যশোর মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মাহফুজুর রহামান (২০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর আগে ওই যুবককে মারধরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে শনিবার (২১ মে) ওই যুবকের মৃত্যুর পর তার মরদেহ প্রতিষ্ঠানটির সদস্যরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেখে চলে যায়। এরপর পরিবারের লোকজন জীবননগর থেকে এসে রোববার দুপুরে হত্যার অভিযোগ তোলেন।
ঘটনায় আজ সোমবার ভোররাতে নিরাময় কেন্দ্রের দুই পরিচালকসহ ১৪ জন কর্মকর্তাদের আটক করেছে পুলিশ।
প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নির্যাতনের চিত্র দেখে কেন্দ্রের দুই পরিচালক মাসুদ করিম ও আশরাফুল কবিরসহ ১৪ জনের নামে মামলা করেন নিহতের পিতা মনিরুজ্জামান। মামলার পর পুলিশ সব আসামিকেই আটক করেছে।
নিহতের চাচা সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আামর ভাতিজা মাহফুজ মাদকসেবী। তাকে গেল ২৬ এপ্রিল যশোরে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার বিকেলে খবর পাই তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজন মারধর করে হত্যা করেছে। পরে মরদেহ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যায়। আমরা পরিবারের লোকজন এসে মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাই।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার জানার পর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া এবং সিসিটিভি ফুটেজও পাওয়া যায়। এরপর রাতেই পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মাসুম করিম ও আশরাফুল কবিরকে আটক করে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে