সমস্যা: আমার নাম রিতা। সমস্যা আমার মেয়ের। ছোট থেকেই সব পরীক্ষায় সে ভালো করেছে। কিন্তু এবার ইন্টারে এসে কম পয়েন্ট পেয়েছে। এজন্য কোনো ভালো জায়গায় চান্স পায়নি। এখন সবসময় মনমরা হয়ে থাকে, কান্না করে আর বলে-‘আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমার জীবনটাই ধ্বংস হয়ে গেছে।’ ছোটবেলা থেকেই সে খুব জেদি, খুব বেশি রেগে গেলে সে নিজের হাত কাটে। তারপর স্বাভাবিক হয়। বেশ কয়েকবার সে তার হাত কেটেছে। এখন মাঝে মাঝে হঠাৎ কান্না করে আর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে কি মানসিক রোগী হয়ে পড়ছে নাকি বুঝতে পারছি না। তাকে নিয়ে কী করব? পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করবেন।
পরামর্শ: ম্যাডাম রিতা, আপনার মেয়ের সমস্যার সমাধান চাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। হঠাৎ পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার নিশ্চই কোনো কারণ ছিল। প্রশ্নের ভেতর থেকে সেই কারণ খুঁজে বের করা কঠিন। পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার পরবর্তী সমস্যাগুলো স্বাভাবিক কারণেই ঘটেছে। পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে না পারার কারণে আপনার মেয়ে মানসিক চাপে ভুগছিল যা বর্তমানে বিষণ্ণতা নামক মানসিক অসুখে রূপ নিয়েছে। ছোটবেলা থেকে চলমান সমস্যাগুলো তার ব্যক্তিত্বের কারণেই ঘটেছে। শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে অন্যান্য ফ্যাক্টরের সাথে মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যথেষ্ট ভূমিকা আছে। পাওয়ার আনন্দ ও না-পাওয়ার বেদনা শিশুকে ছোটকাল থেকেই শেখাতে হয়। স্বাভাবিক আচরণ গঠনেও পরিবারকেই মূখ্য ভূমিকা রাখতে হয়। আমার মনে হয় সম্ভবত পারিবারিক অসচেতনতার কারণেই আপনার মেয়ের ব্যক্তিত্বের সমস্যা তৈরি হয়েছে। অবশ্যই, আপনার মেয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তার চিকিৎসার জন্য ঔষধের পাশাপাশি সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। ঔষধের ধরন ও পরিমাণ ঠিক করার জন্য আরো কিছু তথ্য জানার প্রয়োজন আছে। আপাতত Cap. Prodep 20mg ১টা সকালে নাস্তার পরে এবং Tab. Valex CR 300mg ১টা রাতে খাওয়াতে পারেন। সম্ভব হলে কাছাকাছি কোনো হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে অথবা কোনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।
সেরোটোনিন কী? এর বৃদ্ধি কিভাবে ? কোন কোন ঔষধের মাধ্যমে ? সেরোটোনিন স্বল্পতা শনাক্ত করার উপায় কী?
তিন মাস আগে প্রস্ন করেছিলাম উত্তর পাইননি এখনো
আমার বয়স ২০ বছর।ছোটবেলা থেকেই আমি অল্পতেই খুব রেগে যাই এবং অনিশ্চয়তায় ভুগি।আমার একটি সম্পর্ক হয়েছে আজ দুইবছর।প্রথম বছর খুব ভালো গেলেও এ বছর থেকেই দুজনের সিদ্ধান্তেে অমিলসহ, নানাবিধ ঝামেলালেগেই আছে।আজকাল সে আমার অল্প কথাতেই বিরক্ত হয়ে পড়ছে।আমাকে এভোয়েড করে চলে সব কিছুতেই । কিছু হলেই সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধকরে দেয়।আমিও সহ্য করতে না পেরে অনেকবার আত্নহত্যার চেষ্টা করেছি।সেও আমার প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়েছে।আমি তাকে ভুলতেই পারছি না।সেও তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত।এ অবস্থায় আমার করণীয় কি হবে?