Close Menu
    What's Hot

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Friday, July 4
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম July 2, 2025

      বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

      Recent

      বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর May 3, 2025

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      Recent

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

      রাতে ঘুমাতে পারি না, সবসময় এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করি

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      দিনের চিঠি April 28, 2025

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      Recent

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      জীবনের ফাঁদে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, কায়দা করেও আর যেন বাঁচতে পারছি না!

      মা আর নিজেকে চেনেন না — ঘুম নেই, স্মৃতি নেই, পরিচ্ছন্নতাও নেই!

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      ফিচার December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » মানসিক রোগ নিয়ে ধারণা, ভুল ধারণা এবং বিবিধ -পর্ব ৩
    কুসংস্কার

    মানসিক রোগ নিয়ে ধারণা, ভুল ধারণা এবং বিবিধ -পর্ব ৩

    ডা. পঞ্চানন আচার্য্যBy ডা. পঞ্চানন আচার্য্যApril 22, 2015No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    সেদিন একটা অনুষ্ঠানে আলাপ হলো মিসেস স্নিগ্ধার সাথে। ভদ্রমহিলা পেশায় প্রকৌশলী হলেও বিভিন্ন কারণেই মনোরোগ, মনোবিদ্যা এসব ব্যাপারে আগ্রহী। এ বিষয়ে বিভিন্ন লেখালেখির নিয়মিত পাঠকও তিনি। সে সূত্রেই আলাপের এক পর্যায়ে জানালেন-বিভিন্ন লেখা পড়ে কিছু কিছু ধারণা তাঁর হয়েছে, কিন্তু অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন রয়ে গেছে মনের মধ্যে।
    মিসেস স্নিগ্ধা: আচ্ছা, মানসিক রোগ নিয়ে তো অনেকেই কাজ করে, মানে অনেক পেশার নাম শোনা যায়। আপনারা আছেন (সাইকিয়াট্রিস্ট), মনোবিদ (সাইকোলজিস্ট), চিকিৎসা মনোবিদ ( ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট), কাউন্সেলর ইত্যাদি। আমি আসলে বুঝতে পারছি না কার কি দায়িত্ব? বা কার কাছে কখন যাবো?
     
    লেখক: দেখুন, আপনি যে সব পেশার কথা বললেন, এরা সবাই মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য নিয়োজিত। এরা ছাড়াও আরও অনেক ধরনের লোকই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
    – যেমন?
    – তাহলে আপনাকে ইন্টারনেট থেকে একটা ছক দেখাই। এটা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন অনুমোদিত পেশার ছক। আর এই অনুমোদন পাওয়া যায় নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে।
    22.04.2015_1
    22.04.2015_2
    – এত লোক?
    – হ্যা, বলতে পারেন অনেক লোক। তবে, এটা বিদেশের চিত্র। আমাদের দেশে এখনো সেভাবে লোকবল তৈরি হয়নি। যা কিছু তৈরি হয়েছে সেটাও নির্দিষ্ট কিছু পেশার।
    – যেমন? আমাদের দেশে কারা মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত?
    – আমাদের দেশে আছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (Psychiatrist), চিকিৎসা মনোবিদ (Clinical Psychologist), পরামর্শক (Counselor/Psychotherapist) আর সমাজকর্মী (Social Worker)। প্রথম দিকে মনোরোগের জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত কিছু নার্স (Psychiatric and mental health nurse) তৈরি করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য এখন, আবার নতুন করে তৈরি করার চেষ্টা চলছে।

