‘মনের খবর’ পড়ে আরও বেশি জানার আগ্রহ বেড়েছে

0
555

‘মনের খবর ‘ আমার প্রিয় অনলাইন পোর্টাল। মানসিক স্বাস্থ্যের খুটি নাটি বিষয় সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ‘মনের খবর। আমি ‘মনের খবর ‘ এর নিয়মিত পাঠক। লকডাউনের শুরু থেকেই সবসময় পড়ি। খুব কম পোস্ট আছে যা আমি পড়িনি। এ থেকে আমি আরও বেশি উৎসাহী হয়েছি মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয় জানার।

‘মনের খবর’ পড়ে আরও বেশি জানার আগ্রহ বেড়েছে। এজন্যই আমি ইতিমধ্যেই মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটা শর্ট কোর্স করেছি। আরও করার ইচ্ছা আছে। শুধু তাই না, আমি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। যেহেতু আমি একজন শিক্ষক। আমার এই সচেতনতা তৈরির সুযোগ আছে বলে মনে করি। সাধারণত আমরা শিক্ষকরা পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শেষে সেই তথ্য শিক্ষার্থীদের কাছে সহজেই পৌঁছাতে পারি।কারণ একটা ক্লাসে শিক্ষক যা বলেন সকল শিক্ষার্থীরাই তা মনযোগ দিয়ে শুনে। এভাবেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করে তৈরি করতে পারি। এই ইচ্ছা থেকেই আমি ‘মনের খবর’ পড়ি। শুধু পড়ি বললে কম হবে, অনেক কিছু শিখতে পারছি ও জানতে পারছি। যা আমাকে মানসিক ভাবে দৃঢ় হতে সাহায্য করছে।

গত তিনমাস আমি খুব খারাপ সময় অতিবাহিত করেছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করার সময় সবচেয়ে বেশি চেয়েছি ‘ধৈর্য ও শান্তি’। আমার এই অশান্ত সময়ে ‘মনের খবর’ এর অনেক সাহায্য পেয়েছি। প্রতিদিন আমার মনে যা ঘটত, তার সমাধান যেন আমি মনের খবরের কাছেই পেতাম। মাঝে মধ্যে আমি অবাকই হয়েছি। আমার হয়তো কোনো একটা বিষয় জানা খুবই জরুরি হয়েছিল ঠিক সেই সময়ই আমি আমার প্রয়োজনীয় বিষয়ের তথ্য জেনে নিতে পেরেছি এবং পারছি।

‘মানসিক স্বাস্থ্য’ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার আরেকটা কারণ হলো ছোটবেলা থেকেই দেখছি ভালো একজন মানুষ হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। আমার মনে তাই সবসময়ই এই প্রশ্নের উদয় হত– “একটা মানুষ হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায় কিভাবে?”। সে-তো নিশ্চয়ই অনেক দিন থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তা কেন বুঝতে পারেন না? যদি বুঝতে পারেন তাহলে কেন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান না?

শারীরিক যে কোন সমস্যা আমরা খুব সহজে সবার কাছে প্রকাশ করি এবং রোগ হলে কোন ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্তু মানসিক সমস্যা হলে পরিবারের লোকজন হয়তো তার প্রকাশ বা লক্ষণ বুঝতেই পারছেন না। মানসিক সমস্যার প্রকাশ কেমন,মানসিক সমস্যা হলে কার কাছে যেতে হবে, কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে – এই সব তথ্য আমাদের অনেকেরই অজানা। এ সম্পর্কে আমি ‘মনের খবর’ পড়ে অনেকটা জানতে পেরেছি।

একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে আমি ‘মনের খবর’ এর সাথে জড়িত সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ‘সালাউদ্দিন কাওসার বিপ্লব ‘স্যারকে সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। করোনা কালে ‘মনের খবর’ এর উদ্যোগ ও কার্যক্রম প্রশংসনীয়।

সুস্থতার সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি এখনও পরিবারে,সমাজে অবহেলিত ও উপেক্ষিত রয়েছে শুধুমাত্র অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও বৈজ্ঞানিক চিন্তার অপ্রতুলতার জন্য। ফলে পরিবারের কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে গৃহ বন্দী করি বা শৃঙ্খলিত করি। এ বিষয়ে এখনও আমরা পরে আছি অনেক পশ্চাতে। নিজেদের অজ্ঞতার কারণে এ রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছি আমরা। সময় এসেছে পরিবর্তনের। এই পরিবর্তন করতে হলে ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে সবাইকে। একটি সুস্থ, সুন্দর পরিবার ও সমাজ তথা দেশ পেতে মানসিক সুস্বাস্থ্যের প্রতি সবাইকে সচেতন করতে হবে।

‘মনের খবর’ যেভাবে সবার কাছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় পৌঁছাতে চেষ্টা করছে তা আরও বেগবান হোক – এটাই চাওয়া আমার। আপনাদের দেওয়া তথ্য পৌঁছে যাক সমাজের আনাচে-কানাচেতে। আবারও ধন্যবাদ ‘মনের খবর’। মনের যত্নে ‘মনের খবর’ সবার সাথে থাকুক সবসময়।

রোকসানা আক্তার
মনের খবর এর নিয়মিত পাঠক
পেশা: শিক্ষকতা

করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

 

Previous articleপ্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মনের খবর সম্পাদক এর শুভেচ্ছা বার্তা
Next articleএকটি উন্নত মানসিক স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here