মানসিক রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্টিগমা সবচেয়ে বড় বাধা

0
79

মানসিক রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্টিগমা সবচেয়ে বড় বাধা। সর্বশেষ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে বিভিন্ন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এই স্টিগমার পরিমান ৩৮-৯৮% পর্যন্ত দেখা গেছে। ২০১৯ সালের এই জরিপে দেখা গেছে, ঔষধ খেলে যে মানসিক রোগ ভালো হতে পারে তা বেশির মানুষই বিশ্বাস করেন না। তাদের এই ভ্রান্ত বিশ্বাস মানসিক রোগ চিকিৎসাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে জানিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম।

সম্প্রতি মনের খবর অনলাইন টিভিতে প্রচারিত বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মানসিক রোগীকে পাগল বলে আখ্যায়িত করা, তার সাথে না মেশা, সে অন্যদের উপর হামলা করতে পারে; এই ধরনের স্টিগমা সহ মানসিক রোগ চিকিৎসার প্রতি মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। প্রায় বেশিরভাগ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা ব্যবস্থার কার্যকারিতার উপর বিশ্বাস করেন না বলে জানান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর সাবেক এই পরিচালক।

মানসিক রোগীদের প্রতি স্টিগমা এবং মানসিক রোগ চিকিৎসার প্রতি মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হলে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আর এই সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচারণা, বলেন তিনি।

২০১৯ সালের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে দেখা গেছে মানসিক রোগক্রান্তদের শিশুদের ৯৪% চিকিৎসা আওতার বাইরে রয়েছে এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই হার ৯২%। এই জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসার আওতায় আনতে সচেতনতার পাশাপাশি মানসিক রোগ  চিকিৎসার দক্ষ জনগোষ্ঠীও বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে মাসসিক রোগ চিকিৎসকদের সংখ্যা একদমই কম। তাই মানসিক রোগ চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, সাইকোসোশ্যাল ওর্য়াকার, সাইকিয়াট্রিক নার্স অকুপেশনাল থেরাপিস্টদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এজন্য মূলধারার নিয়োগবিধিতে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিক নার্স, সাইকোসোশ্যাল ওর্য়াকার, অকুপেশনাল থেরাপিস্টদের জন্য পদ সৃষ্টি করতে হবে বলেও মতামত প্রদান করেন অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম।

করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleইম্পোস্টার সিনড্রোম: নিজেকে অযোগ্য মনে করার রোগ
Next articleশাস্তি নিশ্চিত হলেই কি ধর্ষণ কমে যাবে: অনলাইন জরিপ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here