    – আপনাদের তো উচিত আরও লোকবল তৈরি করা।
    – সে চেষ্টা চলছে। সরকারিভাবে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (NIMH) অধীনে বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বল্পমেয়াদী বা সংক্ষিপ্ত বেশ কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোথেরাপিস্ট হিসেবে ছয় মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকদের। যেমন- পল্লিচিকিৎসক, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, কবিরাজ প্রভৃতি ।
    – এতে কি কোনো লাভ হবে? আপনি যে তালিকা দেখালেন তাতে তো সবার নির্দিষ্ট যোগ্যতার কথা দেওয়া আছে।
    – দেখুন, আমাদের দেশের সামর্থ্য স্বল্প, আমাদের সম্পূর্ণ দক্ষ জনবলের সঙ্কট। কিন্তু চাহিদা বেশি এবং তা পূরণ করাটা খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছুটা দক্ষতা সম্পন্ন এসব মানুষের দরকার বেশি। এরা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে পারবে, নিঃসন্দেহে প্রাথমিক কিছু সেবা দিতে পারবে এবং তাদের সামর্থ্যের বাইরে রোগীদের যথাযথ লোকের কাছে পাঠাতে পারবে। এভাবে তারা দক্ষ জনবলের উপর চাপ কমিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকে আরো গতিশীল করতে পারবে।
    – তার অর্থ শুধু সুনির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্য এদের তৈরি করা হচ্ছে, এই তো?
    – তা বলতে পারেন। তবে, মনে রাখতে হবে, এদের কাজ সুনির্দিষ্ট কিন্তু এদের ভূমিকা মোটেই সামান্য নয়। এরা যদি এদের দায়িত্বটুকুই যথাযথ ভাবে পালন করে তবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় অনেক বড় পরিবর্তন আসবে।
    – বুঝলাম। কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর তো পেলাম না।
    – ও হ্যাঁ, আপনি জানতে চাইছিলেন কার কাছে যাবেন বা কিভাবে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করাবেন।
    – সেটাই। কারো মানসিক সমস্যা দেখা দিলে বা অসুবিধা মনে হলে সে বা তার আত্মীয়স্বজন ঠিক কিভাবে আগাবে বা কার কাছে যাবে?
    – প্রথমেই বলতে হয়, আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সুনির্দিষ্ট কোনো কাঠামো এখনো সেভাবে গড়ে উঠেনি। যেমন, ইউনিয়ন বা থানা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য বিশেষ কোনো কাঠামো নেই। প্রচলিত কাঠামোর মধ্যেই ওখানকার চিকিৎসক এবং যদি কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা কর্মী থাকেন তবে তারা সেবা প্রদান করেন। জেলা পর্যায়েও অবস্থা তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। আর এখনও অনেক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং সেইসঙ্গে কিছু কিছু সরকারি মেডিকেল কলেজেও মনোরোগের জন্য আলাদা বিভাগ বা ওয়ার্ড বা বিশেষজ্ঞের পদও নেই। অপরদিকে বেসরকারি উদ্যোগও খুব কম। কিছু বেসরকারি ক্লিনিক তৈরি হয়েছে, যার অধিকাংশই আবার শুধু রিহ্যাব মানে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবেই কাজ করে। আর যা কিছু উদ্যোগ চোখে পড়ে তা হল সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং বিষয়ে। এর জন্য বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা কাজ করে। আর, নিয়মিত ব্যবস্থা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি (Teacher-Student Council) খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে।

    – ভাই, আপনি তো শুধু হতাশার কথাই বলছেন।
    – না না, বাস্তব চিত্রটা একটু জানা দরকার। তাই বললাম। আর এর বাইরে অন্য কোনো উদ্যোগ থাকলেও থাকতে পারে, এই মুহূর্তে সঠিকভাবে আপনাকে বলতে পারছি না।
    – হুম। তো…
    – তো আপনি কয়েকভাবেই সাহায্য পেতে পারেন। প্রথমত, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, প্রচলিত কাঠামোতেই নিকটস্থ চিকিৎসককে দেখাতে পারেন। তিনি দেখে প্রাথমিক পরামর্শ দিতে পারেন, প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে বা অন্য কোনো উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে পাঠাতে পারেন। অন্যদিকে, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ আছে এমন জেলা সদর হাসপাতালে বা কোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাদের যাওয়ার সুযোগ আছে, তাঁরা সরাসরি সেখানকার মনোরোগ বহিঃবিভাগ থেকে সেবা পেতে পারেন। এসবের বাইরেও ঢাকায় আছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (NIMH), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BSMMU) মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, পাবনায় আছে অতি পরিচিত পাবনা মানসিক হাসপাতাল। এসব প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের (Tertiary Level) মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ধরা হয়।

