Close Menu
    What's Hot

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Saturday, October 18
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 14, 2025

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      Recent

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      মনস্তত্ত্ব December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » মানুষের ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন-প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম
    তারকার মন

    মানুষের ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন-প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কJanuary 1, 2019Updated:August 23, 2020No Comments9 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    বাংলাদেশের মনোরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ তিনি। মনোরোগ চিকিৎসা সেবা, গবেষণা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম। ‍প্রবাসের অভিজাত জীবনের হাতছানি ফেলে দেশের মানুষের মনোচিকিৎসায় কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস। অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায়। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী এই মানুষটি ভূষিত হয়েছেন দেশি বিদেশি নানা সম্মাননায়। তিনি প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম। মনের খবর ‘তারকার মন’ বিভাগের বিশেষ পর্বে দেশের এই প্রবীণতম মনোচিকিৎসক তাঁর ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হল

    মনের খবর: আপনার ছেলেবেলা এবং শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: আমার ছেলেবেলা খুবই বৈচিত্রময় ছিল। প্রথম সাড়ে নয় বছর আমার গ্রামেই কাটে। লেখাপড়ার হাতেখঁড়ি হয় মায়ের কাছেই। এরপর আমাকে ক্লাশ টু-তে শরীয়তপুরের ডি.এম খালি প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু মাত্র ছয় মাস পরেই শিক্ষকরা আমাকে প্রমোশন দিয়ে ক্লাশ থ্রি-তে উঠিয়ে দেন। এরপর ক্লাশ ফাইভে উঠে বাবার কর্মস্থল ফরিদপুরে চলে আসি। সেখানে আমার সবচেয়ে মজার সময় কাটে আমার থেকে চার বছরের বড় চাচা ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাকের সাথে। চাচা-ভাতিজা হলেও আমাদের সর্ম্পক ছিল একেবারে বন্ধুর মত। আমরা যে পাড়ায় থাকতাম সেটি সাংস্কৃতিকভাবে খুব উন্নত ছিল। পাড়ায় লাইব্রেরী ছিল। আমি সেসময়ে গোয়েন্দা কাহিনী মোহন সিরিজের ১১০ টা বই পড়ে ফেলেছিলাম। ক্লাশ এইটে উঠতে উঠতে শরৎচন্দ্রের প্রায় সবগুলো উপন্যাস পড়া হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সেসময়টা বেশিরভাগই খেলার মাঠে এবং লাইব্রেরীতে কাটত। এরপর বাবা প্রমোশন পেয়ে ঢাকা চলে আসেন। আমি রাজবাড়ির রতনদিয়ায় চাচার কর্মস্থলে আসি। কারণ, নতুন বিবাহিত চাচি বিরাট বাংলো প্যার্টানের বাড়িতে একা থাকতে ভয় পেতেন, সেকারণেই সেখানে থাকা। সেখান থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। তখন ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। চাচার কারণে ভাষা আন্দোলনের নেতৃস্থানীয়রা আমাদের বাড়িতে বসেই সভা করতেন, পোস্টার আঁকতেন। আমিও সেসমযে তাদের সাথে সক্রিয় ছিলাম। এরপর ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হই। সেসময়েও প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি হত। সাড়ে সাত’শ জন পরীক্ষা দেয়, তার মধ্যে থেকে ৮০ জনকে মেধাভিত্তিতে নেওয়া হয়, বাকিরা নমিনেশনে এবং বেলুচিস্তানে মেডিকেল কলেজ না থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে সেখানকার ১০ জন ভর্তি হত। অসুস্থতা নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে সেখানে আমার মেধাক্রম ছিল ১৬ তম।

    মনের খবর: আপনার কর্মজীজন সম্পর্কে পাঠকদের জন্য যদি একটু বলতেন।
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: ১৯৬০ সালে মেডিকেল থেকে বের হই। সরকারি চাকরি না থাকায় কয়েকজন বন্ধু পাকিস্তান আর্মি মেডিকেল সার্ভিসে চলে যায়। আমি ১৯৬১ সালে পিএসসি’র পরীক্ষার মাধ্যমে  নির্বাচিত হয়ে সরকারি এসিট্যান্ট সার্জন হিসেবে যোগদান করি। কর্মস্থল ছিল পাবনা মানসিক হাসপাতাল। সেখানে দেড় বছর কাজ করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য সেসময়ের দুর্লভ একটি সরকারি স্কলারশীপ নিয়ে নিয়ে লন্ডন চলে যাই। তখন পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্কলারশীপ পাওয়া খুব কঠিন ছিল। আমার আগে মাত্র দুজন এ সুযোগ পেয়েছিলেন। মনোরোগ বিদ্যার শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য পৃথিবী বিখ্যাত লন্ডন ইউনির্ভাসিটির ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রিতে পড়ার সুযোগ হয় আমার। তিন বছরের কোর্স ছিল কিন্তু আমার মাত্র দুই বছরেই শেষ হয়ে যায়, যেটা ভীষণ বিরল ঘটনা ছিল। বাকী সময়টা আমি নিউরোলোজি, মেডিসিন, কার্ডিওলোজি, সাইকিয়াট্রি, চাইল্ড মেন্টাল হেলথ এর উপর পড়াশোনা করি। এরপর সেখানে চার বছর চাকরি করি। তখন কানাডাতে কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে চাকরীর অফার পেলেও আমি দেশে ফিরে আসি। কিছুদিন ময়মানসিংহ মেডিকেল কলেজে থেকে আবার প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষা দিয়ে আমার পুরোনো কর্মস্থল পাবনা মানসিক হাসপাতালে সিনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করি। তারপর সেখানে মেডিকেল সুপারিটেনডেন্ট হিসেবে ১৯৭০-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ছিলাম। এরপর যখন ঢাকায় আসি তখন আমার যোগ্যতা অনুযায়ী কোন পদ  ঢাকাতে ছিল না। আমার যিনি সিনিয়র ছিলেন প্রফেসর নাজিম উদ্দৌলা চৌধুরী, তিনি তখন পিজিতে ছিলেন। তারও একই অবস্থা ছিল। তার জন্য নতুন পদ তৈরি করা হয়। তখন আমাকে এ্যানাটমির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এর খালি পদের বিপরীতে সাইকিয়াট্রি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে সলিমুল্লাহ মেডিকেলে রাখা হল। এরপর থেকে আমি জাতীয় মানসকি স্বাস্থ্য ইনস্টটিউিট প্রতষ্ঠিার জন্য কাজ করতে থাকি। এই প্রতিষ্ঠানটি করতে গয়িে প্রাথমিক পর্যায়ে অনকে বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে একটি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানের আওতায় “অর্গনাইজেশন অব ট্রেনিং ইন মেন্টাল হেলথ” পরবর্তী সময়ে ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ এন্ড রিসার্চ এরও পরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতল প্রতিষ্ঠা লাভ পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কমপ্লেক্স, দ্বিতীয় পর্যায়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, তৃতীয় পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, চতুর্থ পর্যায়ে বর্তমান অবস্থানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ পর্যায়ে চালু হয়। জাতীয় মানসকি স্বাস্থ্য ইনস্টটিউিটে দায়িত্ব পালনের সময় আমি ৪৫০০ উপজলো র্পযায়রে কর্মরত ডাক্তার এবং ৬০০০ স্বাস্থ্যর্কমীকে সাইকয়িাট্রেিত প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশক্ষিণের ব্যবস্থা করি। সেই সময়ে প্রশক্ষিণ  অনকে চিকিৎসকই পরর্বতী সময়ে স্বনামধন্য মনোরোগ চিকিৎসক হসিবেে খ্যাতি র্অজন করে মূলত দেশে সুনামের সাথে কাজ করছে ও বেশ কয়েকজন বিদেশে কর্মরত আছে। এই প্রশিক্ষণের জন্য আমাকে আক্ষরিক অর্থেই টেকনাফ থকেে তেঁতুলিয়া র্পযন্ত প্রশিক্ষণের তদারকি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকেই ১৯৯৩ সালের ২৫শে মে অবসর গ্রহণ করি।

    মনের খবর: আপনি তো মেডিসিনে ভালো ছিলেন, সেখান থেকে সাইকিয়াট্রিতে কিভাবে এলেন?
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: এটা খুব মজার ঘটনা ছিল। আমি মেডিসিনে সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে এমবিবিএস পাশ করি। যখন পিএসসি  তে নির্বাচিত হই তখন মেডিসিনে পদ খালি ছিল না তাই আমাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইন্টারভিউয়ে যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, আমাকে দ্রুতই মেডিসিনে নিয়ে আসবেন। এবং তিনি তার কথা রেখেছিলেনও। তিন মাস পরেই তিনি আমাকে ফিরিয়ে আনতে চাইলেন এবং চিটাগং মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগে পোস্টিং দিলেন। কিন্তু ওই তিনমাসে আমি সাইকিয়াট্রিতে এত বেশি আগ্রহী হয়ে উঠলাম যে আমি আর ফিরলাম না। এবং যেহেতু এই বিষয়ে তখন লোকবলের অভাব ছিল, তাই সাইকিয়াট্রি নিয়ে কাজ করব বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম।

    মনের খবর: আপনার জীবনের উল্ল্যেখযোগ্য স্মৃতি কোনগুলো?
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি পাবনা মানসিক হাসপাতালে ছিলাম। আমার জীবনের স্বার্থকতা ছিল আমি ১৫৬ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করেছিলাম। তাদেরকে যথাযথ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম। তাঁদের মধ্যে চারজন বীরাঙ্গনাও ছিলেন। সেময়ে আমি পাবনা মানসিক হাসপাতালের ৪০০ শয্যাকে সরকারি পর্যায়ে আরো ৫০ শয্যা বর্ধিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এছাড়াও পেশাগত জীবনে তিনটা রোগীর ঘটনা আমার জীবনে উল্লেখযোগ্য। একজন ছিলেন ডিপ্রেশনের রোগী। ভদ্রমহিলা পিএইচডি করার সময় তার স্বামী মারা যান, নি:সন্তান সেই মহিলা তখন বেঁচে থাকার স্বার্থকতা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আত্মহত্যা করার জন্য তিনি টানা ২১ দিন না খেয়ে থাকার পর তাকে পাবনা নিয়ে যাওয়া হয়। আমি তাকে যথাযথ জরুরী চিকিৎসা দেওয়ার পরে সাইকোথেরাপীর মাধ্যমে বেঁচে থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। আরেকটি রোগী ছিল কনভারসন ডিজঅর্ডারের। সে রোগীকে প্রায় ছয়মাস মেডিকেল কলেজের কেবিনে চিকিৎসা দিয়েও ভালো না করতে পেরে পাবনা পাঠিয়ে দেওয়া হল। এই কেস স্টাডি করতে গিয়ে আমার সাইকিয়াট্রিতে আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। তারপর তো স্কলারশীপ নিয়ে লন্ডন চলে গেলাম।

    মনের খবর: নিজের অর্জনগুলোকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: কানাডাতে দুই হাজার ডলারের চাকরী ছেড়ে দেশে সাড়ে চার’শ টাকা বেতনের চাকরীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন যখন সাইকিয়াট্রির প্রবীণ চিকিৎসক হিসবে পেছন দিকে তাকাই তখন মনে হয় আমি সমাজ এবং দেশকে অনেক কিছু দিতে পেরেছি। এটা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের। আমার ব্যক্তিগত আরেকটি অর্জন হল আমি ঢাকাতে ব্যক্তিগতভাবে ঢাকা মনোরোগ ক্লিনিক প্রাইভেট লিমিটেড  ও ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি মেন্টাল হেলথ নামে মনরোগ চিকিৎসার একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি।  এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা ইউনিভার্সিটি, গণবিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ, বাংলা কলেজ সাইকয়াট্রি সোশ্যাল ওর্য়াকে মাস্টার্সে অধ্যয়ণরত ছাত্র-ছাত্রীদের ৬০ কর্মদিবসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আশির দশকের প্রথম দিকে রোগী দেখার জন্য সরকারি ভাবে যে ফী নির্ধারন করা হয় সেটা আর আমি আর কখনও বাড়াইনি। একই ফী নিয়ে এতদিন রোগী দেখে আসছি এবং ফি দিতে না পারা গরীর রোগীদেরকেও না দেখে ফেরত দেওয়া হয় না। আমার জীবনে আমি কখনও কমিশন বাণিজ্য করিনি। দেশে-বিদেশে কাজের জন্য প্রচুর স্বীকৃতি আমি পেয়েছি। আফগানিস্তানে প্রথম বাংলাদেশি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করে এসেছি। এর মধ্যে বড় স্বীকৃতি হল ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গ্লোবাল কংগ্রেস ইন মেন্টাল হেলথ-এ আমাকে ‘লীডারশীপ’ অ্যাওর্য়াডে ভূষিত করা হয়। যে অ্যাওর্য়াডটি এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে মাত্র কয়েক জনকে দেওয়া হয়েছে। দেশে মাদকাসক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য ইউএস গভমেন্টের নিমন্ত্রণে ছয়টি বিভিন্ন স্টেটে মাদকাসক্তি নিয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি, ডিমান্ড রিডাকশান, চিকিৎসা সেবা ও রিহ্যাবিলিটেশান প্রোগ্রাম হাতে কলমে পর্যবেক্ষণের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়। এই প্রোগ্রামটি মাদকাসক্তির ক্ষেত্রে একটি সফল প্রোগ্রাম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তবে সবচয়েে বড় র্অজন এবং র্স্বাথকতা হল আমি এখনও কাজ করে যাচ্ছি। রোগীদরে কাছ থেকেই আমি প্রচুর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং র্আশীবাদ পেয়েছি যা আমার সকল অর্জনের উর্দ্ধে। যতদিন দেহ মনে ভালো থাকি ততদিন যেন আমি এভাবইে মানসিক রোগীদের সেবা ও সমজকল্যানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে যেতে পারি।

    মনের খবর: সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হন কিসে?
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: সাইকিয়াট্রি নিয়ে কাজ করতেই আমার সবচেয়ে আনন্দ। আমি এখন যে সাইকিয়াট্রি করি তা মূলত নিজের আনন্দের জন্য। এখনকার সাইকিয়াট্রিস্টরা অনেক বেশি ভালো কাজ করছে। তাদের সকলের জন্য রইলো আমার শুভ কামনা। তারা এক্ষেত্রে আরো বেশি অর্থবহ অবদান রাখবে এই প্রত্যাশাই তাদের কাছে।

    মনের খবর: আপনার জীবনের প্রাপ্তি অনেক, এর মধ্যেও কোন অপূর্ণতা বা হতাশা আছে কি?
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: অপূর্ণতা যা সেটাও সাইকিয়াট্রি নিয়ে। সাইকিয়াট্রি এমন একটি সাবজেক্ট যেখানে মানুষের কর্মদক্ষতা কমে যাওয়ার ১০ টি ডিজিজের মধ্যের পাঁচটিই রয়েছে। অনেক রোগী সাইকিয়াট্রিতে এখনও পুরোপুরি ভালো হয় না তাই সাইকিয়াট্রির প্রতি রোগী এবং আত্মীয় স্বজনদের একটু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যদিও এখন সাইকিয়াট্রিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, কিন্তু পুরোপুরি হয়নি। তারপরও আমাদের প্রফেশনালসদের সেবা আরেকটু ভালো হলে আমি অন্তত খুশি হতাম।

    মনের খবর: রাগ, লোভ, ক্ষোভ, হিংসা এগুলো আপনার মধ্যে কতটা আছে?
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: রাগ, লোভ, ক্ষোভ সবার মধ্যেই থাকে- আমার মাঝেও হয়তো থেকে থাকবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব সাধারণ জীবন যাপন করি। লোভ, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা আমার মাঝে একরকম নেই বললেই চলে, থাকলেও একেবারেই কম। আমি মানুষের ভালোবাসা নিয়েই সন্তুষ্ট। আমি মানুষের জন্য করতেই পছন্দ করি।   আমার বাবার নামে আমি ৩২ বছর ধরে স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মেধাভিত্তিক স্কলারশীপ দিয়ে আসছি। শরীয়তপুর শিক্ষা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রেখে জেলার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে নিয়মিতভাবে ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময়ে মেডিকেল ক্যাম্প নিয়ে কাজ করছি।

    মনের খবর: আপনি মনের খবর এর প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সাথে আছেন, এবং দেখছেন। মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মনের খবর কি ধরণের ভূমিকা রাখছে এবং আর কি করতে পারে বলে মনে করেন?
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: এখন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ এখন বিভিন্ন মাধ্যমে পড়াশোনা করে অনেক কিছুই জানছে। সেই জায়গা থেকে মনের খবর মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষের সামনে নিয়ে আসছে। যেটা খুবই প্রশংসনীয় একটা কাজ। আমি প্রতি দুই বছর পরপর তরুণ উদীয়মান সাইকিয়াট্রিস্টদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য গোল্ড মেডেল ও প্রশংসাসূচক গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট দিয়ে থাকি। তো মনের খবর চাইলেও অবহেলিত এই সাবজেক্টে উৎসাহী করার জন্য এরকম কিছু  অথবা নতুন কোন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।

    মনের খবর: মনের খবরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম: তোমাকেও ধন্যবাদ। আর মনের খবরের সকল পাঠককে আমার পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

    প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম ভালোবাসা মনোচিকিৎসা মানুষ সাইকিয়াট্রি
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleপার্কিনসন্‌স ডিসিস্‌ বা হাত পা কাঁপা এবং ডিপ্রেশন
    Next Article ‘বিনামূল্যে’ পাওয়া যাচ্ছে ‘মনের খবর’ সকল সংখ্যার পিডিএফ কপি
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    এমডি সাইকিয়াট্রি জুলাই সেশনে পাশ করেছেন ১২ জন

    August 11, 2025

    ভুলে যাওয়ার নানা কারণ

    October 16, 2024

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের অক্টোবর মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    October 3, 2024
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 14, 2025

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেল…

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.