পিলখানায় যখন মৃত্যুর উল্লাস বা পৈশাচিক বিষয়টি শুরু হয়ে যায়। তখন প্রথম দিকেই অনেক অফিসারকে মেরে ফেলা হয়। আমার বাবার সামনেই তখন প্রায় ৮-১০ জন অফিসার অলরেডি মারা গেছেন। আমার বাবার ডিলিউশনাল ডিসঅর্ডার ছিলনা, সে ভালো মতই জানতো যে তার জন্য মৃত্যুটা রিয়েল পরিবিলিটি। আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেনি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এভাবেই সেদিনের বিডিআর বিদ্রোহে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডে শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. লুৎফর রহমান খান-এর কথা বলছিলেন তার মেয়ে ডা. বুশরা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) আয়োজিত ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. লুৎফর রহমান খান স্মারক বক্তৃতা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) -এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মোত্তালিব । এবং আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) –এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. নিজাম উদ্দিন, তিনি অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য বিবেকবান জাতিগঠনে গুরুত্বারোপ করেন । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. তৈয়বুর রহমান রয়েল।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সেদিনের নৃশংস হত্যাকান্ডে শহীদ হওয়া সকল অফিসারকে স্মরন করে এই হত্যকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করে বলেন, মানুষ মনে করে সেনাবাহিনী আমাদের প্রতিরক্ষার দেয়াল। এই সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করার জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. হারুন আল রশিদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ-এর সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সহ-সভাপতি ডা. মো. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম এর জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সিএমএইচ, ঢাকা সেনানিবাস এর প্রাক্তন চীফ ফিজিশিয়ান জেনারেল ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ২০০৯ সালে সংঘটিত ভয়াবহ বিডিআর বিদ্রোহের নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান। এই স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়।
আরও দেখুন-