Close Menu
    What's Hot

    ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট”-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

    নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

    সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম আর নেই

    নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Thursday, October 23
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 23, 2025

      ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট”-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

      Recent

      ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট”-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

      নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

      সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » ‘পরিবারে পিতা-মাতাকে সন্তানদের আরো বুঝতে হবে’
    মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য

    ‘পরিবারে পিতা-মাতাকে সন্তানদের আরো বুঝতে হবে’

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কDecember 6, 2021Updated:December 6, 2021No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

     

    ব্রাদার ষ্টিফেন বিনয় গমেজ, সিএসসি। কাউন্সেলর হিসেবে সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা; উদয়ন হাই স্বুল, বরিশালে কাজ করেছেন। এখন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের স্টুডেন্ট কাউন্সেলর। সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা এবং আপন (আসক্তি পূনর্বাসন নিবাস)’রও তিনি কাউন্সেলর। হলি স্পিরিট ম্যজর সেমিনারি, বনানীতে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক। জানিয়েছেন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কাজের অভিজ্ঞতা। কথা বলেছেন ওমর শাহেদ

    কবে থেকে আপনারা এখানে কাউন্সিলিং বা পরামর্শদান সেবা কার্যক্রম শুরু করেছেন?
    ২০১৩ সালে নটরডেম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাউন্সিলিং সেবাদান শুরু করা হয়েছে।

    কেন?
    প্রতিটি মানুষ দেহ, মন ও আত্মা নিয়ে গঠিত। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। আমরা জানি-দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে, মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে না। একটি অন্যের ওপর খুব প্রভাব বিস্তার করে। এমনকি আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলোও তখন করতে মন চায় না। আপনি জানেন কী-মানুষের মন বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়; দৈহিক, পারিবারিক, আর্থিক, সামাজিক,আন্ত-ব্যক্তিক সম্পর্কের টানাপোড়ন ইত্যাদি। তরুণ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনও এসব বিষয়াদিতে প্রভাবিত হয়। আমরা শিক্ষকরা জানি-মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে তারা পড়ালেখা মনোযোগ দিতে পারে না। তাতে পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ হয় না। ইত্যাদি চিন্তা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারা সবাই যেকোনো সমস্যা অনুভব করলেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণ করতে পারে। এর মাধ্যমে নিজের সমস্যাগুলোও তারা অনুধাবন করে সমাধান করতে পারে।

    সেবাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথায়, কাদের মধ্যে, কীভাবে দেওয়া হয়?
    আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউন্সেলর রয়েছেন। একজন সিস্টার ও অন্যজন ব্রাদার। আমি সেবাটি দিতে এখানে আছি। ব্রাদার বিনয় নামে সবাই ডাকেন। এখানে নির্দিষ্ট কাউন্সেলিং কক্ষে সেবাটি প্রদান করা হয়। যেকোন ছাত্র বা ছাত্রী ইচ্ছা করলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রহণ করতে পারে। প্রয়োজনবোধে ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতা বা অভিভাবক অথবা তাদের শিক্ষকরা কাউন্সিলরের কাছে তাদের রেফার করতে পারেন। কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া অনুযায়ী এবং সেবাটির নিয়ম-নীতি অনুসারে আমরা সেবা দেই। বলে রাখা ভাল, কাউন্সেলিং অর্থ কিন্তু কোনো পরামর্শ বা উপদেশ দেওয়া নয়-কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে তার সমস্যাটি বুঝতে সহায়তা করার পাশাপাশি তিনি যাতে সেটি নিজে নিজে সমাধান করতে পারেন, সেজন্য সাহায্য প্রদান। কাউন্সেলর নিয়মানুসারে, প্রথমে কাউন্সেলি (আমাদের ছাত্র বা ছাত্রী)’র সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন, যেন তার কাছে সে খোলামেলা ও অকপটে সবকিছু বলতে পারে। তাতেই কাউন্সেলরের কাছ থেকে তার বিষয়াদির সহযোগিতা পেয়ে সে অনেকটা সুস্থ হয়ে যায়। তবে সম্পর্কটি হতে হবে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল। কাউন্সেলর কাউন্সেলির কথা গভীর মনোযোগে শুনতে, বুঝতে এবং সমব্যাথাও প্রকাশ করতে চেষ্টা করেন। কাউন্সেলরের মনোবিজ্ঞান সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান থাকতে হয়। কারণ কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তি মনোবিজ্ঞান। তিনি কাউন্সেলির জীবনের পুরো বিষয় সম্পূর্ণ গোপন রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকেন। তবে যদি বুঝতে পারেন-কাউন্সেলির আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে, তাহলে শুধু সে বিষয়টিই তার পিতা-মাতা, অভিভাবক ও আরো প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রকাশ করতে পারেন।

