শরীর ঠিক রাখার জন্য আমরা অনেক ধরনের ব্যায়াম করি। অনেকেরই ধারণা, শুধু ব্যায়ামেই শরীর ঠিক থাকে। কিন্তু ফিটনেসের জন্য মনেরও যে একটা যোগাযোগ আছে সেটা মানতেই চাই না। অথচ ফিটনেসের জন্য মনের বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানসিকভাবে ফিট না থাকলে অনুশীলনের পুরো সুফল পাওয়া যায় না।
স্বাস্থ্যবিধান
প্রতিদিনই কিছু না কিছু অনুশীলন করা উচিত। সপ্তাহের পাঁচ দিন মার্শাল আর্ট এবং দুই দিন ভারোত্তোলন করা উচিত। মার্শাল আর্ট অনুশীলনে জিমন্যাস্টিকস, অ্যাক্রোবেটিকসসহ বিভিন্ন কসরত করা যেতে পারে। আর ভারোত্তোলন অনুশীলনে শরীরের নিচের অংশের অনুশীলনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।
শক্তি
ভারোত্তোলনে বেশির ভাগ মানুষই শরীরের ওপরের অংশেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু তারা বুঝতে চায় না শুধু ওপরের অংশ নয়, সর্বোচ্চ সুফল পেতে পুরো শরীরের সব অংশের ব্যায়ামে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
খাবার
অনেকেই তিন বেলা খাওয়ার ওপর জোর দিয়ে থাকে। কিন্তু এমনটি করা উচিত নয়। বরং নিয়মিত বিরতিতে খাওয়া উচিত। যখনই ক্ষুধা অনুভব হয় তখনই খেতে হবে। দিন শুরু উচিত পানি পানে। দিনের শুরুতেই এক লিটার পানি পান, এরপর সকালের খাবার। সকালের নাশতার বেশির ভাগ থাকা উচিত ফল ও দুধ। শরীরের চাহিদা মেটাতে মিষ্টি এবং লবণজাতীয় খাবার প্রয়োজন। শরীরে যেন পানিশূন্যতা দেখা না দেয় সে কারণে নিয়মিত পানি পান করতে হবে।
সমস্যা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শারীরিক কোনো সমস্যা থাকে না। স্বাস্থ্যবিধি খুব একটা মেনে চলি না, তবে আমি সব সময় আমার শরীর ও মন যা বলে তা-ই করার চেষ্টা করি। এটা সব সময় মনে রাখি যখন প্রয়োজন তখনই আমার শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে।
ফিটনেস মন্ত্র
ফিটনেসের জন্য মানসিক প্রস্তুতিটাই আসল। সেই সঙ্গে অনুশীলনটা উপভোগ করার মানসিকতা থাকতে হবে। যদি এটা উপভোগ না করা যায় তাহলে পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে না। কেননা ফিটনেস যতটা না শারীরিক তার থেকে বেশি মানসিক।