নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে শিশুদের দেরিতে স্কুলে (কিন্ডারগার্টেন) ভর্তি করা হলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভূত উন্নতি ঘটে।
গবেষকদের একজন থমাস ডি, যিনি স্ট্যানফোর্ড গ্রাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনের একজন অধ্যাপক; তিনি বলেছেন, দেরিতে স্কুলে ভর্তি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকার বয়ে আনে। ড্যানিশ ন্যাশনাল সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের হ্যানস হেনরিক সিভার্টসেন এর সঙ্গে এই গবেষণা চালান থমাস ডি।
থমাস ডি বলেন, একটি স্কুলের ১১ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে করা এ গবেষণায় দেখা গেছে- ১ বছর দেরিতে ভর্তি হওয়া ৭৩ শতাংশ শিশু স্বাভাবিক ও নিয়মানুবর্তী হয়ে থাকে। এই শিশুদের মধ্যে অনিয়ম ও অস্বাভাবিক আচরণের ঝুঁকিও অনেক কম থাকে। এই গবেষণা শিক্ষাগত ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম এমন মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়াবলীর নতুন প্রমাণ।
অনিয়ম, অমনোযোগ ও হাইপারঅ্যাক্টিভিটি (অস্বাভাবিক আচরণ) হ্রাসের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি লক্ষ্য অর্জনে তার আবেগ এবং আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এতে করে শিশু-কিশোররা আরো মনোযোগী হতে পারে এবং পড়ালেখায় আরো ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ওই স্কুলের যেসব শিশুদের (৭ বছর বয়সী) মধ্যে অমনোযোগী ও অস্বাভাবিক আচরণের প্রবণতা কম তারাই ভালো ফল অর্জন করেছে। গবেষণাটি অন্য একটি গবেষণার সাথে সম্পর্কিত যেটি শৈশবের খেলার সময়কাল কতোটা বাড়ালে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে সহায়ক হয় তা নির্দেশ করে।
জার্মানি বা ফিনল্যান্ডের মতো অনেক দেশেই শিশুদের দেরিতে স্কুলে ভর্তি করা হয়। তাদেরকে শৈশবে বেশি বেশি খেলার সুযোগ দেয়া হয়। আমেরিকায়ও ধনীরা তাদের সত্নানদের দেরীতে স্কুলে ভর্তি করান। স্ট্যানফোর্ডের এ গবেষণা এটাই প্রমাণ করে, বয়স্ক শিশুরা বেশি সহনশীল, সক্ষম ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে।
অনুবাদ করেছেন: তৌহিদ সোহান
তথ্যসূত্র : এশিয়া ওয়ান (দ্য জাকার্তা পোস্ট/এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক)
লিংক : http://www.asiaone.com/health/delayed-school-entry-good-mental-health-study