ডা. ফয়সাল রাহাত
ফেইজ বি রেসিডেন্ট, এমডি (সাইকিয়াট্রি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ।
“বিশ্ব-জগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে”-জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘সংকল্প’ কবিতায় এভাবেই পুরো বিশ্বটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। তবে আক্ষরিক অর্থেই বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ঘরে বসেই এখন আমরা পুরো বিশ্বজগতের খোঁজ-খবর রাখতে পারি, আর সেটি সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেট ও কমিউনিকেশন ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে।
তবে ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে ঠেলে দেয় নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যার দিকে। অথচ ইদানীং অনেক শিশুর দৈনন্দিন সময়ের বড়ো অংশ কাটছে ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিনে। এতে চোখের সমস্যা দেখা দেওয়া, স্থূল হয়ে যাওয়াসহ নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন-টাইমে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ, তাদের দেরিতে কথা বলতে শেখার পেছনেও ডিভাইসের প্রভাব রয়েছে।
ডিভাইস ব্যবহারের সাথে শিশুদের দেরিতে কথা বলতে শেখার সম্পর্ক খুঁজতে ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। Cross Sectional পদ্ধতিতে পরিচালিত এ গবেষণায় ১৮ মাস বয়সি ৮৯৩ জন শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। অভিভাবকের দেওয়া বর্ণনানুযায়ী ২০০ জন শিশু গড়ে ১৫.৭ মিনিট ডিভাইস ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল এবং তাদের মধ্যে দেরিতে কথা বলতে শেখার হার ৬.৬%। প্রতি ৩০ মিনিট অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহারের কারণে এ হার আরও বেড়ে যায় (ORa= 2.33, 95% CI) । অতএব দেখা যাচ্ছে, শিশুর দেরিতে কথা বলতে শেখার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ডিভাইসের অপব্যবহার। কথা বলা ছাড়াও শিশুর মানসিক বিকাশের জন্যে তার জীবনের প্রথম বছরগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এ সময়ে তাকে ডিজিটাল ডিভাইসে অভ্যস্ত না করে বিকাশে সহায়ক পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে।
তথ্যসূত্র
https://journals.lww.com/jrnldbp/FullText/20 19/02000/Mobile_Media_Device_Use_is_A ssociated_with.3.aspx
- এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন – APPOIMTMENT
- আরো পড়ুন- বিবাহবিচ্ছেদ বৃদ্ধকালে কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয়?