বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের বিষয়টি আর ‘মানসিক বা আচরণগত ব্যাধি’ হিসেবে দেখা হবে না।
জাতিসংঘ স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা এই লিঙ্গগত ইস্যুগুলোকে ‘যৌন স্বাস্থ্য’ বিষয়ক চ্যাপ্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা এখন বোঝা যাচ্ছে হিজড়া “আসলেই কোন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক না”।
আইসিডি-১১ নামে পরিচিত সবশেষ ম্যানুয়াল গ্রন্থটিতে লিঙ্গের অসামঞ্জস্যতাকে কোন ব্যক্তির লৈঙ্গিক অভিজ্ঞতা এবং লৈঙ্গিক পরিচয়ের অসামঞ্জস্যতা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আগের ভার্সন আইসিডি-১০ এ মানসিক এবং আচরণগত ব্যাধি নামক চ্যাপ্টারে ট্রান্সজেন্ডারকে লিঙ্গ নির্ধারণ ব্যাধি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।
ডব্লিউএইচও এর প্রজনন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. লালে সে বলছেন, “এটা মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধির আওতা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে কারণ আমাদের একটা ভালো বোঝার জায়গা তৈরি হয়েছে যে সেটা (হিজড়া) আসলে কোন মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা না। এটা এভাবেই রেখে দেওয়ায় আগে স্টিগমা তৈরি হচ্ছিল।”
তিনি আরো বলেন ” এই স্টিগমা দূর করার জন্য এবং একই সাথে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য এটা ভিন্ন একটা চ্যাপ্টারে স্থান দেয়া হয়েছে,।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এলজিবিটি অধিকার বিষয়ক পরিচালক গ্রেইমি রেইদ বলেছেন, “এই সংশোধনীর আলোকে সরকারগুলোর উচিত খুব দ্রুত জাতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় আইন সংস্কার করা।”
সুত্র : ডাব্লিউএইচও
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে