মানসিক সুস্থতা ছাড়া সফল হতে পারবেন না : জোবেরা রহমান লিনু

[int-intro]কিংবদন্তী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনু। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মালিক। মনের খবরের বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি তার মানসিক স্বাস্থ্য, মন বিষয়ে ভাবনা এবং মনের যত্ন নিয়ে কথা বলেছেন। তার মুখোমুখি হয়েছেন অভ্র আবীর [/int-intro]

[int-qs]কেমন আছেন?[/int-qs]

[int-ans]ভালো আছি।[/int-ans]

[int-qs]কেন ভালো আছেন?[/int-qs]

[int-ans]মানুষমাত্রই ভালো থাকতে চায়। তাই ভালো আছি।[/int-ans]

[int-qs]ভালো থাকা কেন জরুরি?[/int-qs]

[int-ans]ভালো থাকাটা জরুরি, কারণ আমরা যাই করি সবকিছুর মূলেই থাকে আমাদের ভালো থাকা। কেউই চায় না যেটা করলে তার খারাপ হবে, এমন কিছু করতে। আর ভালো থাকা ছাড়া বেঁচে থাকা খুব কঠিন। তাই ভালো থাকাও খুব জরুরি।[/int-ans]

[int-qs]ভালো থাকার জন্য প্রতিটি দিন কি জরুরি?[/int-qs]

[int-ans]ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভালো থাকার জন্য প্রতিটা দিন খুব জরুরি নয়। হাসি-কান্না, দুঃখ-কষ্ট সব মিলিয়েই তো জীবন। রোজ ভালো থাকলে তো আর ভালো থাকার মর্ম থাকবে না।[/int-ans]

[int-qs]ভালো থাকার জন্য কোন বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখেন বা বিশেষ কিছু করেন?[/int-qs]

[int-ans]বিশেষ কিছু বলতে খারাপ সময়কে সবসময় মনের জোর, ইচ্ছা শক্তি দিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি।[/int-ans]

[int-quote]ভালো থাকাটা জরুরি, কারণ আমরা যাই করি সবকিছুর মূলেই থাকে আমাদের ভালো থাকা। কেউই চায় না যেটা করলে তার খারাপ হবে, এমন কিছু করতে। আর ভালো থাকা ছাড়া বেঁচে থাকা খুব কঠিন। তাই ভালো থাকাও খুব জরুরি। [/int-quote]

[int-qs]মন আছে?[/int-qs]

[int-ans]অবশ্যই। মন ছাড়া তো মানুষ হয় না।[/int-ans]

[int-qs]কীভাবে মনের যত্ন নেন?[/int-qs]

[int-ans]মনের যত্নের ব্যাপারটি তো ওইভাবে আমরা কেউ কখনো চিন্তা করে দেখি না। তবে মনকে সান্তনা দেই, সাহস দেই যেন খুব বেশি ভেঙে না পড়ে।[/int-ans]

[int-qs]মন খারাপ হয়?[/int-qs]

[int-ans]প্রায়ই। মন ভালো যেহেতু হয়, তেমনি খারাপও হবে এটাই স্বাভাবিক।[/int-ans]

[int-qs]মন খারাপ হলে কী করেন?[/int-qs]

[int-ans]আনমনে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকি। তারপর ওই যে বললাম, ইচ্ছা শক্তি দিয়ে মন খারাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হই।[/int-ans]

[int-qs]দুঃখ, কষ্ট-এগুলোকে কীভাবে দেখেন?[/int-qs]

[int-ans]দুঃখ-কষ্ট নেই এমন মানুষ পাওয়া অসম্ভব। কেউ যদি বলে তার কোনো দুঃখ নেই, কষ্ট নেই, তারপরও বুঝে নিতে হবে কোথাও না কোথাও তার হয়তো চাপা কোনো কষ্ট আছে। অনেক সময়ই হাসি-খুশি মানুষ দেখে আমরা ভেবে নেই, এই মানুষটি অনেক সুখী। কিন্তু তারও হয়তো একটা কষ্ট আছে যা কখনো কাউতে তিনি বলেননি।[/int-ans]

[int-img name=””]https://monerkhabor.com/wp-content/uploads/2015/12/linu.jpg[/int-img]

[int-qs]রাগ করেন?[/int-qs]

[int-ans]না, আমি খুব বেশি রাগি না।[/int-ans]

[int-qs]অভিমান হয়?[/int-qs]

[int-ans]খুব বেশি। কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আস্তে আস্তে যখন বুঝতে পারি-যার ওপর অভিমান করেছি, সে মূল্যায়ন করছে না, তখন ঝেড়ে ফেলি।[/int-ans]

[int-qs]হিংসা করেন?[/int-qs]

[int-ans]হ্যাঁ। তবে নেতিবাচক অর্থে নয়। যখন কারো কোনো ভালো কিছু দেখি, তখন প্রচন্ড হিংসা হয়। ইশ, আমিও যদি এত ভালো হতে পারতাম কিংবা তেমন কোনো কাজ করতে পারতাম ভাবি।[/int-ans]

[int-qs]ভালোবাসা কেমন লাগে?[/int-qs]

[int-ans]ভালোবাসা সবসময়ই সুন্দর। আমার কাছেও এর ভিন্ন কিছু নয়। তবে ভালোবাসতে জানতে হয়, শিখতে হয়। ভালোবাসার মান রাখতে হয়।[/int-ans]

[int-qs]কখনো নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ মনে হয়েছে?[/int-qs]

[int-ans]হ্যাঁ। আমার জীবনে একটি সময় ছিল যখন খুব হতাশায় ভুগতাম। এক পর্যায়ে নিজেকে খুব মানসিক অসুস্থ মনে হয়েছিল।[/int-ans]

[int-qs]ভালো থাকার জন্য সাধারণত কি করেন?[/int-qs]

[int-ans]ভালো লাগা বা ভালো থাকার অনেক কারণ আছে। তবে আমার কাছে ভালো থাকার মানে কাজকর্ম করা এবং নিজের সন্তানদের সঠিক পথে চালানো। এভাবে ভালো থাকার জন্যই কাজ করি।[/int-ans]

[int-qs]মন খারাপ হয়?[/int-qs]

[int-ans]হ্যাঁ।[/int-ans]

[int-qs]কোনো বিশেষ কারণে কখনো মন খারাপ হয়?[/int-qs]

[int-ans]অবশ্যই। যখন কেউ না বুঝে কোনোকিছুর ভুল ব্যাখ্যা দেয় বা কেউ যখন ভুল পথে চালিত হয়, তখন খুব মন খারাপ হয়।[/int-ans]

[int-qs]মন খারাপ হলে কি করেন?[/int-qs]

[int-ans]মন খারাপ হলে সহ্য করি। ধীরে ধীরে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। এক সময় উড়িয়ে দেই। [/int-ans]

[int-qs]মানসিক স্বাস্থ্যকে কীভাবে দেখেন?[/int-qs]

[int-ans]মানসিক স্বাস্থ্য বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো, কোনো ঝামেলা ছাড়া কত শান্তিতে আছি। ব্যাপারটা আসলে তা নয়। যত ঝামেলাই থাকুক না কেন, তখনও যদি কেউ মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে বা ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করতে পারে তাহলে ভালো থাকাটা সহজ হয়। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা আমাদের অবশ্যই দরকার।[/int-ans]

[int-qs]‘যে কোনো কাজের পেছনে মানসিক সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ’-এ ব্যাপারে আপনার কী মতামত?[/int-qs]

[int-ans]যেকোন কাজ করতে গেলে যেমন শারীরিকভাবে সাবলম্বী হতে হবে, তেমনি মানসিক সুস্থতা ছাড়া কাজে সফল হতে পারবেন না। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা দুটোই সফল হওয়ার জন্য খুব দরকার।[/int-ans]

[int-img name=””]https://monerkhabor.com/wp-content/uploads/2015/12/o1-must.jpg[/int-img]

[int-qs]কখনো শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েছেন?[/int-qs]

[int-ans]এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অসুস্থতায় ভুগতে হয়নি।[/int-ans]

[int-qs]স্বপ্ন দেখেন?[/int-qs]

[int-ans]প্রায় রাতেই তো দেখি। সবচেয়ে বেশি দেখি, আমার শৈশব আর যৌবন।[/int-ans]

[int-qs]মানুষ হিসেবে আর কোনো স্বপ্ন দেখেন?[/int-qs]

[int-ans]আগে দেখতাম। এখন আর দেখি না।[/int-ans]

[int-qs]অন্যেরা যাতে পছন্দ করে বা অন্যের ভালো থাকা বা ভালো রাখার জন্য কিছু করেন?[/int-qs]

[int-ans]সবসময়ই মানুষের ভালো চিন্তা করে সবকিছু করি। হোক সেটি আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব। আমাকে যাতে অন্যদের ভালো লাগে সে বিষয়ে বলতে গেলে, সবসময়ই চেষ্টা করি ভালো হয়ে চলার, ভালো আচরণ করার। আরেক ধরনের মানুষ আছে যারা ইচ্ছে করে নিজেদের মানুষের কাছে ভালো হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। এ ধরনের মানুষ সবার কাছেই অপ্রিয়।[/int-ans]

[int-qs]নিজের কাছে মানুষ হিসেবে?[/int-qs]

[int-ans]নিজের কথা যদি বলি তাহলে বলবো, কেউ কখনো নিজের ব্যাপারে খারাপ বলেন না। আমি সবসময়ই সহজ-সরল একজন মানুষ। খেয়াল রাখি, কেউ যেন আমার কোনো কাজে কখনো কষ্ট না পায়। সবাইকে খুশী রাখার চেষ্টা করি। তবুও মানুষ তো, তাই ওটা পুরোপুরি হয়ে ওঠে না।
[/int-ans]

[int-qs]পেশাগত আপনি তো একজন সফল মানুষ। অন্য পেশায় এত সফল হতে পারতেন?[/int-qs]

[int-ans]হ্যাঁ। আমার ইচ্ছাশক্তির যথেষ্ট জোর আছে। একবার ব্যবসাও করেছি। যদিও খুব বেশি একটা বড় করতে পারিনি, তবে চাইলে অবশ্যই পারতাম।[/int-ans]

[int-quote]মানসিক স্বাস্থ্য বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো, কোনো ঝামেলা ছাড়া কত শান্তিতে আছি। ব্যাপারটা আসলে তা নয়। যত ঝামেলাই থাকুক না কেন, তখনও যদি কেউ মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারে বা ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করতে পারে তাহলে ভালো থাকাটা সহজ হয়। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা আমাদের অবশ্যই দরকার।[/int-quote]

Previous articleঅস্বাভাবিক আচরণ ২য় পর্ব: অস্বাভাবিক আচরণের কারণ কি?
Next articleএক তৃতীয়াংশ সিজোফ্রেনিয়া রোগী চিকিৎসায় সম্পুর্ণ সুস্থ হয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here