    ছাত্র, ছাত্রীরা প্রধানত কী, কী সমস্যা নিয়ে আসে?
    ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় আমাদের সাহায্য পেতে আসে। তারা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারে না, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না, আর্থিক সংকট থাকে, পরিবারে পিতা-মাতার সম্পর্কের সমস্যা, পিতা-মাতা ও কাউন্সেলির সম্পর্কের টানাপোড়ন, তাদের বিভিন্ন বদঅভ্যাস-মাদকাসক্তি থাকে। তাছাড়াও প্রিয়জন হারানো, বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের মধ্যে সম্পর্কের বিচ্ছেদ, ছেলে বা মেয়ের অমতে কোনো পিতা, মাতার বিয়ে দিতে চাওয়া ইত্যাদি থাকে।

    সেবাটি গ্রহণে তাদের কী, কী উপকার হয়?
    কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণের ফলে তারা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই বুঝতে পারে। নিজে, নিজে তা সমাধানও করতে পারে। কোনো, কোনো সময় কাউন্সেলরকে সমাধানের কিছু পন্থাও বাতলে দিতে হয়। যেহেতু কাউন্সেলর তাদের কথা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেন, নিজের মেধা ও যোগ্যতা তার পেছনে ব্যয় করেন; তাতে কাউন্সেলি (ছাত্র, ছাত্রী) বুঝতে পারে একজন বিজ্ঞ তাকে অনেক সময় দিচ্ছেন ও তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। এতে তারা সমর্থন পেয়ে থাকে বলে আমার বিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি আরো জানি, দুঃখের কথা ভাগ করার ফলে তারা মানসিক সুস্থ্যতা লাভ করে। তারা এও বুঝতে পারে একজন বিশেষ মানুষ তাদের মূল্য দিচ্ছে, সম্মান ও স্নেহ করছে।

    পরামর্শ কার্যক্রমের জন্য আপনারা কী ফি নেন?
    নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশে কাউন্সেলিং সেবা প্রদানের জন্যে কোনো সময়ই কোনো ফি নেয়া হয় না। উপরন্তু যেকোনো ছাত্র-ছাত্রসহ যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন, তাদের সবাইকে বিনামূল্যে সেবাটি প্রদান করা হয়।

    তরুণ বয়সের ছেলেমেয়েরা যারা ১৯ থেকে ২৫ বছরের, জীবনের নানা জটিলতায় ভোগে-প্রধানত পিতামাতা ও শিক্ষকদের নিয়ে ও লেখাপড়াজনিত; এই সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য কী তাদের মা, বাবা ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন? তাদের কাছ থেকে নিজের সন্তান ও ছাত্রছাত্রীর সমস্যা সমাধানে কেমন সাড়া পান?
    আমাদের নিয়মানুসারে প্রয়োজনবোধে ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের সঙ্গে তাদের বিষয়ে জানার জন্যে আলাপ-আলোচনা করা হয়ে থাকে। তাদেরকে ডাকলে তারা যথাযথ সহযোগিত করে থাকেন বলে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে।

    তারা আপনার পরামর্শ অনুসারে কীভাবে কাজ করেন?
    এমন ছাত্র, ছাত্রীদের নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণ যথেষ্ট চেষ্টা করেন তাদের সন্তানদের বুঝতে ও সেভাবে সহায়তা করতে।

