গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার, বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস ২০২৩’ । এবারের ত্রিবার্ষিক প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “কর্মের মাধ্যমে আশার সঞ্চার”। এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে র্যালি ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল মনোরোগবিদ্যা বিভাগ। অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপাল ডা. মোঃ আব্দুল কাদের, পরিচালক ব্রিগে. জেনারেল ডা. গোলাম ফেরদৌস, উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মুহাম্মদ কবির হাসান পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক (চাইন্ড এডোলেসসেন্ট ও ফেমিলী সাইকিয়াট্রি ) , সহকারী রেজিট্রার ডা. সজীব আবদীন, রেজিস্ট্রার ডা. দিল মুহাম্মদ সাজ্জাদুল কবির সবুজ ও ডা. নাজমুস সাকিব , ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দেশে আত্মহত্যা দিন দিন বাড়ছে।
২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১০১ এবং ২০২২ সালে দেশে আত্মহত্যাকারী মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৩২। এরই ধারাবাহিকতায় এই বছর দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ। খুলনা বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ১৩ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। রংপুরে বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে আত্মহত্যা করেছে ১০ শতাংশ এবং রাজশাহীতে আত্মহত্যা করেছে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং বরিশালে আত্মহত্যা করেছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া সিলেটে আত্মহত্যা করেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে নারী শিক্ষার্থীরা। ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর ৫৯ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী গত ৮ মাসে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে ৪০ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শুধু নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ বিবেচনায় দেখা যায় ২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী অভিমান, প্রেমঘটিত কারণে ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, পারিবারিক বিবাদের কারণে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, ৫ দশমিক ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির কারণে এবং পড়াশোনার চাপ ও ব্যর্থতার কারণে ১২.৬০ শতাংশ আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারীদের বয়সভিত্তিক বিবেচনায় দেখা যায় সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সি শিক্ষার্থীরা। ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ছিল এই বয়সি।