Close Menu
    What's Hot

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Sunday, October 19
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 14, 2025

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      Recent

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » মেরিলিন মনেরো
    মনস্তত্ত্ব

    মেরিলিন মনেরো

    ডা. ফাহিম আহসান আল রশিদBy ডা. ফাহিম আহসান আল রশিদNovember 12, 2019No Comments7 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    মেরিলিন মনেরো
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    মেরিলিন মনেরো:
    ছোট থেকে বড়ো হতে মানুষ কতটুকু বদলায়? কেন বদলায়? নিজেকে মানুষ কতটাই বা বদলাতে পারে? বদলে বদলে বদলে বদলে একজন মানুষ যেখানে গিয়ে দাঁড়ায়, নিজেকে প্রকাশ করে সেই অবস্থানকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? সেটাই কি তার ব্যক্তিত্ব, রূপ, অবস্থান? সেই অবস্থানের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি সবসময় সরলরেখার মতো বিচার করা যায়? উত্তর সহজ নয়। কোনো কোনো চরিত্র সেই সরল ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বেও থেকে যায়।
    এই লেখায় এমনই একটি চরিত্রের কথা বলা হচ্ছে। যার জীবন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক সরলরেখার মতো সোজাসাপ্টা নয়। আরো যেন বেশি কিছু। সকল সুন্দরীর সৌন্দর্য যার কাছে এসে ফিকে হয়ে যায়, গেছে; হাজারো আবেদনময়ীর আবেদন যার কাছে এসেই দিক হারিয়ে ফেলে। তাঁর হৃদয়কাড়া হাসি, আকর্ষণীয় দৈহিক গঠন ও শারীরিক ভঙ্গিমা আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
    তিনি একাধারে অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পী, কমেডিয়ান এবং মডেল হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁর আবেদনময়ী পরিচয়ই আজও তাঁকে পৃথিবীর বুকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যে নামটি শুনলে সবার চোখের সামনে সেই হাস্যোজ্জ্বল এবং দু-হাতে স্কার্ট সামলানোর চিরচেনা ছবিটি ভেসে ওঠে। যে ছবিটি আজও মানুষের কাছে তীব্রভাবে আকর্ষণীয়। অনেকেই আবার একমাত্র এই ছবিটির মাধ্যমেই তাঁকে চেনেন।

    যিনি আজ অব্দি বিশ্বসেরা আবেদনময়ী নারী হিসেবে বিবেচিত হন। যার জন্ম থেকে মৃত্যু পুরোটাই রহস্যময়তার খামে বন্দি। আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের আজকের পর্বটি সেই আমেরিকান নারীকে নিয়েই, তিনি আর কেউ নন-মেরিলিন মনেরো (Marilyn Monroe)।