    – আচ্ছা… এটাতো গেল সরকারি বা হাসপাতালের কথা। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দেখাতে চায় তো কার কাছে প্রথমে যাবে বা কিভাবে এগুবে।
    – সেক্ষেত্রে আপনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (Psychiatrist) বা চিকিৎসা মনোবিদ (Clinical Psychologist) বা পরামর্শক (Counselor) যে কাউকেই দেখাতে পারেন। নিয়মানুসারে, উনারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা সেবা দেবেন এবং রোগীর প্রয়োজনে অন্যের কাছে সঠিক চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেবেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনার নিজের কিছু প্রাথমিক ধারণা যদি থাকে যেমন- কার দায়িত্ব কি, কে কি ধরনের সেবা দিতে পারেন, কার কাজের পরিধি কতটুকু সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অনেক সহজ হবে।
    – প্লিজ এই ব্যাপারটা একটু বিস্তারিত বলুন না!
    – আমাদের দেশে যা যা আছে সেসবের কথাই বলি। সমাজকর্মী যারা- তারা মানসিক রোগ সম্পর্কে সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন, সামাজিক পুনর্বাসনে সহায়তা করেন, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অল্পসল্প কাউন্সেলিংয়ের কাজও করেন। পরামর্শক বা কাউন্সিলররাও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ বা মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা দেন। তবে আরেকটু জটিল পর্যায়ের এবং সেটা সাধারণত ‘সমস্যা সমাধানে সহায়তা’ ধরনের কাজ। চিকিৎসা মনোবিদরা প্রথমত রোগীদের মনস্তাত্ত্বিক পর্যালোচনা (Psychological Assessment) করেন এবং সেই অনুযায়ী সাধারণ থেকে জটিল যে কোনো ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আর মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীর মনোরোগ সংক্রান্ত পর্যালোচনা (Psychiatric Assessment) করেন, প্রয়োজন অনুসারে ওষুধ এবং মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

    – মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও কি সাইকোথেরাপি দেন?
    – দেখুন, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর রোগীকে ‘Biopsychosocial Approach’ -এ চিকিৎসা করেন। এখানে Bio মানে Biological। মানসিকভাবে অসুস্থ একজন লোকের মস্তিষ্কে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের তারতম্য ঘটে থাকে। সেই তারতম্য ঠিক করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ প্রদান করা হয়, এটাই হলো Biological অংশ। একই সঙ্গে তিনি রোগীর মনস্তাত্ত্বিক (Psychological) যে অসুবিধা বা পরিবর্তন ঘটে থাকে, তা ঠিক করার জন্য মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা (Psychotherapy) দিতে পারেন এবং সর্বোপরি রোগীকে তার স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরিয়ে আনতে অর্থাৎ পুনর্বাসনের জন্য যা করণীয় তাও করে থাকেন। তবে, আমাদের দেশে বাস্তবতা হলো, বিভিন্ন কারণে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা (Psychotherapy) নিজে করতে তেমন আগ্রহ বোধ করেন না, বরং চিকিৎসা মনোবিদ বা অন্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন।

    – আচ্ছা, আমাদের দেশে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হতে কি করতে হয়, একেবারে গোড়া থেকে যদি বলতেন।
    – আমাদের দেশে চিকিৎসাবিদ্যা যুক্তরাজ্যের পাঠ্যসূচি অনুসারে পরিচালিত হয়। সে কারণে, প্রথমে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এম.বি.বি.এস কোর্সে ভর্তি হতে হয়। পাঁচ বছর লেখাপড়া এবং এক বছর শিক্ষানবিশি (Internship)সমাপ্ত করে ডাক্তার হওয়ার পর মনোরোগবিদ্যায় স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে হয়। অন্যান্য বিষয়ের মতোই মনোরোগবিদ্যাতেও তিন ধরনের স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। যেমন, এম.ফিল (৩ বৎসর মেয়াদী); এফ.সি.পি.এস (৪ বৎসর মেয়াদী) এবং এম.ডি (৫ বৎসর মেয়াদী)। প্রতিটি কোর্সেই ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয় এবং এই ভর্তি পরীক্ষা এম.ফিল বা এফ.সি.পি.এস এর ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশি শেষেই দেয়া যায়। তবে এম.ডি-র ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক এক বৎসর অপেক্ষা করতে হয়।

