবা মায়ের ‘ব্যক্তিগত’ ব্যাপার বানানো বন্ধ করা উচিত এবং তাদের উচিত তাদের সন্তানের সাথে কথা বলা”।  
কিং এই সপ্তাহে স্কুল এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে উদ্বিগ্নতা, বিষন্নতা এবং আত্নহত্যা প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করার জন্য সাউথল্যান্ডে ছিলেন। মঙ্গলবারে ব্লু মাউনটেন কলেজ এবং মেনযিস কলেজ পর্যবেক্ষণ এবং ঘুরে দেখার সময় কিং তার নিজের উদ্বিগ্নতা ও বিষন্নতার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতা জানান। তিনি গত বছরও এই কলেজগুলোতে এসেছিলেন।
কিং বলেন তিনি জানেন মানসিক সমস্যা নিয়ে সাউথল্যান্ডে কি হচ্ছে, যেকোন সম্প্রদায়ের উচিত তাদের তরুণ তরুণী অথবা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলা। তিনি বলেন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কোন ব্যাক্তিগত ব্যাপার নয়। তিনি বলেন, “সম্প্রদায়গুলো মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা গুলোকে তাদের নিজেদের ব্যাপার মনে করছে, শিশুদের সমস্যা হিসেবে দেখছে না। আমাদের বাচ্চারা যখন আমাদের কাছে আসে আমরা ভাবি না যে আমাদের বাচ্চা কষ্ট পাচ্ছে দেখি আমাদের বাচ্চার একটা সমস্যা হচ্ছে”।
তিনি বলেন, “বয়স্করা সরাসরি বলবে এটি এই সমস্যার সমাধান তারা বলবে না যে আমরা মনে এটি এই সমস্যাটির সমাধান হতে পারে। তারা সমাধানটি শিশুটির উপর চাপিয়ে দিতে চায়”। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে সাহসের দরকার হয়। সবাই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চায় না। তবে এ বিষোয়ে খোলামেলা আলোচনা হলে ফলাফল অবশ্যই ইতিবাচক হত বলে ধারণা করা যায়।
“আমাদের সন্তানরা যখন কোন সমস্যায় পরে তারা আমাদের কাছে ভালবাসা ও সমর্থন চায়। আমাদের তাদের প্রতি আমাদের আচরণ পরিবর্তন করা উচিত” কিং বলেন।
প্রায়ই দেখা যায় তরুণ তরুণী কিংবা বাচ্চারা যখন সামাজিক মাধ্যম গুলোতে সমস্যার সম্মুখীন হয় তাদের বলা হয় এসব সামাজিক মাধ্যম থেকে সরে আসতে। কখনো তাদের সমস্যার প্রতিবাদ করতে বলতে শোনা যায় না। শুধুমাত্র বয়স বাড়া মানেই বড় হওয়া নয়, বয়সের সাথে সাথে মানসিক ভাবেও বড় হতে হবে। আর বাবা মা পারে সন্তানকে সবভাবে বড় করে তুলতে।
কিং বলেন, “সমস্যা থেকে সরে যাওয়া মানে সমস্যার সমাধান নয়। আমদের গাড়িতে কোন সমস্যা হলে আমরা গাড়ি টি ফেলে দেই না, জীবনে কোন সমস্যা হলেও আমরা জীবনকে হুট করে সব ছেড়ে দিতে পারি না, নিঃশ্বাসে সমস্যা হলে নিঃশ্বাস নেয়া বন্ধ করে দিতে পারি না। সবকিছুরই সমাধান রয়েছে খুঁজে বের করতে হবে”। তিনি আরো বলেন, “আমার প্রজন্মকে তার সন্তানদের সরাসরি সমস্যার সমাধান কি হবে তা বলা অথবা দেখানো বন্ধ করা উচিত। তাদের উচিত সমস্যার সমাধান কি হতে পারে অথবা তারা কি চিন্তা করছেন তা জানানো উচিৎ”।
তথ্যসূত্র-
(http://www.stuff.co.nz/national/education/90432002/parents-need-to-stop-making-mental-health-issues-personal-and-open-up-with-kids)
রুবাইয়াত মুরসালিন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম

Previous articleবিভিন্ন রূপে বিষণ্নতা
Next articleআমারা শিশুদের জন্য নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করতে পারিনি: ফুটবলার জুয়েল রানা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here