    এই ক্ষেত্রে বাধাগুলো কী হয়? সেগুলো কীভাবে দূর করেন?
    আমাদের বাংলাদেশে কাউন্সেলিং বিষয়টি খুব নতুন। এ বিষয়ে মানুষ তেমন ওয়াকিবহাল নন। তাই উপকারিতা ও গুরুত্ব তারা বুঝতে পারেন না বলে দু:খ হয়। তারা কাউন্সেলিং সেবা নিতেও আসেন না। যদিওবা আসেন, একবার বা দু’বার এসেই আসা বন্ধ করে দেন। তবে কোনো, কোনো বিষয় সমাধানের জন্যে সিরিজ অব কাউন্সেলিং সেশনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ বিষয়কেও তারা গুরুত্ব দেন না। ছাত্র, ছাত্রীরা কাউন্সেলিংয়ে এলে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীগণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে থাকে। যারা কাউন্সেলিংয়ে যায়, তাদেরকে কোনো, কোনো সময় মানসিকভাবে অসুস্থ্যও আখ্যা দেওয়া হয়। এতে প্রয়োজন হলেও তারা এই সেবা গ্রহণ করতে আসে না।

    মাদকাসক্তি ও প্রেমে ব্যর্থতা ছেলেদের মূল সমস্যা।
    কাউন্সেলর ছাত্র, ছাত্রীর সঙ্গে আলাপ ও আলোচনা করে বুঝতে পারেন-মাদকাসক্তির মূলে কোন সমস্যাটি রয়েছে। হতে পারে তা জীবনের কোনো ব্যর্থতার কারণে বা কোনো বিশেষ সম্পর্কের অবনতির জন্যে হতাশা। এরপর সে চলে যায় জীবনের বিনাশের দিকে। আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে, মানুষ মনে করে, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায় হলো নেশা করা। তাই তারা সহজেই নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে থাকে। তরুণ, তরুণীরা কৈশোর, যৌবনে পড়ার প্রথম দিকে স্বাভাবিকভাবেই একে, অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। তাদের মধ্যে কেউ, কেউ জৈবিক আকর্ষণকেই প্রেম বা ভালবাসা হিসেবে সিরিয়াসলি নিয়ে থাকে। যেহেতু জীবনের এই সময়ে তারা দীঘস্থায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, পিতা-মাতারাও স্বভাবত চান না-তার সন্তান এ বয়সেই এ ধরণের সম্পর্কে জড়াক; তাই সম্পর্কগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। তখন সম্পর্কে ছেদ আসে। তারা রাগ ও ক্ষোভ থেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বলে রাখা ভাল, আজকাল মেয়েরাও মাদকাসক্ত হচ্ছে।

    সমাধানে মা-বাবার করণীয়?
    বিশেষভাবে প্রেমে ব্যর্থতাগ্রস্থ সন্তানদের পিতা-মাতাদের বোঝাতে হবে-বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ আসাই ভালবাসা, প্রেম নয়। সন্তানের প্রতি কঠোর না হয়ে তার কষ্ট বুঝতে হবে ও পাশে দাঁড়াতে হবে। তাকে সন্তনা দিতে হবে। যারা ভালোবাসা মেনে নিতে পারবেন না বা সেই মানসিকতা নেই, তাদের সন্তানরা যেন এ বয়সে বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    মেয়েদের এক্ষেত্রে মূল সমস্যাগুলো কী?
    আমাদের এই সমাজে এখনো মেয়েরা খুব অসহায়। পরিবারে ও সমাজে মতামত দেওয়ার তাদের তেমন কোনো সুযোগটিই নেই। পরিবারে সিন্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে বেশিরভাগ সময়ই তাদের মতামত নেওয়া হয় না, গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তারা মনের কথা বলার মতো মানুষও পায় না। এ দেশের পরিবারে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বৈষম্য করা হয়। এটি তাদের জন্য খুবই কষ্টের হয়। তখন তারা বাইরের কারো সঙ্গে, বিশেষভাবে কোনো ছেলেদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলে বা তাদের সঙ্গে বাইরে মেলামেশা করে ও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর সে মনে করে ছেলেটি তাকে বুঝতে পারে ও ভালবাসে। তখন সেই ছেলের সঙ্গে তার ধীরে, ধীরে সম্পর্ক হয়ে যায়। কোনো, কোনো মেয়ে পরিবারে কাউকে না বলে ঐ যুবকের সঙ্গে চলে যায়। যুবকরা সেই মেয়ের সরলতার সুযোগ নেয়। আবার প্রেমিকের প্ররোচনায় কোনো, কোনো মেয়ে না বুঝেই বিবাহপূর্ব যৌনকার্যক্রমে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, এই বয়সে ছেলেরা, মেয়েদের ধোঁকায় ফেলে দিতে বাধ্য হয়। মেয়েটি প্রতারিত হয়। কিশোর, যুবকের হাতে প্রত্যাখাত হয়ে তারা হতাশা-নিরাশা ও বিষন্নতায় ভোগে ও মাদক গ্রহণ করতে শুরু করে। পরিবারে কঠোর শাসনও ছেলে, মেয়েদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে তারা বিভিন্ন সামাজবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে। মেয়েদের আরেকটি বড় সমস্যা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে ভোগে তারা।