    – চিকিৎসা মনোবিদ বা কাউন্সিলর হতে গেলে?
    – প্রথমেই বলি, চিকিৎসা মনোবিদ আর কাউন্সিলর শুনতে একই ধরনের মনে হলেও এদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে।
    – বুঝলাম না।
    – লেখাপড়ার ক্ষেত্রে যদি ধরেন তবে বলতে হয়- উভয়েই প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর একজন চিকিৎসা মনোবিদ ভর্তি হন চিকিৎসা মনোবিদ্যা বিভাগে এবং বাস্তব প্রশিক্ষণ নিয়ে এম.ফিল বা পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করে পেশাগত জীবন শুরু করেন। অন্যদিকে একজন কাউন্সিলর ভর্তি হন Educational & Counseling Psychology বিভাগে। বাস্তব প্রশিক্ষণসহ এম.এস বা এম.ফিল ডিগ্রি শেষে শুরু করেন পেশাগত জীবন। আর কর্ম-পরিধির ক্ষেত্রে বেশ কিছু মিল থাকলেও মোটাদাগে পার্থক্য হলো একজন চিকিৎসা মনোবিদ মনোরোগের তাত্ত্বিক দিক থেকে কিছু জ্ঞান রাখায় সব ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা দিতে পারেন। অন্যদিকে একজন কাউন্সিলর মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা দেন শুধু সেই সব ক্ষেত্রেই যেখানে মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে রোগীর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি, সমস্যা সমাধানে নিজে সিদ্ধান্ত নেয়ার সামর্থ্য তৈরি বা বৃদ্ধি প্রভৃতি।

    – আচ্ছা একটা কথা। দেখা যাচ্ছে ওষুধ দেওয়াটা শুধু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের জন্য নির্দিষ্ট হলেও সাইকোথেরাপি যাদের কথা বললেন সবাই দিচ্ছে বা দিতে পারে। এটা কেন?
    – উত্তরটা খুবই সহজ। সমস্যার ধরন অনুসারে একেকজন একেক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা দেন। যেমন আপনার গন্তব্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে আপনি কি হেঁটে যাবেন, নাকি গাড়িতে চড়ে যাবেন অথবা বিমানে চড়বেন। একইভাবে, এখানেও ভিন্নতা হচ্ছে শুধু মাত্র রোগীর বা সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য।
    – হুম বুঝলাম। অনেক কিছুই পরিষ্কার হলো।
    – আসলে, আমার সব কথাই বাংলাদেশের প্রেক্ষিতেই বলেছি। তাও অনেক কিছুই বাদ দিয়ে। আসলে একসাথে সব কিছুই তো আর বলা যায় না। কথায় কথায় যখন যা মনে পড়ল বললাম।

    ডা. পঞ্চানন আচার্য্য, এম.ডি (সাইকিয়াট্রি) ফেইজ-বি রেসিডেন্ট
    মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বি.এস.এম.এম.ইউ।

    এ সম্পর্কিত অন্য লেখার লিংক-

    মানসিক রোগ নিয়ে ধারণা, ভুল ধারণা এবং বিবিধ -পর্ব ১

    মানসিক রোগ নিয়ে ধারণা, ভুল ধারণা এবং বিবিধ -পর্ব ২

     

    মানসিক রোগ
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleসুখী হোন বিবাহিত জীবনে: দাম্পত্য সম্পর্কে সহিংসতা ও শান্তি
    Next Article নেতিবাচক সমালোচনা ও অন্যের সাথে তুলনা শিশুর আত্মবিশ্বাস কমায়
    ডা. পঞ্চানন আচার্য্য

    ডা. পঞ্চানন আচার্য্য। স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রাম। তবে, কলেজ শিক্ষক মায়ের চাকুরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেটেছে শৈশব। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং উচ্চ-মাধ্যমিক চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাসের পর সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। মেডিক্যালে পড়ার সময় থেকেই মনোরোগ নিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহ। তাই, ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের চাকুরি শেষে ভর্তি হন মনোরোগবিদ্যায় এম.ডি(রেসিডেন্সি) কোর্সে। বর্তমানে তিনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত শিক্ষকতার ধারা বজায় রেখে চিকিৎসক ও শিক্ষক হওয়াটাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বই, সঙ্গীত আর লেখালেখিতেই কাটে অবসর সময়ের বেশির ভাগ। স্বপ্ন দেখেন - মেধা ও মননশীলতার চর্চায় অগ্রগামী একটা বাংলাদেশের।

    Related Posts

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    July 3, 2025

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    July 1, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025265 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025184 Views

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 202169 Views

    অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়

    August 22, 202132 Views
    Don't Miss
    ফিচার July 3, 2025

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    ডা. ফাতেমা জোহরা সহকারী অধ্যাপক, মানসিক রোগ বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। স্মৃতি একটি জটিল…

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.