    দুনিয়া কাঁপানো এই আবেদনময়ী নারী ১৯২৬ সালের লস এঞ্জেলসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা গ্লাডিস পেয়ারল বাকের একজন ফিল্ম কাটার ছিলেন। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, মায়ের একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে মনেরোর পিতা কে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। একটি শিশু জন্মের পর যেখানে পিতার বুকের পরশে হেসে ওঠে অথবা কেঁদে ওঠে অথবা আজীবন পিতার নামটি বুকে লালন করে রাখে, মনেরো সেখানে জানতেনই না তার পিতা কে! আজ অবধি কৌতূহল ও রহস্যাবৃত নারী হিসেবে আমরা যে মনেরোকে জানি সেই মনেরো নিজেই কি আজীবন এই প্রশ্নের পেছনে ছুটেছিলেন? তার উত্তর হয়ত বা আমরা কখনোই খুঁজে পাব না।
    শৈশব দিয়ে শুরু করলে বলতে হয়, শৈশব একদম সুখের ছিল না মনেরোর। দারিদ্র্য ছিলো তাঁর মায়ের নিত্য সঙ্গী। যার ফলে মায়ের কোলে শৈশব কাটানোর ভাগ্যটাও হয়নি মনেরোর। ভরণ-পোষণে অক্ষম হওয়ায় তাঁর মা জন্মের পরই তাঁকে অন্য একটি পরিবারের তত্ত্বাবধানে দিয়ে দেন। নয় বছর বয়সে তিনি অনাথ আশ্রমে চলে যান। বলে রাখা ভালো, সারা বিশ্ব তাঁকে মেরিলিন মনেরো হিসেবে চিনলেও এটা কিন্তু তাঁর প্রকৃত নাম ছিল না। নর্মা জেয়ান ছিল তাঁর প্রকৃত নাম। মাত্র ১৬ বছর বয়সে নর্মা জেয়ান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ২১ বছর বয়সী প্রতিবেশী জেমস ডৌঘেটির (James Dougherty) সঙ্গে। বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সে বিয়ে। মাত্র চার বছরেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
    পরবর্তী বিয়ে এবং বিচ্ছেদগুলো আরো আশ্চর্যজনক। ১৯৪৬ সালে নর্মার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে জেমসের সঙ্গে। ততদিনে নর্মা ছোটখাটো মডেলিং শুরু করেছেন। আজকের আবেদনময়ী খুব সহজেই সাফল্যের সিড়ি খুঁজে পাননি। মাত্র পাঁচ ডলারের বিনিময়ে প্রথম মডেলিং শুরু করেন তিনি এবং ছোটখাটো কাজ করতে থাকেন। এভাবেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে ক্যারিয়ার শুরু হয় তাঁর। ১৯৪৬ সালে তিনি তার মাতৃপ্রদত্ত নাম নর্ম জেয়ান বদলে নিজের নাম মেরিলিন মনেরো ব্যবহার করা শুরু করেন। ১৯৪৭ সাল। নিজের সৌন্দর্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার দরজায় পা ছোঁয়ান তিনি।
    অর্থাৎ The Shocking Miss Pilgrim সিনেমাতে ছোট একটি চরিত্রের মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। তাঁর পরবর্তী চলচ্চিত্রও খুব একটা ভালো ছিল না। এই সিনেমাতে মাত্র দু-তিনটি দৃশ্যে রাখা হয় তাঁকে। পরবর্তীতে ভাগ্যদেবতা যেন একটু সদয় হলেন তাঁর প্রতি। কারণ পরবর্তী সিনেমা Dangerous Years-এ মোটামুটি মানের একটি চরিত্র পেয়ে যান মনেরো।
    ১৯৪৯ সালে Playboy ম্যাগাজিনে নগ্ন শরীরে মডেল হওয়ার মাধ্যমেই যেন যৌন আবেদনময়ী নারী হিসেবে মেরিলিন মনেরো এর পদচারণা শুরু। এর পরের বছরটা যেন সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ছিল মনেরোর জন্য-The Asphalt Jungle এবং Ges All About Eve চলচ্চিত্র দুটির মাধ্যমে দর্শক পেয়ে যায় তাদের কাঙ্খিত আবেদনময়ীকে। ইতিপূর্বে অন্য কোনো অভিনেত্রীর মাঝে যা পায়নি তাঁরা তাই নিয়ে হাজির হন মেরিলিন মনেরো।
    ১৯৫১ সালে মনেরো অভিনয় করেন Love Nest সিনেমাতে। দর্শকরা লুফে নিতে শুরু করে তাঁকে। কারণ হিসেবে বলা যায়, মনেরোর মাঝে দুটি দিক ছিল যার একটি হচ্ছে তাঁর অতি আবেদনময়ীতা এবং অন্যটি হলো তাঁর শিশুসুলভ দিক। মনেরো একে একে অভিনয় করেন Don’t Bother to Knock, Monkey Business, Gentlemen Prefer Blondes সিনেমাতে।
    Monkey Business ছবিতে মনেরোকে প্রথমবারের মতো বাদামি চুলের প্লাটিনাম ব্লন্ডে দেখা যায় যা পরবর্তীতে তাঁকে ট্রেডমার্কে পরিণত করেছিল। এরপর How to Marry a Millionaire, The Seven Year Itch চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মনেরো তাঁর আরেক প্রতিভার জানান দেন-কমেডি অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন তিনি শুধু আবেদনকে সম্বল করেই পথ চলেন না; একজন অভিনেত্রীর যা যা গুণ থাকা দরকার তার সবই তিনি ধারণ করেন। The Seven Year Itch সিনেমারই দৃশ্য সেই স্কার্ট পরিহিত বিখ্যাত ছবিটি, আমরা মনেরো বলতেই যে ছবিটিকে আজ চিনে থাকি। মনেরা মোট তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
    মনেরোর সম্বন্ধে যে কথাগুলো না বললেই নয় তা হলো-তিনি প্রচুর বই পড়তেন। তাঁর ৪০০ বই সমৃদ্ধ লাইব্রেরি যেন সেটাই বলে। তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল আব্রাহাম লিঙ্কনের জীবনী গ্রন্থ। প্রেসিডেন্ট কেনেডির সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন ছিল। মনেরো ছিলেন আজীবন স্বাধীনচেতা একজন নারী। ১৯৬২ সালে নিজের শোবার ঘরে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় মনেরোর মৃতদেহ আবিষ্কার করা হয়। এ সময় তাঁর হাতে ফোনসেটটি ধরা ছিল।
