বাচ্চাদের ‘না’ বলুন ‘হ্যাঁ’র মোড়কে

‘না’ বলার ভেতরেও এক ধরনের সৌন্দর্য থাকে। একটা আর্ট বজায় রেখে ‘না’ বলতে পারলে তার গুরুত্ব ‘হ্যাঁ’র চেয়েও ভালো হয়ে উঠতে পারে।
প্রতিনিয়ত কত ‘না’ইতে বলতে হয়। সবচেয়ে বেশি বলতে হয় বাবা-মাকে। বাচ্চাদের আবদার মেটানো না গেলেই ‘না’র ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়ে। এসময় বাচ্চাদের অনেক গুছিয়ে ‘ন‍া’ বলতে হবে। সন্তানের মুখের উপর ‘না’ বলাটাও মায়েদের জন্য একটা চাপ হয়ে থাকে।
‘এটা হবে না’ ‘ওটা করো না’ এমনটা বড়দের শুনতে যেমন ভালো লাগে না তেমনি বাচ্চাটিরও। এ অবস্থায় সরাসরি ‘না’ বলে না দিয়ে ওকে বুঝিয়ে দিন কাজটা তার ভুল হচ্ছে। আর এ কাজটি তাকে মানাবে না। এতে আপনিও অপ্রিয় হলেন না। আর ক্ষুদে বাচ্চাটিও আপনার কথা শুনলো।
বায়না বাচ্চারা করবে এটাই স্বাভাবিক। আর আপনি সঙ্গে সঙ্গেই তা কিনে দেবেন না সেটাও স্বাভাবিক। এ অবস্থায় আপনার ‍সুরটাই নরম করতে হবে। বলুন নিশ্চয়ই কিনে দেবেন তবে এখনই না, পরে কখনো। এতে বাচ্চাও শান্ত হলো, আপনাকেও ঝামেলা করতে হলো না।
সন্তানটি যদি টিনএজের আসে-পাশে হয় তাললে বুদ্ধিমোনের কাজ হলো, বারণ করা সত্ত্বেও যে কাজ সে করতে চাইছে তার ভালো-মন্দ-র দায়িত্ব তাকেই নিতে বলুন। দেখবেন, দায়িত্ব ঘাড়ে চাপলেই জেদী মন নরম হয়ে যাচ্ছে।
সন্তানকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিন। দেখবেন ‘না’ শব্দটা আপনার মুখ থেকে কম বের হচ্ছে। অথচ আপনি যেমনটি চাইছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটাই হচ্ছে। এতে আপনার সন্তানও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে।

Previous articleউদ্দেশ্যপ্রবণতা মস্তিষ্ক সচল রাখে
Next articleআপনার সঙ্গী কি অবসাদ বা উদ্বেগের সমস্যায় ভুগছেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here