দেশ জুড়ে লকডাউনের জেরে ঘরে আটকে থাকতে থাকতে একঘেয়েমির শিকার হয়ে পড়ছেন? দিনে রাতে কোনও কিছুই আর ভালো লাগছে না? যাঁরা পরিবারের সবার সঙ্গে আছেন, তাঁদের সময় মোটামুটি ভালো কাটছে সন্দেহ নেই, কিন্তু যাঁরা কাজের সুবাদে বাড়ি থেকে বাইরে আছেন, তাঁদের অবস্থা সত্যিই শোচনীয়! একদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, অন্যদিকে পরিবারের থেকে দূরে থাকার মানসিক চাপ, এই দুয়ে মিলে শরীরস্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়ারও যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। তাই অহেতুক টেনশন না করে বরং সাময়িক এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। রইল টিপস!
নতুন জীবন উপভোগ করুন
একা বলে ঘরের সব কাজ নিজেকেই করে হচ্ছে? তার সঙ্গে যদি অফিসের কাজও করতে হয়, তা হলে ব্যাপারটা খুবই পরিশ্রমের সন্দেহ নেই, কিন্তু নিজের কাজ নিজে করে নেওয়ার মধ্যে একটা তৃপ্তিও আছে! ব্যাপারটা এনজয় করুন। পছন্দের খাবারটা রান্না করুন, বাগান থাকলে গাছের যত্ন নিন, ঘর ঝেড়েমুছে ঝকঝকে করে রাখুন। আপনার রোজের ব্যায়ামটাও এ সব কাজ করার মধ্যে দিয়েই হয়ে যাবে!
শখের কাজগুলো করুন
ছবি আঁকতে ভালো লাগে, অথচ সময়ের অভাবে কিছুতেই রং পেনসিল নিয়ে বসা হয় না? বাড়িতে থাকার ফাঁকা সময়টুকু ইচ্ছেমতো ছবি আঁকুন। হারমোনিয়ামের ধুলো ঝেড়ে নিয়ে বসুন। মন ভালো থাকবে।
পুরোনো বন্ধুদের ফোন করুন
সোশাল ডিসট্যান্সিং মানে কিন্তু মনের দূরত্ব নয়! ফোনে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, ভিডিও কল করে আড্ডা জমান। দূরত্ব মুছে যাবে এক নিমেষে!
পড়ে থাকা কাজগুলো সেরে ফেলুন
বহুদিন ধরে একটা বই পড়বেন ভেবে রেখেছেন অথচ পড়াই হয়নি? সিনেমা দেখবেন বলে ফেলে রেখেছেন? এই লকডাউনের সময়টায় সে সব পড়ে থাকা কাজ মিটিয়ে ফেলুন। তবে চোখকে বিশ্রামও দিতে হবে। একটানা সিনেমা দেখা বা বই পড়া চলবে না।
নিজের যত্ন নিন
নানারকম কাজের মধ্যে পুরো সময়টা কাটিয়ে দিলে হবে না। ওর মধ্যেই নিজের যত্নের জন্যও খানিকটা সময় রাখতে হবে। ত্বকের যত্ন নিন, নিয়মিত শ্যাম্পু-কন্ডিশনিং করে চুল ঝলমলে রাখুন। যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করলেও ভালো থাকবেন।