    আজ অবধি তাঁর মৃত্যু রহস্যঢাকাই রয়ে গেছে। কী কী ঘটেছিল, মনেরোর এই নাটকীয় ক্রমপরিবর্তিত জীবনে? পিতৃপরিচয়হীনতা থেকে নিজে নিজে নির্মাণ করা মাহাপরাক্রমশালী স্বকীয় আত্মপরিচয়, দারিদ্র্য আর আত্মপরিচয়হীন ইতিহাসকে পেছনে ফেলে ক্রমেই অর্থবিত্ত-বৈভব আর রূপে পরিপূর্ণতা পাওয়া, সর্বজনকাঙিক্ষত মেরিলিন মনেরোতে রূপান্তরিত হওয়ার পেছনের কাহিনি কী? আজ এখানে দাঁড়িয়ে তার পূর্ণ ব্যাখ্যা করা কঠিন।
    বিজ্ঞানের কিছু বিষয় যদি মনে করতে চাই তাহলে কিছুটা ব্যাখ্যা হয়ত করা সম্ভব। ধরুন, কেউ যখন তার নিজের অবস্থানে খারাপ থাকে, তখন তার মন খারাপ হয়। অন্যদের চেয়ে তার চিন্তার গতি কমে আসে। অসহায়ত্ব তাকে জাপটে ধরে। ধীরে ধীরে তার সম্ভাবনা বা ক্ষমতাটুকুও সে কাজে লাগাতে পারে না। স্বাভাবিক মন খারাপ ক্রমেই বিষণ্ণতা রোগে পরিণত হয় বা হতে পারে। মানসিকভাবে দুর্বল হতে থাকে তার সকল সম্ভাবনা।
    আবার উল্টোটাও হয়, হতে পারে। বাঘের সামনে জীবন বাঁচাতে মানুষ তার সর্বশক্তি দিয়েই চেষ্টা করে। তার কাছে জীবনের মূল্য তখন অনেক বেশি। সবসময় সেসব হিসেব করে করা সম্ভব হয় এমন নয়। অজান্তেই জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে সে সমস্ত শক্তি নিয়ে ছুটে চলে। দুর্বলতা মানুষকে শক্তিও দিতে পারে, দেয়। সবাই হাল ছাড়ে না। দুর্বল মুহূর্তে মানুষ তার টিকে থাকার চেষ্টা আরো বাড়িয়েও দিতে পারে।
    অনেক সময় যার অবস্থান যত খারাপ ঘুরে দাঁড়ানোর দিকে তার মনোযোগ তত বেশি হতে পারে। যে জানে আমি পরীক্ষায় খুব ভালো না করলেও পাশ করব, পড়াশুনায় তার মনোযোগ অত বেশি নাও হতে পারে। আবার যে জানে আমি খুব খারাপ অবস্থানে আছি, বেশি চেষ্টা না করলে ফেল করব সে হয়ত পড়াশুনা বাড়িয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ ফেল করা মানুষটি অন্য সাধারণ ছাত্র থেকে বেশি চেষ্টা করবে, তাতেই তার ফলাফল অনেক ভালো হয়ে যেতে পারে।
    এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো, অবশ্যই তার ভেতরের যোগ্যতা এবং সম্ভাবনা থাকতে হবে। নিজের জীবনের সমস্ত সম্ভাবনাকে মনেরো সম্পূর্ণ কাজে লাগিয়েছেন। তিনি অল আউট খেলেছেন। মানুষ পৃথিবীতে আসে নিজস্ব একটি সম্ভাবনার সংগ্রহ নিয়ে, সেসব কাজে লাগাতে হয়। নিশ্চিতভাবে মনেরো সেসব কাজে লাগিয়েছেন। তাই নর্মা জেয়ান থেকে তিনি পরিণত হন জগদ্বিখ্যাত মেরিলিন মনেরোতে।
    পৃথিবীর কাছে আজও তিনি রহস্যাবৃতা নারী হলেও, আজও এই গ্রহবাসী পুরুষরা অনিন্দ্যসুন্দর রূপ এবং অভিনয়গুণের কারণে তাঁকে মনে রেখেছে। নারীরা তাঁকে মনে রেখেছে তাঁর আকর্ষণীয় দৈহিক সৌন্দর্যের কারণে। পৃথিবী তাঁকে মনে রাখার একমাত্র কারণ যৌনতা ও আবেদনময়ীতা-স্বয়ং মনেরোও এটি উপভোগ করতেন না। তিনি সবার কাছে যৌনতার রানী হিসেবে থাকতে চাননি, থাকতে চেয়েছেন অভিনয়ের গুণে গুণান্বিতা একজন অভিনেত্রী হিসেবে।
    তাঁর জীবদ্দশায় এই যৌনতার রানীর ছায়াটা শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন, মনোযোগী হয়েছেন আবেদনময়ী না হয়ে অভিনেত্রী হিসেবে পর্দায় নিজেকে মেলে ধরতে। তিনি তা কতটুকু পেরেছেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা নাই হোক, অন্তত এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, আবেদনময়ী আর অভিনেত্রীর এই বিরাট ধাঁধাটা, মনেরো শেষ পর্যন্ত সমাধান করে যেতে পারেননি। চিরদুঃখী এই আবেদনময়ীর আক্ষেপ কিংবা ধাঁধার সমাধানের ভার তাই শেষপর্যন্ত তাঁর অগণিত ভক্তের কাছেই সমর্পিত !
    সূত্র: মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ২য় বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যায় প্রকাশিত।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleমানসিক রোগের চিকিৎসা:রোগীকে সারারাত জেগে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা
    Next Article ওথেলো সিনড্রোম: স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সন্দেহ
    ডা. ফাহিম আহসান আল রশিদ

    Related Posts

    কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    March 5, 2023

    ডিলুশন বা বিভ্রম এবং প্রচলিত বিশ্বাস

    October 5, 2022

    অপরাধপ্রবনতা ও অনুশোচনা : হ্যারী হুডিনির মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ

    September 7, 2022
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 14, 2025

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেল…

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.