বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, নৈতিক শিক্ষা এবং আচরণ আমাদের মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
আমাদের নৈতিকতা বিশেষত আমাদের চরিত্র এবং দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা প্রভাবিত। এছাড়াও আমাদের জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিভিন্নভাবে আমাদের নৈতিক মনোভাবকে প্রভাবিত করে। পিতামাতার নিকট থেকে যে নৈতিক শিক্ষা নিয়ে আমরা বড় হই এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে সব নৈতিক শিক্ষা আমরা অর্জন করি , সেগুলি ছাড়াও নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে যে মানসিকতা লালন করি সেগুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সব মানুষ জন্ম থেকেই নৈতিক শিক্ষার ধারণা নিয়ে বেড়ে ওঠে এবং অন্যদের সাহায্যের মানসিকতা লালন করে তারা অন্যান্যদের তুলনায় বেশী সহানুভূতিশীল হয় এবং মানসিক ভাবে চাপমুক্ত থাকে।
নৈতিক আচরণ মানুষকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে এবং সেই অনুসারে কাজে প্রেরিত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একে আমরা ভুল বা সঠিক সিদ্ধান্তের মান দণ্ড দিয়ে বিচার করি। আবার একইসাথে সামাজিক নৈতিক ব্যবহারের চর্চাও এর অন্তর্ভুক্ত। মূলত যখন আমরা নৈতিক শিক্ষার পালন করে নৈতিক আচরণ করি তখন আত্ম কেন্দ্রিক মানসিকতা থেকে মুক্ত হয়ে আমরা অন্যের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবার প্রেরণা পাই এবং মানবিকতাকে সব থেকে বেশী গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি।
যখন আমরা নিজের থেকে অন্যদের ভালো মন্দকে বেশী গুরুত্ব দেই এবং সাহায্য করি, আমাদের মাঝে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার এক ইতিবাচক মানসিক শক্তি সৃষ্টি হয়। নৈতিক আচরণ আমাদের সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা দেয় এবং এই সহানুভূতিশীল মানসিকতাই একজন মানুষের সব থেকে বড় মানবিক গুণাবলির একটি। এর ফলে একটা মানুষের মাঝে অন্যদের প্রতি সেই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয় যার ফলে সে নিজের মতো করে অন্যদের সমস্যাকে সমাধান করার প্রয়াস করে। এতে করে তারা যেমন অন্যদের ভালো থাকায় ভালো থাকে, তেমনি নিজের আনন্দগুলো অন্যদের সাথে ভাগ করে অন্যদের ভালো রাখার প্রয়াস করে। ইতিবাচক মানসিকতা এবং চিন্তা ভাবনা দিয়ে নিজের মাঝে এবং চারপাশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখে।
বিভিন্ন গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, একজন নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত মানুষ ইতিবাচক নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটান, সেই মতো আচরণ করেন এবং ইতিবাচক অনুভূতির বিকাশ ঘটান প্রতিনিয়ত। আর মানসিক সুস্থতা বিশেষ ভাবে ইতিবাচক মানসিকতা এবং চিন্তাভাবনার উপর নির্ভর করে। নিজের মানসিক শক্তির গুণে যেমন শারীরিক জটিলতা কাটিয়ে ওঠার মনোবল আসে তেমনি মানসিক দৃঢ়তা প্রদান করে বিপদ মোকাবেলার আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্য। তাছাড়া মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা সহ অন্যান্য মানসিক সমস্যাগুলি থেকেও নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়। তাই এটা বলাই যায় যে, নৈতিক মানসিকতা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে