আবদার করে না পাওয়া পর্যন্ত সে শান্ত হয় না

0
65
আবদার করে না পাওয়া পর্যন্ত সে শান্ত হয় না

সমস্যাঃ সমস্যাটা আমার ভাইয়ের ছেলের। বয়স ১২ বছর। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। সে অনেক জেদি এবং তার বায়নার কোনো শেষ নেই। সবসময় সে কোনো না কোনো বায়না করে। যখন কোনোকিছুর আবদার করে সেটা না পাওয়া পর্যন্ত সে কিছুতেই শান্ত হয় না। তার কোনো আবদার পূরণ করতে সবাই বাধ্য হয়। তাছাড়া আমার ভাইয়ের এই একটি মাত্র সন্তান। এজন্য সবাই তাকে খুব আদর করে। কিন্তু দিন দিন তার জেদ যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে তাতে সবাই তাকে নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ছে। আমরা বুঝতে পারছি না, এটা তার মানসিক সমস্যা কিনা। তাকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ দেখালে সে কি ভালো হবে? দয়া করে জানাবেন।

-হোসনে আরা শেফালী, নারায়নগঞ্জ।

 

পরামর্শঃ আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে সমস্যার বর্ণনা দিলেন তাতে আমার মনে হচ্ছে শিশুটির মূলত আচরণগত সমস্যাজনিত রোগ। সব শিশুরই কিছু না কিছু আচরণের সমস্যা থাকে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে তার জেদি আচরণ এবং জিনিসপত্র দাবি ও আদায় করার প্রবণতা দেখে মনে হচ্ছে সে ক্রমান্বয়ে একটা আচরণগত সমস্যা যাকে বলে ‘বিব্রতকর আচরণগত রোগ’ সেদিকে যাচ্ছে। শিশুর এই আচরণের সাথে পিতা-মাতার তার প্রতি মনোভাব ও আচরণ এবং তার আত্মীয়-স্বজনের মনোভাব ও আচরণও সংশ্লিষ্ট। যদিও বোঝা যাচ্ছে শিশুটিকে তার বাবা-মা এবং আত্মীয়রা যথেষ্ট ভালোবাসেন, তবে এই ভালোবাসাকে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখতে হবে। যাতে করে আপনার ভাইয়ের ছেলেটি সঠিক আচরণ করতে পারে এবং আর কোনো বিব্রতকর আচরণ না দেখায়। এজন্য আপনার ভাইয়ের ছেলেটিকে অবিলম্বে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা শিশু মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা শিশু সাইকোলজিস্টের সাথে দেখা করাতে পারেন। তারা শিশুটির আচরণ বিশ্লেষণ করে একটা পরিকল্পনা করতে পারবেন। তবে এই চিকিৎসা পরিকল্পনায় পরিবারের লোকজনেরও সংযুক্ত হতে হবে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

অধ্যাপক ডা. এম এস আই মল্লিক

অধ্যাপক ও শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ,

সাবেক চেয়ারম্যান মনোরোগবিদ্যা বিভাগ,

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

সূত্রঃ মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ৪র্থ বর্ষ, ৬ষ্ঠ  সংখ্যায় প্রকাশিত।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে  

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleমানসিক সমস্যা নিরসনে ভেষজ উদ্ভিদের ভূমিকা
Next articleঅভিভাবকদের মানসিক চাপ এড়াতে করণীয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here