    পিতামাতাকে কীভাবে সমাধান করতে হবে?
    পরিবারে পিতা-মাতাকে আরো যত্নশীল ও আন্ডারস্ট্যান্ডিং হতে হবে। তাদেরকে সন্তানদের আরো বুঝতে হবে। শুধু পড়ালেখা, খাওয়া-দাওয়া ও পোষাক-পরিচ্ছদ দিলেই হবে না; তাদেরকে মানসিক সমর্থন ও ছেলেমেয়েকে সম্মান দিতে হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে। পরিবারে ছেলে ও মেয়ে-সন্তানের মধ্যে বৈষম্য পরিহার করতে হবে। মেয়েদের ব্যাপারে কোনো সিন্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের মতামত জেনে নিতে হবে। সে অনুসারে চলতে হবে। প্রয়োজন হলেও শারীরিক এবং মানসিক আঘাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

    মানসিক রোগ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন? কীভাবে আক্রান্তকে আরো সাহায্য করেন?:
    আমরা কাউন্সেলররা যদি বুঝতে পারি, কোনো ছাত্র বা ছাত্রীর মানসিক রোগ হয়েছে, তখন তাকে চিকিৎসকের কাছে যাবার জন্যে বলা হয়। তবে এ সময়ও কাউন্সেলিং অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

    আপনি কে?
    আমার আসল নাম ষ্টিফেন বিনয় গমেজ, সিএসসি। হলিক্রস ব্রাদার বলে এই নামের সাথে ব্রাদার ও সিএসসি লেখা হয়ে থাকে। সিএসসি মানে-পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস-সংঘ। আমার নামে সিএসসি লেখার অর্থ-আমি পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস-সংঘের সদস্য। তাই আমার নাম ব্রাদার ষ্টিফেন বিনয় গমেজ, সিএসসি।

    মানসিক স্বাস্থ্যসেবাখাতে প্রশিক্ষণ ও অবদান ?
    বান্দুরা হলিক্রস হাই স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকার নটরডেম কলেজের এইচএসসি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকম আইইআর (ইনিস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসাচ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ডিপইনএড ও এমএড। ম্যানিলার দা ল্যা সাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার ইন সায়েন্স ইন গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সেলিং (এমএসজিসি)।

    (৬ ডিসেম্বর,২০২১; ঢাকা)

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleভবিষ্যতের মহামারি আরও প্রাণঘাতী হতে পারে-সারাহ গিলবার্ট
    Next Article শিশুর সিজোফ্রেনিয়া হলে কি করবেন?
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    October 13, 2025

    ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    September 10, 2025

    মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বাড়ছে সচেতনতা- ডা. নুর আহমেদ গিয়াসউদ্দিন

    August 30, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 23, 2025

    ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট”-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

    ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (ডিআরএমসি) ম্যাথ ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট…

    নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

    সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম আর নেই

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.