শিশুর মিথ্যা বলা কমাতে করণীয়

0
126
শিশুর মিথ্যা বলা কমাতে করণীয়
শিশুর মিথ্যা বলা কমাতে করণীয়

মনোবিদদের মতে, শিশুদের বলা সব মিথ্যা কথাকে এক দৃষ্টিতে দেখা ঠিক নয়। কোনো কোনো শিশু কল্পনাপ্রবণ হয়ে মিথ্যা বলে। কোনো শিশু আবার কারণে-অকারণে মিথ্যা বলে। এ কারণে শিশুর মিথ্যা বলা কল্পনার অংশ, না সত্যিই কোনো আচরণগত সমস্যা সেটা আগে বুঝতে হবে।

মনোবিদরা বলছেন, নানা কারণে শিশুরা মিথ্যা বলে। যেমন-
১. কোনো কোনো শিশু খুবই কল্পনাপ্রবণ। তাই সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গল্প তৈরি করে।
২. কেউ কেউ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যা বলে। যেমন- হয়তো তার সেদিন হোম ওয়ার্ক হয়নি বা কোনো কারণে স্কুলে যেতে ভালো লাগছে তখন পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা এসব বলে।
৩. মা-বাবা খুব রাগী হলেও অনেক সময় শিশুরা মিথ্যা বলে।
৪. শিশুরা দেখে শেখে। তাই বাড়ির বড়রা যদি মিথ্যা বলে তাহলে শিশুরাও মিথ্যা বলতে শিখবে।
৫. বড়োদের মতোই অপ্রিয় সত্য কথা গোপন করতেও শিশুরা মিথ্যে বলে।

আপনার শিশু যদি ক্রমাগত মিথ্যা বলে তাহলে তা সংশোধন করতে আপনাকেই উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন-
১. শিশুরা যা দেখে তাই শেখে। তাই আগে নিজের আচরণ পরিবর্তন করুন।
২. মিথ্যা বললে শিশুকে মারধোর করবেন না। বরং তাকে বুঝিয়ে বলুন।  যে সব শিশু কল্পনাপ্রবণ, তাদের কথাগুলো মজার গল্প বলে প্রশংসা করুন।
৩. মনোবিদদের মতে, ৬ বছর বয়সের পর শিশুদের ‘সুপার ইগো’র বিকাশ ঘটে। এ বয়সের পর থেকে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সে বুঝতে শেখে। এ সময় তাকে নীতিকথামূলক গল্প শোনান। মিথ্যা বলার প্রবণতা কতটা খারাপ সেটা তাকে বারবার বুঝিয়ে দিন। সূত্র : জি নিউজ।

মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন ক্রয়ের বিশেষ অফার

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

Previous articleসোশ্যাল মিডিয়া: মারাত্মক মানসিক ঝুঁকিতে মেয়েরা
Next articleমাটির সংর্স্পশ ডিপ্রেশন দূরকরণে সহায়ক:গবেষণা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here