অতিরিক্ত মাপে মানসিক চাপ নারীদের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে গর্ভধারণের হার হ্রাস পেতে ভূমিকা রাখছে বলে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে।
সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন উত্তর আমেরিকার এমন দম্পতিদের ওপর চালানো এক সমীক্ষা থেকে এমনটাই বলছেন গবেষকেরা।
প্রেগনেন্সি টেস্ট অনলাইন থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে ১২ মাস বা গর্ভধারণ পর্যন্ত সময়ে গবেষণা পরিচালনা করেন বিশেষজ্ঞরা। ছয় মাসিক চক্রের মধ্যেকার সময়ে গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন এবং যাদের গর্ভধারণে আগেকার কোন জটিলতার রেকর্ড নেই এমন চার হাজার ৭৬৯ জন নারী এবং এক হাজার ২৭২ জন পুরুষের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
গবেষণায় শূণ্য থেকে ৪০ এর মধ্যে নারী ও পুরুষদের মানসিক চাপ পরিমাপ করা হয়। এতে দেখা যায়, যাদের মানসিক চাপের মান কমপক্ষে ২৫ তারা ১০ একক মানসিক চাপের নিচে থাকা নারীদের চেয়ে ১৩ শতাংশ কম হারে গর্ভধারণ করেন। একই সাথে, ৩৫ বছরের কম বয়সী নারীদের মাঝে গর্ভধারণে এই নিম্নমুখী হার কম।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিষয়ের শিক্ষার্থী অ্যামেলিয়া ওয়েসেলিংক বলেন, “যদিও এই গবেষণা সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ করে না যে, গর্ভধারণের ওপর মানসিক চাপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তবুও এই গবেষণা এটা প্রমাণ করে যে, গর্ভধারণের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব আছে”।
সূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে